১৬ ঘন্টা আগে
১৭ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
২২ ঘন্টা আগে
২৩ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
ইন্টারনেট শাটডাউন, ধীরগতি এবং ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দীর্ঘসময় বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার পর সারাদেশে ইন্টারনেট শাটডাউন এবং ফেসবুক বন্ধ রাখায় ই-কমার্স খাতে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। ভবিষ্যতে যে কোনো পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ না করার বিষয়টি পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ই-ক্যাব। ডিজিটাল মার্কেটার, কনটেন্ট ডেভেলপার, স্টার্টআপ এবং ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে সদস্যদের কাছে সার্ভে ফরম থেকে এ তথ্য পেয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ‘ইন্টারনেট শাটডাউন, ধীরগতি এবং ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দীর্ঘসময় বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী, যা সরকারও অবগত আছে। উচ্চপর্যায়ের অনেককে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ২০ লাখ উদ্যোক্তা ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। শুধু ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা রয়েছেন ৫ লাখেরও বেশি। পণ্য সরবরাহে রয়েছেন আরও ৮ লাখ মানুষ। প্রতিবছরই এ সংখ্যা ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। প্রতিদিন এক কোটি ২০ লাখ টাকার ই-কমার্স লেনদেন হয়, যা গত ১২ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। পচনশীল দ্রব্যের অর্ডারও বন্ধ হয়ে গেছে।’
ফেসবুক চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘ইন্টারনেট চালুর পর ৫ শতাংশের মতো ব্যবসা চালু হয়েছে। এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, তা আমরা জানি না। আমাদের দাবি, দ্রুত ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন করে দেওয়া হোক। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এভাবে ইন্টারনেট ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে না দেওয়া হয়, সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।’
শমী কায়সার বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফেসবুক কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। যারা কিনা অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া, কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো নানা সংকটে পড়েছে। তাদের ঘুরে দাড়ানোর জন্যে সরকারের কাছে আমরা স্বল্প সুদে ও বিনা জামানতে ঋণ দেওয়ার অনুরোধ করছি।’
কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আর কখনো ফেসবুক ও ইন্টারনেট যেন এভাবে বন্ধ না হয়। ঋণ পরিশোধে যেন ৬ মাস সময় দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে ইতিবাচক ব্রান্ডিং করতে হবে। নূন্যতম পরিমাণ বিনাজামানতে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এক মাসের জন্যে বিজ্ঞাপনের টাকা মেটাকে যারা পরিশোধ করেছেন, সেই টাকা যেন ফুল কেটে না নেওয়া হয় মেটার সাথে সে বিষয়ে যোযোগাযোগ করতে হবে। বিজ্ঞাপনে ১৫ শতাংশ যে ভ্যাট সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। এবং উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্সের নবায়ন ফি মওকুফ করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফসহ পরিচালকরা।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...