১৮ ঘন্টা আগে
১৯ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
কর্মীদের আবেগিক জীবনের নিরাপত্তার জন্য এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা মানুষের আর্থিক ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে, বয়স, কোনো অক্ষমতা বা আর্থসামাজিক অবস্থার ভিত্তিতে মানুষকে প্রতারণা করা বা শোষণ করার মতো অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।
বিশ্বের আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোম্পানির চাকরিতে নিয়োগকৃত কর্মীদের আবেগ পর্যবেক্ষণ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন এআই আইনে।
নতুন এআই আইনে, কেউ কোনো কোম্পানি কর্মীদের মুখের অভিব্যক্তি বা কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করে তাদের আবেগ বুঝতে পারবে না। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২ আগস্ট থেকে কোনো ওয়েবসাইট এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে না। ইউরোপীয় কমিশন এই আইনটি গত বছর তৈরি করেছিল, যাতে মানুষকে এআই-ভিত্তিক অন্যায় আচরণ ও কারসাজি থেকে সুরক্ষা দেওয়া যায়।
‘আইনটি এআই প্রযুক্তি তৈরি ও সরবরাহকারীদের আইনি নিরাপত্তা দিতে তৈরি করা হয়েছে, যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোরও সহায়তা মেলে। তবে এই নির্দেশিকাগুলো মানা বাধ্যতামূলক নয়।’- সাংবাদিকদের বলেছেন কমিশনের একজন কর্মকর্তা।
নতুন আইন অনুযায়ী, কর্মীদের আবেগিক জীবনের নিরাপত্তার জন্য এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা মানুষের আর্থিক ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে, বয়স, কোনো অক্ষমতা বা আর্থসামাজিক অবস্থার ভিত্তিতে মানুষকে প্রতারণা করা বা শোষণ করার মতো অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।
এই আইনে সমাজকল্যাণ ও অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে বংশগতি ও বর্ণের তথ্য ব্যবহার করে এআইভিত্তিক সামাজিক স্কোরিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, পুলিশ শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক তথ্যের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে না, যদি না তাদের কাছে সঠিক প্রমাণ থাকে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্মীদের আবেগ বোঝার জন্য ওয়েবক্যাম ও ভয়েস রিকগনিশন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, কঠোর নিয়ম ও ব্যতিক্রম ছাড়া পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি দিয়ে মোবাইল সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবে না।
এআই সম্পর্কিত নতুন নিয়ম বাস্তবায়নের জন্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে ২ আগস্টের মধ্যে বাজার পর্যবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স ও ইন্ডিপেনডেন্ট
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...