১ দিন আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ও টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে উদ্ভাবন ও ভৌগোলিক সুবিধার কৌশলগত ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা দুবাই থেকে চার ঘণ্টার দূরত্বে এবং দুই-তৃতীয়াংশ আট ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে। এ জন্য দুবাই একটি অতুলনীয় বৈশ্বিক কেন্দ্র বা গ্লোবাল হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে, যা ১০৪টি দেশের এবং ২৫৬টি শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।’
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যাক্রম আরও গতিশীল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)সহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ৯৩ মিলিয়ন বা ৯ কোটি ৩০ লাখ যাত্রীদের সেবা দিতে পারবে বিমানবন্দরটি। এয়ার ফিউচার হসপিটালিটি নামের সম্মেলনে বিমানবন্দরের সিইও পল গ্রিফিথস এসব তথ্য জানান।
গ্রিফিথস বলেন, ‘যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ও টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে উদ্ভাবন ও ভৌগোলিক সুবিধার কৌশলগত ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা দুবাই থেকে চার ঘণ্টার দূরত্বে এবং দুই-তৃতীয়াংশ আট ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে। এ জন্য দুবাই একটি অতুলনীয় বৈশ্বিক কেন্দ্র বা গ্লোবাল হাব হিসেবে গড়ে উঠেছে, যা ১০৪টি দেশের এবং ২৫৬টি শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।’
প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদের সংমিশ্রণের মাধ্যমে বিমানবন্দরটির যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও এটি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে।
২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ৪ কোটি ৪৯ লাখের ও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে বিমানবন্দরটি, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এটি আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে তার অবস্থানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
গ্রিফিথস বলেন, দুবাই এমন একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে কার্যক্রমের প্রতিটি দিক বাস্তব সময়ে মাইক্রোম্যানেজ করা হয়। এআই ক্যামেরা বিমানের পথ পরিবর্তনের পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন বাধার পূর্বাভাস দেয়। ফরে যাত্রীদের বিমানে ওঠানামা ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত এবং মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়।
এই তথ্যভিত্তিক পদ্ধতির মাধ্যমে উন্নত সেবা নিশ্চিত করেই বিমানবন্দরটি ক্রমবর্ধমান যাত্রীসংখ্যা সামলাতে পারে।
দুবাই তথা আমিরাতের দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো ও বিমান পরিবহন পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি দুবাইয়ের অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা ডি৩৩ এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এই অ্যাজেন্ডার লক্ষ্য হলো ২০৩৩ সালের মধ্যে দেশের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদন (জিডিপি) দ্বিগুণ করা হবে।
বিমানবন্দরের কর্মীদেরও দক্ষতাও প্রযুক্তিগত উন্নতির সঙ্গে সমান্তরালভাবে বিকশিত হয়েছে। এ জন্য ২০০৭ সালে থেকে দুবাই বিমানবন্দরে স্নাতক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়।
বিমানবন্দরের কর্মীদের সম্পর্কে সিইও পল গ্রিফিথস বলেন, ‘আমরা স্থানীয় প্রতিভায় বিনিয়োগ করেছি, এবং ব্যবস্থাপনা দলের ৭৮ শতাংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী।’
এই কার্যকারিতার বৃদ্ধি দুবাইয়ের বিস্তৃত রূপান্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বিমান পরিবহন, ভ্রমণ এবং পর্যটন খাতগুলো দুবাইয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই বছরের শুরুতে দুবাই এয়ারপোর্টের চেয়ারম্যান আহমেদ আল-মাকতুম বলেন, ‘বাড়তে থাকা যাত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাখার জন্য দুবাইয়ের অবকাঠামো সম্প্রসারণের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি চলতি বছরে ৯ কোটি যাত্রীদের সেবা দেওয়ার পূর্বাভাস দেন।’
প্রযুক্তির সমন্বয় এবং স্থানীয় প্রতিভার উন্নয়নের মাধ্যমে বিমানবন্দরের শুধু কার্যকারিতা বাড়েনি, বরং বৃহত্তর লক্ষ্যকেও সমর্থন করেছে। এই বৃহত্তর লক্ষ্য হলো দুবাইকে বিশ্বব্যাপী বিমান পরিবহনের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
এসব মাইলফলক দুবাইয়ের বিমানবন্দরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে। বিমানবন্দরটি কৌশলগত অবস্থান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং দক্ষ কর্মীর সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...