সোমবার

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ


খবর

এআই দিয়ে লেখা বাংলাভাষার প্রথম উপন্যাস

প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ১১:৩০

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

চিন্তার মৌলিকত্ব এবং মেহা-ব্যক্তি সমাজব্যবস্থা ও যন্ত্রজীবনের বিপরীতে মানুষের মৌলিক অনুভূতিগুলো  কীভাবে তাড়িত করে তা প্রকাশ পেয়েছে উপন্যাসটিতে। বইটির গায়ের দাম ৪০০ টাকা। অনলািইনে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

গুহাচিত্রপাঠ-কাগুজে বই-কিন্ডার পার হয়ে এখন পদ্য, গদ্য এমনকি উপন্যাসও লিখে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এমনই একটি এআই চ্যাপটজিপিটি দিয়ে বাংলা ভাষায় বই লিখেছেন ড. মাহফুজ শামীম। তার প্রম্পট ব্যাবহার করে এআই দিয়ে লেখা বাংলাভাষার প্রথম উপন্যাস হয়ে রইলো ‘যুবক যেখানে যেমন’।

চিন্তার মৌলিকত্ব এবং মেহা-ব্যক্তি সমাজব্যবস্থা ও যন্ত্রজীবনের বিপরীতে মানুষের মৌলিক অনুভূতিগুলো  কীভাবে তাড়িত করে তা প্রকাশ পেয়েছে উপন্যাসটিতে। বইটির গায়ের দাম ৪০০ টাকা। অনলািইনে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

বইটি অনলাইনে রকমারি ডটকম ও প্রথমার পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বই মেলার ৬১০ নম্বর স্টলে। ১৬ পৃ্ষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে নৈঋতা ক্যাফে। বইয়ের মলাট কথন লিখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রাহেল রাজিব। সেখান থেকে জানাগেছে, ড. শামীম সাহিত্য নিয়ে পড়ালেখা করলেও পিএইচডি করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এক যুগেরও বেশি কাজ করেছেন দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে।

পাঠকদের মতে, উপন্যাসটি আধুনিক সমাজ, মনস্তত্ত্ব ও বাস্তবতার মিশেলে এক নতুন সাহিত্যিক অভিজ্ঞতা তৈরি করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশ্লেষণধর্মী ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি পাঠকদের এক নতুন ধরনের সাহিত্য আস্বাদন করাবে।

আর সমালোচকরা মনে করেন, এআই রচিত উপন্যাসের প্রতি পাঠকদের কৌতূহল ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে ইতোমধ্যেই, যা ভবিষ্যতে সাহিত্য জগতে প্রযুক্তির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। তাদের মতে, মানুষের জীবন প্রযুক্তির সাথে কখনো সম্পূরক কখনো পরিপূরক হিসেবে বিচার্য। চাকা আবিষ্কারে কিংবা নদীর স্রোত অথবা ঝরনাধারায় ব্যক্তি গতিকেই আবিষ্কার করেছে। কিন্তু নিজে সেটার উপযোগে শামিল হতে পারেনি।

এআই প্রযুক্তি ব্যক্তির সেই স্বপ্নজাত চিন্তাগুলোকে বাস্তবে রূপায়ণ করছে। ব্যক্তির অনুভূতিকে ভাষায় কিংবা আরও অনেক ফরমেটে রূপান্তর করছে। তাই চিন্তার মৌলিকত্ব এবং মেহা-ব্যক্তি সমাজব্যবস্থা ও যন্ত্রজীবনের বিপরীতে মানুষের মৌলিক অনুভূতিগুলো কীভাবে তাড়িত করে তা আমৃত্যু সতত সক্রিয় থাকে। মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে উঠলেও প্রযুক্তিকে কখনো কখনো অস্বীকার করলেও অপাঙতেয় করতে পারে না। 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৪৭ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর