ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ১০০০ গুণ বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ডেটার দাম বেশি হওয়ার কারণে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই সবগুলো মোবাইল অপারেটরের উচিত ১০ টাকায় ১ মাসের জন্য ২জিবি ডেটা অফার করা। এজন্য অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন লেয়ার তুলে নেওয়া ও ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া দরকার।
টেলিযোগাযোগের শক্তিতে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবার সম্প্রসারণ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিউনিকেশন (বিটিআরসি)।
সোমবার (২৮ আক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় অবস্থিত বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারীর সভাপতিত্ব গোলটেবিল আলোচনায় দেশের বিকাশমান ডিজিটাল সেবা উদ্যোগ, বিডিজবস, চালডাল, টেন মিনিটস স্কুল, পাঠাও, শেয়ার ট্রিপ, শপআপ, প্রাভা হেলথ, সহজ, শিখো, ই-কুরিয়ার, পিকাবু, সেবা এক্সওয়াইজেড প্রতিষ্ঠাতারা উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে চালডাল প্রতিষ্ঠাতা সিইও ওয়াসিম আলিম জানালেন, জিডিপি ও মুদ্রস্ফিতির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করার কিছু নেই। ভূমি, জিডিপির আকার এবং জনঘনত্বের ওপর নির্ভর করে জাপানের সঙ্গে তুলনা করে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় ২০৪০ সালের মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি’র আকার হাতে পারে। এজন্য অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ হলেও এক্ষেত্রে মূল্য ও সময়ে আমরা পিছিয়ে।
তিনি বলেন, আশার কথা হলো জনশক্তিতে আমরা এগিয়ে আছি। কিন্তু এটা আমাদের জন্য টাইম বোমের মতো। ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স বাজারে পিছিয়ে আছি। ভারত বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় সাত গুণ বড়। এই অবস্থার উন্নয়নে ডেটা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের বিকল্প নেই। ডেটার ব্যবহার অবকাঠামো খরচ বাঁচায়। শিক্ষা অর্জনকে সহজতর করে কর্মহীনদের কর্মক্ষম করে তোলে। তাই ডেটার ওপর কোনো বাধা থাকা উচিত নয়।
‘১২৫ কিলোবাইট ডেটা ব্যবহার করার পরিবর্তে কেউ যদি মাসে ১জিবি ডেটা ব্যবহার করে তবেই তাকে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য করা উচিত। ভারতে ১০ মিনিটে ১জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও বাংলাদেশ এই সংখ্যায় অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ১০০০ গুণ বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ডেটার দাম বেশি হওয়ার কারণে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই সবগুলো মোবাইল অপারেটরের উচিত ১০ টাকায় ১ মাসের জন্য ২জিবি ডেটা অফার করা। এজন্য অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন লেয়ার তুলে নেয়া ও ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া দরকার।’-বললেন ওয়াসিম আলিম।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স সদস্য এবং বিডিজবস প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর বলেন, আমদের ক্রয় ক্ষমতার চেয়ে ডাটার দাম বেশি। তাই ব্রডব্যান্ডের মতো মোবাইল ইন্টারনেটেরও দাম বেধে দেয়া দরকার। বিটিআরসি’র রেভিনিউ শেয়ার ও এসএফও ফান্ডের বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অন্তত দুই বছর এসওএফ ফান্ড বন্ধ রাখা দরকার। গুগল, ফেসবুক ও আকামাই যেন দেশে আসে সে জন্য কন্টেন্টের দায় শুধু কন্টেন্টদাতার ওপর রাখতে হবে। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হোক এনটিটিএন। বিগত সময়ে যেসব প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি সুবিধা দিয়ে জায়ন্ট করা হয়েছে তাদের বিষয়ে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার মো. খলিল উর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। এছাড়াও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমিশনার ও পরিচালকসহ মোবাইল অপারেটর ও ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...