২০ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় হাজার হাজার মানুষকে পাচার করে জোর করে সাইবার প্রতারণায় নিয়োজিত করা হচ্ছে। এসব মানুষকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন, প্রেমের অভিনয় করে কারও কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতর (UNODC) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গড়ে ওঠা বহু বিলিয়ন ডলারের সাইবার প্রতারণা এখন শুধু আঞ্চলিক সমস্যা নয়, বরং বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রতারণার চক্রগুলো এখন শুধু এশিয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই। তারা তাদের কার্যক্রম দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশেও ছড়িয়ে দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় হাজার হাজার মানুষকে পাচার করে জোর করে সাইবার প্রতারণায় নিয়োজিত করা হচ্ছে। এসব মানুষকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন, প্রেমের অভিনয় করে কারও কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
অনেক দেশ, যেমন থাইল্যান্ড, এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তবে অপরাধীরা আরও দুর্গম এবং দুর্বল শাসনব্যবস্থার জায়গায় সরে গিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের ভাষায়, “এই প্রতারণা ঠিক ক্যান্সারের মতো, এক জায়গায় দমন করলে, তা অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।”
শুধু ২০২৩ সালেই যুক্তরাষ্ট্রে ৫.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারণা হয়েছে। এর মধ্যে ‘পিগ বাচারিং’ নামে পরিচিত প্রতারণার পদ্ধতিটি বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। এতে প্রতারকরা প্রেমের ছলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, তারপর তাদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, এই ধরনের প্রতারণা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, কারণ এটি অনলাইনে পরিচালিত হয় এবং সীমান্ত দিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজে ছড়িয়ে যায়। এখন আফ্রিকার জাম্বিয়া, নামিবিয়া, অ্যাঙ্গোলা ও ইউরোপের জর্জিয়ার মতো দেশেও এই চক্রগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সমস্যা মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশের মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া একে থামানো সম্ভব নয়। সূত্র: রয়টার্স
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...