ছবি: সংগৃহীত
চীন কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের তাদের অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া জরুরি’’-যোগ করেন হেলবার্গ।
এআইয়ের জন্য ম্যানহাটন প্রকল্পের মতো বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করছে মার্কিন সরকারী কমিশন (ইউএসসিসি)। চীনের সঙ্গে প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতার টিকে থাকতে মানুষের জ্ঞানের মতো বা তার চেয়ে উন্নত এআই সিস্টেম তৈরিতে এমন উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের এসব তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট বিনিয়োগ কৌশল উল্লেখ করেনি।
‘‘ম্যানহাটন প্রকল্প ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে একটি বিশাল সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি করা হয়।’’
‘‘ইতিহাস থেকে আমরা শিখেছি, যে দেশগুলো দ্রুত প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগায়, তারা প্রায়ই বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়’’, -রয়টার্সকে বলেন মার্কিন সরকারী কমিশনার এবং সফটওয়্যার কোম্পানি প্যালানটির সিইওর সিনিয়র উপদেষ্টা জেকব হেলবার্গ।
‘‘চীন কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের তাদের অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া জরুরি’’-যোগ করেন হেলবার্গ।
এআই মডেল প্রশিক্ষণে শক্তি পরিকাঠামোর একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করে হেলবার্গ পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘ডাটা সেন্টারের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজতর করা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এআই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার একটি সম্ভাব্য উপায় হতে পারে।’’
‘‘গত সপ্তাহে আমেরিকার এআই পরিচালনার কৌশলের জন্য একটি প্রস্তাবিত রূপরেখা প্রকাশ করেছে চ্যাটজিপিটি প্রস্তুতকারী ওপেনএআই। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নের জন্য আরও সরকারী তহবিল বরাদ্দের আহ্বান জানানো হয়।’’
২০০০ সালে কংগ্রেস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইউএসসিসি, ইউএস-চায়না সম্পর্ক নিয়ে বার্ষিক সুপারিশ প্রদান করে। এটি তার কঠোর নীতি প্রস্তাবনার জন্য পরিচিত এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের দিক-নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে।
চলতি বছর ইউএসসিসি রিপোর্টে অন্যান্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, ৮০০ ডলারের নিচে চীনা পণ্যগুলোকে ট্যারিফ থেকে মুক্ত রাখার ডি মিনিমিস ট্রেড এক্সেম্পশন বাতিল করা, সরকারী নজরদারিতে থাকা চীনা কোম্পানিগুলির জন্য ক্যাপিটাল গেইনস সুবিধা শেষ করা এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত বায়োটেকনোলজি কোম্পানিগুলিতে চীনের অংশগ্রহণের জন্য অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা।
রিপোর্ট সম্পর্কে একটি ব্রিফিংয়ে কমিশনার কিম্বারলি গ্লাস বলেছেন, ‘‘ই-কমার্স পণ্যের জন্য ডি মিনিমিস ট্রিটমেন্টের তাৎক্ষণিক অবসান প্যানেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ, কারণ বেশি পরিমাণ প্যাকেজের কারণে কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন জন্য বিপজ্জনক পণ্য, যেমন ফেন্টানিল রাসায়নিক এবং পিল প্রেস, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাহ বন্ধ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
‘‘কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ৪ মিলিয়ন বক্স আসে, যা গত বছরে আনুমানিক ১.৪ বিলিয়ন ডি মিনিমিস শিপমেন্টে পরিণত হয়েছে। এই বক্সগুলোর ভিতরে কী রয়েছে তা নজরদারি করা একেবারে অসম্ভব।’’- বলেন গ্লাস।
‘‘১৯৩০ এর দশকে ডি মিনিমিস তৈরি করা হয়েছিল যাতে আমরা বিদেশ থেকে ছোটখাটো সামগ্রী আনতে পারি এবং ট্যারিফ না দিতে হয়। তবে ই-কমার্স পরিবেশে এটি এখন চীনা পণ্যের জন্য একটি পথ হিসেবে পরিণত হয়েছে, যেখানে ট্যাক্সবিহীন এবং কোনো স্ক্রুটিনি ছাড়াই সেগুলো প্রবাহিত হয়’’- যোগ করেন তিনি।
গণতান্ত্রিক ও প্রজাতান্ত্রিক আইনপ্রণেতারা একটি সিরিজ বিল প্রস্তাব করেছেন, যা বিশেষত চীন থেকে আসা শিপমেন্টের জন্য ডি মিনিমিস নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্য রাখে। তবে নির্বাচনী বছরে দুই দেশের সহযোগিতা যথেষ্ট সফল হয়নি এবং শিপিং শিল্প ও বাণিজ্য সমর্থক গোষ্ঠীগুলো এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লবিং করেছে, তাদের দাবি, এটি ই-কমার্সে বাধা সৃষ্টি করবে। সূত্র: রয়টার্স।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...