মঙ্গলবার

ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫

সর্বশেষ


খবর

করপোরেট কর্মীদের কাজ দখলে নেবে এআই, সতর্ক করে সমাধান দিলেন আমাজনের সিইও

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, বিকাল ৭:০৭

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

কর্মীদের এআইয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বার্তা শেষ করেন জ্যাসি। পাশাপাশি প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জন করতে বলেন, প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ নিতে বলেন।

নিজ প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর্মীদের সতর্ক করেছেন ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু জ্যাসি। বলেছেন, বছর কয়েকের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হয়তো তাদের কাজ নিয়ে নেবে।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার মতো এআই এজেন্ট এবং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির চ্যাটবট অনেক ধরনের কর্মীর প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে বলে মনে করেন জ্যাসি। কর্মীদের কাছে পাঠানো বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমরা যেহেতু আরও বেশি জেনারেটিভ এআই মডেল ও এজেন্ট অবমুক্ত করছি, এগুলোর উচিত আমাদের কাজের ধরনে পরিবর্তন আনা। কয়েক ধরনের কাজের জন্য এখনকার চেয়ে ভবিষ্যতে আমাদের কম কর্মীর প্রয়োজন হবে। সময়ের সঙ্গে এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা কঠিন, তবে আমাদের ধারণা, আগামী কয়েক বছরে এটা আমাদের মোট করপোরেট কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে দেবে।’

বিশ্বব্যাপী আমাজনের বর্তমান কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এদের প্রায় সাড়ে তিন লাখ কাজ করেন করপোরেট সেক্টরে।

এআই প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রোপিক-প্রধান দারিও আমোদেই এবং ব্রিটিশ টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা বিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালিসন কির্কবিও মনে করেন এআই করপোরেট কর্মীদের জায়গা দখল করবে।

জ্যাসির মতে, অদূর ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান ও মানুষের বাসাবাড়িতে কোটি কোটি এআই এজেন্ট নিযুক্ত করা হবে। তিনি যোগ করেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরে এবং সম্ভাব্য প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন কোটি কোটি এআই এজেন্ট কাজ করবে। অনেক এজেন্ট কর্মক্ষেত্রের বাইরেও নিয়মিত আপনার অন্যান্য কাজ করে দেবে। যেমন কেনাকাটা থেকে শুরু করে ভ্রমণ ও দৈনন্দিন গৃহস্থালির কাজ পর্যন্ত। এই এজেন্টগুলোর অনেকগুলো এখনও হয়তো তৈরিই হয়নি। তবে ভুলে যাবেন না, সেগুলো আসছে, শিগগিরই আসছে।’

কর্মীদের এআইয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বার্তা শেষ করেন জ্যাসি। পাশাপাশি প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জন করতে বলেন, প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ নিতে বলেন।

আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণী সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পূর্বানুমান অনুযায়ী, প্রযুক্তির কারণে আইন, স্বাস্থ্যসেবা এবং ফিন্যান্সের মতো খাতগুলোর হোয়াইট-কলার পেশাদাররা কাজ হারাবেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলোর ৬০ শতাংশ চাকরির সঙ্গে এআই যুক্ত এবং এর অর্ধেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

তবে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এআইয়ের ব্যাপক ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে যুক্তরাজ্যের টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট। প্রযুক্তির কারণে যুক্তরাজ্যে ৩০ লাখ মানুষ কাজ হারাতে পারেন বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউটটি। সঙ্গে বলেছে, প্রযুক্তির কল্যাণে নতুন যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে তাতে ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৭৬ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর