বুধবার

ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ


খবর

দূর থেকে খাবারের স্বাদ পরখ করার যুগান্তকারী প্রযুক্তি ‘ই-টেস্ট’

প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৫, দুপুর ৩:০৮

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

গবেষকরা এমন একটি অভিনব প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা দূর থেকে খাবারের স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ, রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত খাবারের স্বাদ সরাসরি ঘরে বসেই উপভোগ করা সম্ভব হবে।

আপনি কি কখনো টেলিভিশনের রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে ভাবছেন, ইশ! যদি এই সুস্বাদু খাবারের স্বাদ আসলেই অনুভব করতে পারতাম? এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।

গবেষকরা এমন একটি অভিনব প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা দূর থেকে খাবারের স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ, রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত খাবারের স্বাদ সরাসরি ঘরে বসেই উপভোগ করা সম্ভব হবে।

গবেষকরা জানান, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ ডিজিটালভাবে সঞ্চারিত করা সম্ভব হবে, যা ব্যবহারকারীর ইন্দ্রিয়কে বাস্তবিক স্বাদের অনুভূতি দেবে। এ প্রযুক্তি খাদ্য শিল্প, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং দূর-নিয়ন্ত্রিত স্বাদগ্রহণের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন।

গবেষকদের তথ্যমতে, ‘ই-টেস্ট’ নামের সিস্টেমটি খাবারের স্বাদ বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে ধারণ করে এবং তা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে পুনরায় প্রকাশ করতে পারে। এই সেন্সরভিত্তিক প্রযুক্তি মুখের ভেতরে থাকা একটি যন্ত্রের মাধ্যমে লবণাক্ত, টক, মিষ্টি ও তেতো স্বাদ সৃষ্টি করতে সক্ষম।

এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের একটি ছোট ডিভাইস ব্যবহারকারীর নিচের দাঁতে সংযুক্ত করতে হবে। ই-টেস্ট সিস্টেমটি খাবারের স্বাদ অনুযায়ী বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠিয়ে মুখের ভেতরে নির্দিষ্ট রাসায়নিক উপাদান বা জেল নিঃসরণ করবে। ফলে ব্যবহারকারী হাজার মাইল দূরের খাবারের স্বাদও অনুভব করতে পারবেন।

গবেষণাগারে চালানো পরীক্ষায় ১৬ জন অংশগ্রহণকারী এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিশ্চিত করেছেন। খাবারের বিভিন্ন স্বাদের সংমিশ্রণ বুঝতে পারার পাশাপাশি কেক, ভাজা ডিম, মাছের স্যুপ ও কফির স্বাদও সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পেরেছেন তারা। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকদের দাবি, নতুন এই প্রযুক্তি অনলাইন কেনাকাটা, অনলাইন শিক্ষা, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও সংবেদনশীল বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের পুনর্বাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই প্রযুক্তি।

গবেষকদের মতে, এই উদ্ভাবন খাদ্যপ্রেমী, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের ডিজিটাল স্বাদগ্রহণের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। এটি শুধু রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠানের দর্শকদের জন্যই নয়, বরং খাদ্যশিল্প, গ্যাস্ট্রোনমি ও দূরবর্তী খাদ্য অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। সূত্র: ডেইলি মেইল

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৫২ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর