১৬ ঘন্টা আগে
১৬ ঘন্টা আগে
১৬ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
স্বর্ণজয়ী কিশোররা হলেন, মো. ত্ব-সীন ইলাহি (হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়), এল এম মাহির লাবিব (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), এম ডি আব্দুস সিয়াম (হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) এবং আহনাফ শাহরিয়ার (হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়)।
৬ষ্ঠ ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশনে স্বর্ণজয় করলো বাংলাদেশের চার কিশোর। প্রযুক্তির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকার সল্যুশন দিয়ে বিশ্বজয় করলেন তারা।
স্বর্ণজয়ী কিশোররা হলেন, মো. ত্ব-সীন ইলাহি (হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়), এল এম মাহির লাবিব (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), এম ডি আব্দুস সিয়াম (হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) এবং আহনাফ শাহরিয়ার (হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়)।
মালয়েশিয়ার মাহসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্দোনেশিয়ান ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইওয়াইএসএ) যৌথ উদ্যোগে ২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৫টি দেশের প্রায় ৩০০ উদ্ভাবক দল অংশ নেয়। তাদের উদ্ভাবনকে ছাপিয়ে বাজিমাত করে বাংলাদেশের টিম স্পার্ক।
বিচারকদের সামনে তাদের ‘সেইফ ড্রাইভিং সিস্টেম ২.০’ ঝলকে মাধ্যমিক স্কুল ক্যাটাগরিতে আইটি অ্যান্ড রোবটিকস বিভাগের ১২৬টি টিম।
উপস্থাপনায় টিম স্পার্ক দেখিয়েছে, প্রযুক্তি দিয়ে কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা যায়। উপস্থানায় তারা একটি বিশেষ ডিভাইস বানিয়ে দেখায়। ডিভাইসটিতে একটি সিপিইউ, ট্যাবলেট, টেকোমিটার, ক্যামেরা, ভাইব্রেটর ও লিডার ব্যবহার করা হয়। এই ডিভাইসটি মূলত অনেকগুলো সেন্সর একসাথে ইন্টিগ্রেট করে, এবং সিপিইউ সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয় এবং ড্রাইভারকে রক্ষা করে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্টস অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ড্রাইভার দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন ভুলের সমাধান করে এবং সড়কে সবাইকে নিরাপদ রাখে।
কিশোর উদ্ভাবকদের প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার ও উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়ে প্রতিযোগিতার আইটি এবং রোবটিক্স বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর দেন বিচারকেরা। ফলে স্বর্ণপদক ছাড়াও তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের জন্য বিশেষ পুরস্কার হিসেবে ‘মালয়েশিয়া ইনোভেশন ইনভেনশন ক্রিয়েটিভিটি অ্যাসোসিয়েশন’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের দলের পরামর্শক হিসেবে ছিলেন ইয়াহইয়া আহমেদ শরীফ (মেন্টর ও লেকচারার, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ)।
দলটির সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই সাফল্য তরুণ উদ্ভাবকদের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আরও অনুপ্রাণিত করবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।
স্বর্ণজয়ী দলনেতা মো. ত্ব-সীন ইলাহি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর আমরা আমাদের প্রজেক্ট ডিটেলস দিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করি এবং তারা আমাদেরকে একসেপ্ট করে লেটার পাঠান এবং আমরা মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিই। আমাদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ ছিল- আমাদের হার্ডওয়্যার এমপ্লয়মেন্টেশন। আমরা অনেকগুলো ফিচার একটা সিঙ্গেল মাদারবোর্ডে ইন্টিগ্রেট করছি। তাই এটা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু আমাদের হার্ড ওয়েট টিম সেটা ভালোভাবে করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, সফটওয়্যার টিমও দারুণভাবে সবকিছু ডিজাইন এবং প্রোগ্রাম করেছে। ফলে ম্যাক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, তুর্কেমিনিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালোয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও থ্যাইল্যান্ডের মতো দেশের ১২৬টি দলের মধ্যে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। এখন আরো আপগ্রেড ও মডিফিকেশন করে বাস্তবে সেইফটি ডিভাইসটি বাজারে আনতে সবার সহযোগিতা চাই।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...