১৯ ঘন্টা আগে
২০ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
মেটা শিগগিরই তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা করছে। জানা গেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চ্যাটজিপিটির মতো আলাদা অ্যাপ হিসেবে এই প্রযুক্তি উন্মোচন করতে পারে কোম্পানিটি।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন নতুন এআই মডেল আনছে। এর ব্যতিক্রম নয় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটাও।
মেটা শিগগিরই তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা করছে। জানা গেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চ্যাটজিপিটির মতো আলাদা অ্যাপ হিসেবে এই প্রযুক্তি উন্মোচন করতে পারে কোম্পানিটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, মেটা তাদের ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপসহ স্বতন্ত্র অফারগুলোতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো থেকে এ খবর জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।
বর্তমানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপে উপস্থিত রয়েছে মেটা। এআই ও ওয়েবের মাধ্যমেও এটি ব্যবহার করা যায়। তবে এর এখন পর্যন্ত কোনো আলাদা মোবাইল বা ডেস্কটপ অ্যাপ নেই। তাই মেটার জন্য বড় পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি।
এই অ্যাপ প্রকাশ করলে ওপেনএআই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে মেটা। বর্তমানে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা ডেস্কটপ ও মোবাইল অ্যাপ (আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড) বা ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে অ্যাকসেস করতে পারেন।
এআইকে শক্তিশালী করার মডেলের ক্ষেত্রে মেটা অ্যামাজন, ওপেনএআই, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে এবং ২০২৩ সালে নিজস্ব এআই চ্যাটবট চালু করার পর থেকে তারা ক্রমবর্ধমানভাবে এই প্রযুক্তিটিকে তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহার করছে।
এদিকে, মেটার সম্ভাব্য আলাদা অ্যাপের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এক পোস্টে ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘ঠিক আছে, হয়তো আমরাও একটি সামাজিক অ্যাপ বানাব।’
যারা নিয়মিত মেটা এআই ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হতে পারে এই আলাদা মোবাইল অ্যাপ। সামাজিক মিডিয়া অ্যাপগুলোর মধ্যে মেটা এআইয়ের উপস্থিতি অনেকটা সুবিধাজনক হলেও মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও হয়ে ওঠে এটি।
ধারণা করা হচ্ছে, যদি মেটা এআই একটি স্বতন্ত্র মোবাইল অ্যাপ হিসেবে আসে, তবে এটি ব্যবহারকারীরা আরও সহজে ব্যবহার করতে পারবে। কারণ মেটা এআই এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করার প্রয়োজন হয়। তবে, অ্যাপটি কবে উন্মোচন হবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মেটা।
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গসহ অনেক প্রযুক্তি নির্বাহীই মনে করেন যে, এআই হলো প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ। এই খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে তারা প্রস্তুত।
মেটার সর্বশেষ আয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা তাদের জেনারেটিভ এআই এবং মূল ব্যবসায়ে ৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ৬ হাজার ৫৯৯ কোটি ডলার পর্যন্ত ব্যয় করবে।
তবে মেটার এআই যাত্রা বেশ কঠিন। কারণ কোম্পানিটির সামাজিক অ্যাপগুলোতে মেটা এআই যুক্তের ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল। এই যোগসূত্রকে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রত্যাশিত মনে করেছিলেন অনেক ব্যবহারকারী।
এ ছাড়া এআই ব্যবহার করে কৃত্রিম ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করেছিল মেটা। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট কেরেন আথিয়া বলেন, এই প্রোফাইলের সঙ্গে চ্যাটিংয়ের সময় তিনি বর্ণবৈষম্যমূলক বক্তব্য পান। এসব সমালোচনার পর শেষ পর্যন্ত সেগুলো সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় মেটা। সূত্র: এএফপি ও সিএনবিসি
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...