১৩ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর ছাড়া এই সফটওয়্যার সম্পর্কে মানুষ খুব কম জানে। ভিডিওগুলোকে একত্রিত এবং ম্যানিপুলেট করার জন্য যে মাধ্যম বা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার করা হয় সেগুলোকেই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলে।
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হন, তাহলে আপনাকে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা দরকার। ভিডিও তৈরি করার সময় বিভিন্ন রকমের এডিটিং সফটওয়্যারের দরকার পড়ে।
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর ছাড়া এই সফটওয়্যার সম্পর্কে মানুষ খুব কম জানে। ভিডিওগুলোকে একত্রিত এবং ম্যানিপুলেট করার জন্য যে মাধ্যম বা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার করা হয় সেগুলোকেই ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলে।
বর্তমানে আমরা ব্রাউজারে অনেক ধরনের ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার পেয়ে থাকি। এর মধ্য কিছু ফ্রি এবং পেইড এডিটিং সফটওয়্যার পাওয়া যায়। আমরা এই আর্টিকেলে কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
ভিডিও করতে একটি এডিটিং সফটওয়্যারের দরকার পড়ে। আর তখন আপনি এমন এক ধরনের টুলস খুঁজবেন যেখানে আপনার টাকা খরচ হবে না, আবার ভিডিও এডিটিংও করা হবে, শেখাও হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু ফ্রি ভিডিও এডিটর অ্যাপ্লিকেশনের কথা।
১. OpenShot: এটি ইউটিউবের জন্য সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলোর একটি। এখানে অসংখ্য ইউজার ইন্টারফেজ ও সীমাহীন এডিটিং ট্র্যাক পাওয়া যায়। ওপেনশট একটি ফ্রি ইউটিউব ভিডিও এডিটর, যেখানে আপনার প্রত্যাশার চেয়ে আরও উন্নত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
২. Hitfilm Express: এটি একটি ফ্রি এডিটিং সফটওয়্যার ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট কম্পোজিটর। এর মধ্যে আরও রয়েছে গ্রিন স্ক্রিন রিমুভার, থ্রি-ডি মডেলিং, অ্যানিমেশন এবং ফিজিক্স সিমুলেশন। এই সফটওয়্যারের একটি বড় সুবিধা হলো আপনি ওয়াটার মার্ক ছাড়া ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
৩. Lightworks: শুরু করার জন্য এটি একটি পারফেক্ট সফটওয়্যার। ভিডিও এডিট শুরু করার জন্য এটি একটি ফোকাসড টুলসেট অফার করে। lightworks একটি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, যার কোনো ওয়াটার মার্ক নেই, কিন্তু উচ্চমানের ভিডিও তৈরি করার জন্য ব্যাপক পরিমাণে টুলস সরবরাহ করে।
৪. ShotCut: এটি আরেকটি ফ্রি এডিটিং সফটওয়্যার। ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ভিডিও, অডিও এবং ইমেজ এডিটিং প্রোগ্রাম, এই টুলসগুলো উচ্চ-মানের ইউটিউব ভিডিও এডিট করে। সফটওয়্যারটির সবচেয়ে অসাধারণ দিক হলো, এখানে নেটিভ টাইমলাইন এডিটিং ফিচার রয়েছে, যার জন্য আপনাকে নতুন করে এখানে ভিডিও ফাইলগুলো ইমপোর্ট করতে হবে না।
৫. Apple iMovie: macOS I ioS-এর জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হলো Apple iMovie; যার সাহায্যে আপনি ৪শ ভিডিও এডিট তৈরি করতে পারবেন। এর ইউজার ইন্টারফেজ খুব সহজ, বিগিনাররা খুব সহজে আয়ত্ত করতে পারবে।
পেইড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
হাই কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি বা বিভিন্ন ওয়েভ সাইটে পাবলিশ করার জন্য ভালো মানের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের দরকার পড়বে। প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করার জন্য পেইড এডিটিং সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু পেইড ভিডিও এডিটর অ্যাপ্লিকেশনের কথা।
১. Adobe Premiere Pro: ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের মধ্যে প্রফেশনাল এডিটরদের পছন্দের তালিকায় প্রথম রয়েছে adobe premiere pro. এই সফটওয়্যারটি থেকে প্রফেশনাল সকল ধরনের কাজ করা যায়। এর বিশেষ কিছু সুবিধা হলো-সহজ ইন্টারফেজ, অনেক বেশি টুলস পাওয়া যায়, অসংখ্য মাল্টিক্যাম অ্যাঙ্গেল পাওয়া যায়।
২. Filmora: এটি এমন একটি ভিডিও এডিটর যা সহজে ব্যবহারযোগ্য ও হাইকোয়ালিটির এডিট করা যায়। এটি বিগিনার ও প্রফেশনাল উভয় কাজেই ব্যবহার করা যাবে। ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস, যা কাজ করতে সাহায্য করে। MP4, AVI, MOV ছাড়াও আরও অনেক ফরম্যাটে ভিডিও এডিট করার সুযোগ থাকে।
৩. DaVinci Resolve: এটি একটি কালার গ্রেডিং, কালার কারেকশন, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং অডিও পোস্ট-প্রোডাকশন ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন macOs উইন্ডোজ এবং লিনাক্সের জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এখানে মোশন গ্রাফিক ও অডিও এডিটিং টুল পাওয়া যায়।
৪. CyberLink PowerDirector 365: ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি একবার সাবস্ক্রিপশন করে কিনলেই হয়, পরে চার্জের দরকার পড়ে না। এটি থেকে নরমাল ভিডিও ট্রিম থেকে শুরু করে প্রো লেভেলের ভিএফএক্সের কাজও করতে পারবেন। এখানে বেশ কিছু ইফেক্ট ও এআই টুলস পাওয়া যায়। এ ছাড়া স্ক্রিন রেকর্ডিংয়ের সুবিধা আছে।
৫. Kine Master: প্রফেশনাল ভিডিও তৈরির জন্য Kine Master ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারটি বেশ জনপ্রিয়। Drag-n-drop টেকনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়াতে ফাইল ইম্পোর্ট করা যায়। এর সঙ্গে রয়েছে সাবটাইটেল যুক্ত করার সুবিধা।
এ ছাড়াও আছে আরও কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...