রবিবার

ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ


টেলিকম

গ্রামীণফোনের নতুন উদ্যোগ সীমাহীন ইন্টারনেট সেবা

প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ১০:৪৫

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

২৬৯ টাকায় ৭ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক, ৮৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক ও ৯৯৮ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১৫ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক। 

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে  প্রথম ইনফিনিটি ইন্টারনেট নিয়ে এলো গ্রামীণফোন। এই সেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লিমিটলেস ইন্টারনেট’। এটি হচ্ছে হাইস্পিড ও ম্যাক্স স্পিড ইন্টারনেটের সমন্বিত সেবা।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এই উদ্ভাবনী সেবাটির ঘোষণা দেওয়া হয়।  

নতুন এ অফারগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দমতো সেবা উপভোগ করতে পারেন।  

অনন্য ও উদ্ভাবনী এ প্যাকগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকরা লিমিটলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন, যা তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা ও পছন্দের প্রয়োজন মেটাবে। দেশের ডিজিটাল খাতে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। স্পিড-বেইসড বিভিন্ন প্যাকের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের পছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-২৬৯ টাকায় ৭ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক, ৮৯৯ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক ও ৯৯৮ টাকায় ৩০ দিন মেয়াদি ১৫ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির প্যাক। বাজারে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এ প্যাকগুলোর মাধ্যমে উল্লিখিত মেয়াদ ও গতিতে লিমিটলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইন্টারনেটের শক্তি ব্যবহার করে নিজের সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শ্বিকতার বদলে দিতে ফ্রিল্যান্সার তৃষ্ণা দেও, পূজা, দয়াল চন্দ্র বর্মণের গল্প তুলে ধরেন গ্রামীণফোন ব্যস্থাপনা পরিচালক  ইয়াসির আজামান। জানালেন, ৪৪টি জেলার গ্রামে গঞ্জে ঘুরে আমি এমন অনেক সম্ভাবনাময় গল্পের সাক্ষী হয়েছি।

তিনি, বাংলাদেশ যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটি তারুণ্যের শক্তির সম্ভাবনার বিজয়। কেননা, বাংলাদেশের শতকরা ৫৮ ভাগ মানুষের বয়স ২৬ বছরের নিচে। ইতিবাচক কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করায় এই তরুণরাই প্রতিদিন তিন লাখ টাকা করে আয় করে। সুযোগ থাকলে দেশের ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কেন ১০ গুণ হবে।

অনুষ্ঠানে নেটওয়ার্ক কাভারেজ, উদ্ভাবনী সেবা এবং ২৫ লাখ গ্রাহককে কীভাবে ইন্টারনেটের আলোয় আলোকিত করা হয়েছে তা তুলে ধরেন  সিএমও সাজ্জাদ হাসিব।

তিনি দাবি করেন, আমাদের মাইজিপি’র মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ সেবা দেয়া হয়। ৯৫ শতাংশের সমস্যা সমাধান করা হয় দিনে দিনেই। এজন্য ২৭৮ জিপি সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ফেসবুক, অ্যাপ কিংবা কল পেলেই সাথে সাথে সমস্যার সমাধানে আমাদের প্রকৌশলীরা কাজ করেন। তারপরও আমরা পারফেক্ট নই। বেস্ট নই।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, উচ্চগতির ইন্টারনেটকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে আমাদের এ লিমিটলেস ইন্টারনেট প্রোডাক্ট লাইন উদ্বোধন এক বড় পদক্ষেপ। আমরা অনুধাবন করতে পারি, আমাদের গ্রাহকরা তাদের কাজ, বিনোদন ও প্রিয়জনদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। নতুন এ প্যাকগুলো গ্রাহকদের জন্য অতুলনীয়। পাশাপাশি তারা পাবেন গতি ও আস্থার নিশ্চয়তা, যার জন্য গ্রামীণফোন সমাদৃত। ডিজিটাল ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে আমাদের ক্রমাগত উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার আরেকটি উদাহরণ এ পদক্ষেপ। নতুন এ প্যাকগুলোর মাধ্যমে ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়িত সমাজ গড়তে গ্রামীণফোন তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে; যে সমাজে সবাই নিজের সুবিধামতো দ্রুতগতির ও নির্ভরশীল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবে। 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৬০৩ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর