২৩ মিনিট আগে
২ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এমন অবৈধ কার্যক্রম ব্যবহারকারীদের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
সাম্প্রতিক এক তদন্তে মাইক্রোসফট একটি আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধী চক্রের সন্ধান পেয়েছে, যারা অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে। বিশেষত, অ্যাজিউর ওপেনএআই প্ল্যাটফর্মে অননুমোদিত প্রবেশের মাধ্যমে এই চক্রটি বেআইনি ও আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরি করে আসছিল। তাদের কার্যকলাপের মধ্যে ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়া ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল ছবি সংযোজনের মতো গুরুতর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্টর্ম-২১৩৯’ নামে পরিচিত একটি সাইবার অপরাধী চক্র ইরান, যুক্তরাজ্য, হংকং ও ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে সক্রিয়। তারা চুরি করা গ্রাহক লগইন তথ্য ব্যবহার করে মাইক্রোসফটের এআই-সেবায় প্রবেশ করেছে এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে অন্য ক্ষতিকর গোষ্ঠীগুলোর কাছে এই প্রবেশাধিকার বিক্রি করেছে। এমনকি, তারা বেআইনি ও ক্ষতিকর কনটেন্ট তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কেও নির্দেশনা সরবরাহ করেছে।
মাইক্রোসফটের ডিজিটাল ক্রাইমস ইউনিটের সহকারী প্রধান আইন উপদেষ্টা স্টিভেন মাসাদা বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এমন অবৈধ কার্যক্রম ব্যবহারকারীদের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।’
প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের দুজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করলেও চলমান তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যক্তিগত ছবি বিকৃত করা, ভুয়া ও আপত্তিকর ছবি তৈরি করা এবং এমনকি শিশুদের যৌন নির্যাতন-সম্পর্কিত আধেয় তৈরির মতো গুরুতর অপরাধও ঘটতে পারে।
এ ধরনের অপরাধ কেবল ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য হুমকি নয়, বরং এটি সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল নৈতিকতার ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগের বিষয়। মাইক্রোসফটের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে এই চক্রের কার্যক্রম বিশদভাবে বিশ্লেষণ করছে এবং সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ দমন করা সম্ভব হয়।
যদিও মাইক্রোসফট ও ওপেনএআইসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের সেবার সুরক্ষাব্যবস্থা ক্রমাগত উন্নত করছে, তবুও সাইবার অপরাধীরা প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মাইক্রোসফটের এই তদন্তের সূচনা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, যখন প্রতিষ্ঠানটি ভার্জিনিয়ার পূর্ব জেলা আদালতে অজ্ঞাতনামা ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলার মূল লক্ষ্য ছিল সংশ্লিষ্ট হ্যাকারদের পরিচয় উদ্ঘাটন করা এবং তাদের অবৈধ কার্যক্রম ব্যাহত করা। মাইক্রোসফটের এই পদক্ষেপ শুধু প্রতিষ্ঠানটির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নয়, বরং বৃহত্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্টিভেন মাসাদা আরও বলেন, ‘কোনো সাইবার অপরাধী চক্রকে একদিনেই পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব নয়। ক্ষতিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধে আমাদের অবিরাম সচেতনতা ও ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...