১৩ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
চশমার সেন্সরগুলো কণ্ঠস্বর, চোখের মণির নড়াচড়া, হাত ও আঙুলের বিভিন্ন নির্দেশনা শনাক্ত করতে পারে।
অগেমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) সমর্থিত নতুন চশমা ওরিয়ন নিয়ে হাজির হলো ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা। ওরিয়ন দেখতে ও পরিধানের ক্ষেত্রে সাধারণ চশমার মতো মনে হলেও এতে অগমেন্টেড রিয়েলিটির বিশেষ ফিচার রয়েছে।
এ ছাড়া হাতে পরিধানযোগ্য একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে চশমাটির বিভিন্ন ফিচার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাই স্মার্টফোনের পরিবর্তে চশমাটির মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া ডিভাইসটিতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে। গত বুধবার ‘মেটা কানেক্ট ২০২৪’ ইভেন্টে চশমাটি উন্মোচন করা হয়।
ওরিয়নকে এখন পর্যন্ত তৈরি করা সবচেয়ে উন্নত অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) চশমা বলে দাবি করছে মেটা। গত পাঁচ বছর ধরে চশমাটি তৈরি করেছে এই কোম্পানি। এগুলো হালকা এবং ঘরে ও বাইরে ব্যবহারের জন্য উপযোগী। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির হেডসেটের বিপরীতে এআর গ্লাসগুলো বাস্তব দুনিয়ার সঙ্গে ডিজিটাল দুনিয়ার মেলবন্ধন আরও সমৃদ্ধ করে। স্মার্টফোন বা হেডসেটের ডিসপ্লের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ডিজিটাল অভিজ্ঞতা দেবে এই চশমা।
ওরিয়ন চশমাগুলো আকারে ছোট হলেও এগুলোর ‘ফিল্ড অব ভিউ’ অন্যান্য এআর ডিভাইসের চেয়ে সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ এটি দিয়ে অনেক বড় পরিসরে ডিজিটাল স্ক্রিন দেখা যাবে। এর মাধ্যমে মাল্টিটাস্কিং উইন্ডোজ, বড় পর্দার বিনোদন এবং কোনো ব্যক্তির পুরো দেহের হলোগ্রামের মতো ডিজিটাল কনটেন্ট বাস্তব জগতের সঙ্গে আরও সুনিপুণভাবে মিশে যেতে পারবে।
ওরিয়নের ডিসপ্লে বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে মেটা। এর ফ্রেমের ভেতরে মাইক্রো এলইডি প্রজেক্টর রয়েছে, যা চশমার লেন্সের মাধ্যমে চোখের সামনে বিভিন্ন গ্রাফিকস দেখাবে। লেন্সগুলো প্লাস্টিক বা কাচের পরিবর্তে সিলিকন কারবাইড দিয়ে তৈরি। এই উপাদান তুলনামূলক টেকসই, হালকা এবং অতিদ্রুত প্রতিফলন করে। ফলে প্রজেক্টর থেকে প্রক্ষেপিত আলো দৃষ্টির অধিকাংশ সীমা পূর্ণ করতে পারে। চশমার সেন্সরগুলো কণ্ঠস্বর, চোখের মণির নড়াচড়া, হাত ও আঙুলের বিভিন্ন নির্দেশনা শনাক্ত করতে পারে।
চশমার সেন্সরগুলোর সঙ্গে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। চশমাটি দিয়ে কি কাজ করা যাবে তা বোঝাতে মেটা একটি উদাহরণ দিয়েছে। যেমন, যদি চশমা পরে ফ্রিজের দিকে তাকানো হয় এবং ফ্রিজে থাকা উপকরণের ভিত্তিতে একটি রেসিপি জানতে চাওয়া হলে ওরিয়ন একটি রেসিপি চোখের সামনে তুলে ধরবে। এ ছাড়া এতে ভিডিও কল, ম্যাসেজিং পাঠানোর সুবিধা থাকবে। সেই সঙ্গে স্পটিফাই, ইউটিউব ও পিন্টারেস্টের মতো অ্যাপগুলোর একটি সংস্করণ এর মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।
ওরিয়ন একটি ভোক্তা কেন্দ্রিক পণ্য বা গবেষণা প্রোটোটাইপও নয়। মেটার কর্মী এবং ‘নির্বাচিত প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের’ ওরিয়ন ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নতুন কিছু জানতে ও নিজেকে উন্নত করতে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে ওরিয়ন। ভোক্তাদের জন্য নতুন এআর চশমার সিরিজ তৈরি করতে এই প্রশিক্ষণ সহায়ক হবে।
মেটা এআর ডিসপ্লেটিকে আরও উন্নত করতে চায় যাতে দৃশ্যগুলো আরও স্পষ্ট হয়। এ ছাড়া একে আরও হালকা ও পাতলা করতে চায় কোম্পানিটি। বৃহৎ পরিসরে উৎপাদনও করতে চায় মেটা। এর মাধ্যমে এআর গ্লাসগুলো আরও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে।
অ্যাপলও এআর গ্লাস নিয়ে কাজ করছে বলে গুজব শোনা যাচ্ছে। তবে পণ্যটি বাজারে আসতে এখনো কয়েক বছর সময় লাগবে।
এআর গ্লাসের পাশাপাশি গত বুধবার রে-ব্যান মেটা গ্লাসের জন্য নতুন এআই ফিচার উন্মোচন করেছে মেটা। সেই সঙ্গে ৩০০ ডলারের মেটা কোয়েস্ট ৩ এস মিক্সড রিয়্যালিটি হেডসেটও তৈরি করেছে, যা মেটা কোয়েস্ট ৩ এর উত্তরসূরি। সূত্র: দ্য রয়টার্স, ম্যাকরিউমার, এনগ্যাজেট ও দ্য ভার্জ
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...