১৬ ঘন্টা আগে
১৭ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
২২ ঘন্টা আগে
২৩ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
এই পদত্যাগ বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। সেসাথে এটি একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করবে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) নেতৃত্বকে পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ২০২২-২৪ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির ১০ জন সদস্য সম্মিলিতভাবে পদত্যাগ করেছেন। যার ফলে বর্তমান বোর্ডটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন- সংগঠনটির সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দারাজের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা খন্দকার তাসফিন আলম, গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক ও সেবাএক্সওয়াইজেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলমুল হক সজীব, কমিউনিকেশন অ্যাফেয়ার্স পরিচালক ও ডিজিটাল হাব সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক ও পেপারফ্লাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার হাসান ও সহসভাপতি ও ফুডপান্ডার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা।
এছাড়াও নিজ অবস্থান থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ই-ক্যাব পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, অর্থসম্পাদক আসিফ আহনাফ এবং পরিচালক মোহাম্মদ অর্নব মোস্তফা।
এর আগে ১৩ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন সভাপতি শমী কায়সার। এরপর থেকে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই ই-কাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থগিত করা হয়। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সরকার বিরোধী ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে সদস্যদের রোষানলে পড়েন সংগঠনের সহ সভাপতি আম্বারীন রেজা। স্বৈরাচার আচরণ বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। সদস্যদের একটি গ্রুপ তখন তাকে সরকার বিরোধী আখ্যা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন। ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের হলে- অন্যান্য সংগঠনের মত ই-ক্যাবের বৈষম্য বিরোধী সদস্যরা, কার্যনির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদের চার জনকে পদত্যাগ করার দাবি জানান।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সংগঠনের সভাপতি শমী কায়সার পদত্যাগ করলেও, বাকি তিনজন সদস্য পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। এই তিন সদস্যের তালিকায় ছিলেন না সৈয়দা আম্বারীন রেজার নাম। সদস্যরা তাদের দাবিতে অনড় থাকেন এবং তিনজনের পদত্যাগ বাধ্য করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। অসন্তোষ যখন চূড়ান্ত, তখন সংগঠনের কথা ভেবেই আম্বারীন রেজারসহ বাকি চারজন সদস্য একসাথে পদত্যাগ করেন।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দা আম্বারীন রেজা বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি সংগঠনের সমস্যাগুলো সমাধানের কিন্তু পারিনি। তাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই পদত্যাগ।
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছিলেন আম্বারীন রেজা।
এই সম্মিলিত পদক্ষেপটি সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। কারণ প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে একটি নতুন ও গতিশীল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরিই একটি নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এই পদত্যাগ বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। সেসাথে এটি একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করবে। সকল স্টেইকহোল্ডারদের এই উদ্যোগকে সমর্থন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে, যা সংগঠন ও ই-কমার্স শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে সহায়ক হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সময়সূচি সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হবে।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...