রবিবার

ঢাকা, ৩ নভেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ


বিশেষ প্রতিবেদন

দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট এলাকায় আইটি জোন চালু করা যেতে পারে: সৈয়দ আলমাস কবীর

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, দুপুর ১১:২০

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

দেশের যেকোনো জটিল পরিস্থিতিতে আইটি ইন্ডাস্ট্রির কার্যক্রম পরিচালনার বিকল্প উপায় হিসেবে  এসব পরামর্শ দেন তিনি।

দেশের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আইটি জোন চালু করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন এফবিসিসিআই উপদেষ্টা ও বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। দেশের যেকোনো জটিল পরিস্থিতিতে আইটি ইন্ডাস্ট্রির কার্যক্রম পরিচালনার বিকল্প উপায় হিসেবে  এসব পরামর্শ দেন তিনি।

স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো বডব্র্যান্ড ইন্টারনেট। সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে দেশের  ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন বিজনেস, রফতানি শিল্প, ই-কমার্স,  এফ-কমার্স, সফটওয়্যার বিজনেস, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, যোগাযোগসহ সব ধরনের ইন্টারনেটনির্ভর ব্যবসাতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন এসব খাতের ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সবাই এখন বিকল্প উপায় খুঁজছেন।

এ প্রসঙ্গে বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু এলকার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলোতে যেমন, রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ভিশন ২০২১ টাওয়ার, যশোর আইটি পার্ক বা শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এধরনের জায়গায় নিরবিচ্ছিন্ন হাই-স্পীড ইন্টারনেটের বিশেষ জোন করা যেতে পারে। দেশের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে সরকার ইন্টারনেটের গতি কমাতে পারে, এমনকি প্রয়োজনে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু ওই সুনির্দিষ্ট সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলোতে নেট চলামান থাকবে।

তিনি বলেন, এতে করে আমাদের আইটি ইন্ডাস্ট্রির ই-কমার্স, এফ-কমার্স, কুরিয়ার লজিস্টিক সাপোর্ট প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ীসহ ফ্রিল্যান্সাররা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য আগে থেকেই বেসিসের নেতৃত্বে আইটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা তালিকা করতে হবে যে, এ ধরনের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কোন কোম্পানি থেকে কতজন করে এসব ফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাবে।

শুধু দেশের মধ্যে ইন্টারনেট যোগাযোগ চালু প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই উপদেষ্টা বলেন, ইন্টারনেট হলো আন্তর্জাতিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম। শুধু দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের জন্যও ইন্ট্রানেট সংযোগেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমাদের আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এই ইন্ট্রানেটের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। এরপরও আমাদের সব সংযোগ বসে গেছে। কারণ আমাদের দেশে ডোমেন নাম সিস্টেম (ডিএনএস) সমাধান হয় না। এখানে রুট সার্ভার নাই। রুট সার্ভার যদি বাংলাদেশে রেখে ডিএনএসটা করা যেতো, তাহলে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে বিকাশ, নগদ, রকেট, শিউরক্যাশ, ইউটিলিটির বিলগুলো সহজে দেওয়া যেতো, নিজেদের মধ্যে ইমেইল দেওয়া যেতো। তাই দেশে রুট সার্ভার বসিয়ে ডিএনএস সমাধানের ব্যবস্থা রেখে নেটওয়ার্ক টপোলজিটা পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে এ ধরনের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমাদের নিজস্ব ইন্টারনাল নেটওয়ার্কটা চালু থাকবে।

সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, চলমান পরিস্থিতির কারণে লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল উভয় ক্লায়েন্টরা আইটি ব্যবসায়ীদের উপরে আস্থা হারিয়েছে। এখন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। লোকাল ক্লায়েন্টরা নিজেদের দরকারেই আবার আমাদের কাছে ফিরে আসবে।এই অস্থিতিশীলতার কারণে হয়তো তারা এখন আইটি সার্ভিস কেনা বন্ধ রাখবে, কিন্তু সেটা একটা সাময়িক সমস্যা। কিন্তু যারা বিদেশি ক্লায়েন্ট তারা আর কখনো ফিরে আসবে না।  কারণ বিদেশি ক্লায়েন্টরা কথা, কাজ ও কমিটমেন্টে বিশ্বাসী। যখন এই জায়গাটাতে আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়, তখন তারা কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ২১৭ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর