শনিবার

ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ


খবর

এটুআই অফিসে দুদকের অভিযানে বেরিয়ে এলো যেসব তথ্য

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ১১:০৬

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

এখানকার কিছু কর্মর্তাদের কার্যক্রম নিয়ে আজ তদন্ত করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নথি তলব করা হয়েছে। ট্যাপওয়্যার, অরেঞ্জবিডি, সিনেসিস আইটি-কে বারাবরা কাজ পেয়েছে। তারা কী সঠিক ভাবে কাজ পেয়েছে কিনা সেটাও যাচাই করা হচ্ছে। এসেব বিষয়ে তদন্তে সময় লাগবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের এটুআই প্রকল্পের বিষয়ে উত্থাপিত দুর্নীতির নথি তদন্তে গিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের  আত্মসাৎ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এই অভিযান। প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে যেসকল ব্যক্তি জড়িত ছিলো তাদের সহ অনিয়মের ঘটনাগুলো যাচাই করা হচ্ছে।

প্রক্রিউরমেন্টে অনিয়মের আলামত পেয়ে আভিযানিক দলটি প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমের নথি যাচাই করে দেখেছে তিন-চারটি প্রতিষ্ঠান বারবারই কাজ পেয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, অভিযানে উঠে এসেছে ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতায় প্রকল্পের পদে পদে ঘটেছে অনিয়ম-দুর্নীতি। একই প্রতিষ্ঠানকে বারবার কাজ দেওয়া এবং অপ্রয়োজনীয় কাজসহ নানাভাবে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে।

অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও জানান, এখানকার কিছু কর্মর্তাদের কার্যক্রম নিয়ে আজ তদন্ত করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নথি তলব করা হয়েছে। ট্যাপওয়্যার, অরেঞ্জবিডি, সিনেসিস আইটি-কে বারাবরা কাজ পেয়েছে। তারা কী সঠিক ভাবে কাজ পেয়েছে কিনা সেটাও যাচাই করা হচ্ছে। এসেব বিষয়ে তদন্তে সময় লাগবে।

একপ্রশ্নের জবাবে, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অনিয়ম এখনো দেখা হয়নি। তবে নাইস নামের একটি প্রকল্পে কিছু অনিয়ম হয়েছিলো বলে মনে হয়েছে। এক পে প্লাটফর্মের কিছু লিগ্যাল ইস্যু বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদন আমনরা পাইনি। এক পে’র অ্যাকাউন্ট নাসের মিয়া ও তহরুল ইসলাম নামে যেই দুই জন ব্যক্তির কাগজ আমরা সংগ্রহ করেছি।  

অভিযুক্ত ১৪ কর্মকর্তা বিষয়ে তদন্ত দলের অভিমত, ইজিপি-তে তাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়াও যে রিভাইজড টিএপিপি করা হয়েছে সেখানে অনেক কার্যক্রমই তারা অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এর সঠিক জাস্টিফিকেশন পাইনি। এগুলো আরো যাচাই করে বলতে পারবো। রিভাইজড বাজেডে ৪৫৫ কোটি থেকে ৮৫৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। আরও তথ্য এবং রেকর্ড আমাদের দরকার।  

প্রসঙ্গত, দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের সহযোগিতায় ২০০৬ সালে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। ২০২০ সালে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে। 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৫৪ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর