১ ঘন্টা আগে
৪ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
যাদের কাজ সহজে স্বয়ংক্রিয় করা যায়, তারা বেশি চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষ করে ব্যাংক টেলার, ক্যাশিয়ার, গ্রাহকসেবা প্রতিনিধি ও ট্রান্সক্রিপশনিস্টদের চাকরি বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
এআই প্রযুক্তি দ্রুত বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে। এতে কিছু চাকরি হারিয়ে যেতে পারে, তবে নতুন কাজের সুযোগও তৈরি হবে। দক্ষতা বাড়িয়ে ও নতুন কিছু শিখে মানুষ এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। তাই একে ভয় না পেয়ে, সুযোগ হিসেবে দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা। এটি নতুন উদ্ভাবন ও ক্যারিয়ারের নতুন দিক খুলে দেবে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ৪১ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন, কারণ এআই অনেক কাজ নিজেই করতে সক্ষম হবে।
গবেষণার এক জরিপে দেখা গেছে, যাদের কাজ সহজে স্বয়ংক্রিয় করা যায়, তারা বেশি চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষ করে ব্যাংক টেলার, ক্যাশিয়ার, গ্রাহকসেবা প্রতিনিধি ও ট্রান্সক্রিপশনিস্টদের চাকরি বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
গবেষণায় জানা গেছে, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কর্মীদের নতুন দক্ষতা শেখাবে, যাতে তাঁরা এআইয়ের সাহায্যে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বলছে, এআই ও নবায়নযোগ্য শক্তির অগ্রগতির কারণে চাকরির বাজারে বড় পরিবর্তন আসছে। কিছু প্রযুক্তিগত ও বিশেষজ্ঞ পেশার চাহিদা বাড়লেও, গ্রাফিক ডিজাইনের মতো কিছু কাজের চাহিদা কমছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, ব্যাংক ও গ্রাহকসেবার সব ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ভবিষ্যতে অনেক পেশার কাজ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে, যার ফলে মানুষের কাজের সুযোগ কমতে পারে।
গোল্ডম্যান স্যাকসের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে এআই ৩০ কোটি মানুষের চাকরির জায়গা নিতে পারে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকিং, ক্যাশিয়ার, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং প্রশাসনিক কাজের পেশা, যেমন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ও অফিস সহকারী।
বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কর্মী সংখ্যা কমাতে শুরু করেছে। আইবিএম জানিয়েছে, তারা এ বছর ৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে, কারণ তারা এআই প্রযুক্তি দিয়ে কাজের পদ্ধতি উন্নত করতে চাইছে।
মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে এবং এআই ব্যবহার করে কাজের পদ্ধতি উন্নত করবে। তবে এই পরিবর্তন কর্মীদের হতাশ করছে। সূত্র: সিএনএন
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...