ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

কৃত্রিম উপগ্রহ-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার জন্য নন জিও স্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) গাইড লাইনে ইন্টারনেট শাট ডাউনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, দেশের মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হবে না ইন্টারনেট। এমন কি আগামীর সারকারও যেনো এটা বন্ধ করতে না পারে সে জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য এরই মধ্যে চারটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগেুলোে হলো- সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্সে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দান। দ্বিতীয় পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে বিগত সরকার ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরির যে উদ্যোগ নিয়েছিলো তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ উদ্যোগটি হলো ২০০১ ও ২০০১০ টেলিযোগাযোগ আইনে থাকা ইন্টারনেট বন্ধের সবগুলো সুযোগ বন্ধ করে এই আইনটি সংশোধন করবো।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া তিন দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম সেমিনার বাংলাদেশ স্টার্টআপ কানেক্ট ২০২৫ এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও প্রকৌশলী  ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

সেমিনারে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার দেশের ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত করার জন্য কাজ করছে। সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথের দাম ইতোমধ্যে ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা উন্নত সেবা প্রদান করতে পারে।

স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে দেশীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদকদের সরকার শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানান আহমেদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। আগামী মে মাসের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন চূড়ান্ত হবে।’

শেয়ার ট্রিপ সিইও সাদিয়া হকের সঞ্চালনায় এবং বিডা’র নির্বাহী পরিচালক আশিক মোহাম্মদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন  বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।