১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
পরামর্শ এসেছে অটোমেশন ও ভোটিংয়ের মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজনীয় সংস্কারে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের দিকে না তাকিয়ে থেকে, নিজে থেকে সংস্কারে এগিয়ে যাওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
রাষ্ট্র মেরামতের এই সময়ে ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে কী ভাবছে অন্তর্বতীকালীন সরকার কিংবা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ফ্রিল্যান্সিং কতটা গুরুত্ব পাবে, বিষয়টি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ। আলোচনায় পরামর্শ এসেছে অটোমেশন ও ভোটিংয়ের মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজনীয় সংস্কারে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের দিকে না তাকিয়ে থেকে, নিজে থেকে সংস্কারে এগিয়ে যাওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। তাই দলের মধ্যে সংস্কার এবং নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তির ওপর পুরো আলোকপাত না করে প্রত্যেক সদস্যের ক্ষমতায়ন জরুরি। মুঠোফোনে খুদে বার্তায় ওটিপি দিয়ে গণমত যাচাই করার দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তরুণ ও বোদ্ধাদের নিয়ে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে বৈষম্য নিরসন এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায় বিচার সমুন্নত করতে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে এসব কথা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট বক্তারা।
রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্য নিয়ে 'ভয়েস ভর রিফর্ম' নামক একটি নতুন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে 'আত্মপ্রকাশ ও কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে প্ল্যাটফর্মটি।
এসময় প্ল্যাটফর্মটির সহ-আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শাহিনুর সুমি লিখিত বক্তব্যে জানান, 'ভয়েস ফর রিফর্ম' এমন একটি সময়োপযোগী, নির্দলীয়, ও মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে যেতে চায় যেখানে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশপ্রমিক ও গণতন্ত্রকামী সকল নাগরিক, বিশেষত আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন এবং পরামর্শ দিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভয়েস ফর রিফর্ম-এর উদ্যোগে 'মেরামত আলাপ' শীর্ষক ধারাবাহিক সংস্কার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। যার প্রথম ধাপ শুরু হবে ৪ অক্টোবর থেকে।
শাহিনুর সুমি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে এই মতামতের স্বাধীন, অর্থপূর্ণ ও অবাধ আদানপ্রদানের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য ও জনমুখী এমন কিছু সুনির্দিষ্ট সমাধান প্রস্তাব আকারে তৈরি করা যা নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে নাগরিকদের এই আলাপ দফায় দফায় নানান অপরিহার্য বিষয় নিয়েই চলমান রাখার প্রয়াস থাকবে ভয়েস ফর রিফর্ম-এর পক্ষ থেকে এবং সমমনা অন্যান্য সকল নাগরিক সংগঠনের অংশগ্রহণেই এই লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আমরা আশা রাখি।
তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিডিজবস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুরের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘ফয়েস অব রিফর্ম’-এর সহ সমন্বয়কদের মধ্যে গণমাধ্যম কর্মী মানজুর আল মতিন জানালেন, এমন আলোচনার মাধ্যমে তারা সরকারের কাছে বিভিন্ন স্তরের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চান।
আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম বলেন, আমরা ‘বেশি শোনা, কম বলার’ সংস্কৃতি গড়ে তুলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। ভালো আইনের প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করবো।
ভয়েস ফর রিফর্ম উদ্যোগের সহ-আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহীদুল আলম, মানবাধিকার কর্মী অশোক বড়ুয়া, আইনজীবী ও গণমাধ্যম কর্মী মানজুর-আল-মতিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজিফা জান্নাত, মাসুদ রানা, তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর, প্রকাশক ও গবেষক মাহরুখ মহিউদ্দীন, অধিকারকর্মী ও গবেষক মুক্তাশ্রী চাকমা, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ সাইয়ীদ কবীর, সাংবাদিক ও eআরকি সম্পাদক সিমু নাসের, রাজনৈতিক কর্মী সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন এবং শ্রম অধিকার কর্মী রুহুল আমিন।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...