২০ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত এআই মডেলগুলো এখনো অনেক সাধারণ বাগ (প্রোগ্রামের ভুল) ঠিক করতে ব্যর্থ হয়, যা একজন অভিজ্ঞ ডেভেলপারের জন্য খুবই সহজ ব্যাপার।
বর্তমানে প্রোগ্রামিংয়ের কাজে ওপেনএআই, অ্যানথ্রোপিকসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের এআই মডেলের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, এখন তাদের কোম্পানির ২৫ শতাংশ নতুন কোড তৈরি হচ্ছে এআই দিয়ে।
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গও জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য উন্নত এআই কোডিং মডেল তৈরিতে তিনি খুবই আগ্রহী। কিন্তু এত উন্নতির মধ্যেও এখনো বড় একটি সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
মাইক্রোসফটের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত এআই মডেলগুলো এখনো অনেক সাধারণ বাগ (প্রোগ্রামের ভুল) ঠিক করতে ব্যর্থ হয়, যা একজন অভিজ্ঞ ডেভেলপারের জন্য খুবই সহজ ব্যাপার।
মাইক্রোসফটের গবেষকরা ‘এসডব্লিউই-বেঞ্চ লাইট’ নামের একটি সফটওয়্যার ডিবাগিং টুল ব্যবহার করে ১০টি জনপ্রিয় এআই মডেল পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ছিল অ্যানথ্রোপিকের ক্লাউড ৩.৭ সনেট ও ওপেনএআইয়ের জিরো থ্রি মিনি মডেলও। ৩০০টি বাগ ঠিক করার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় মডেলগুলোকে। এমনকি এজেন্টদের পাইথনের ডিবাগার টুল ব্যবহারের সুযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ মডেলই অর্ধেকেরও কম সমস্যা সমাধান করতে পেরেছে।
সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে অ্যানথ্রোপিকের ক্লাউড ৩.৭ সনেট। এরপর ওপেনএআইয়ের জিরো ওয়ান এবং জিরো থ্রি মিনি মডেল ছিল তালিকায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এআই মডেলগুলোর দুর্বলতার দুটি বড় কারণ রয়েছে:
>> অনেক মডেল বুঝতেই পারে না ডিবাগিং টুলগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয় বা কোন টুল কোন সমস্যায় কার্যকর।
>> বড় সমস্যা হলো ডাটা ঘাটতি। বিশেষ করে এমন ডাটা কম রয়েছে, যেখানে দেখানো হয়েছে মানুষ ধাপে ধাপে কীভাবে বাগ খুঁজে বের করে এবং ঠিক করে। এই ধরনের সিকোয়েনশিয়াল ডিসিশন মেকিং ডাটা মডেলগুলোর উন্নতির জন্য খুবই দরকার।
গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণের সময় বিশেষ ধরনের ডাটা ব্যবহার করতে হবে, যেখানে একজন এজেন্টের ধাপে ধাপে ডিবাগার ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানের পুরো প্রক্রিয়া দেখানো থাকবে।
প্রকৃতপক্ষে, আগে থেকেই জানা গেছে এআই কোড লেখার সময় প্রায়ই ভুল করে এবং মাঝে মাঝে নিরাপত্তার ঝুঁকিও তৈরি করে। যেমন, ডেভিন নামে পরিচিত একটি জনপ্রিয় এআই টুল মাত্র ২০টি প্রোগ্রামিং পরীক্ষার মধ্যে তিনটিতে সফল হয়েছে।
সব মিলিয়ে মাইক্রোসফটের গবেষণা একটি বিষয় পরিষ্কার করেছে-এআই এখনো সফটওয়্যার ডিবাগিংয়ে মানুষের বিকল্প হতে পারেনি। যদিও বিনিয়োগকারীরা হয়তো এ গবেষণার ফলাফল দেখে এআই কোডিং টুলে বিনিয়োগ কমাবেন না, তবে ডেভেলপার এবং ম্যানেজারদের এআইয়ের উপর অন্ধ বিশ্বাস রাখার আগে আরো সচেতন হয়ে ভাবতে হবে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...