বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো সর্বগুণে গুণান্বিত নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন: মোস্তাফা জব্বার
প্রকাশঃ ০১:৩২ মিঃ, নভেম্বর ২৪, ২০২০
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন একজন মহান নেতা। লেলিন, চেগুয়েভার, মাওসেতুং, হুচিমিন কিংবা কার্লমার্কসসহ বরেণ্য অনেক বিশ্ব নেতৃত্বকে অধ্যয়ন করেছি, কিন্তু বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো সকল গুণের অধিকারি একজন নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। মুজিব জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে শ্রদ্ধা জানানো হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী গতকাল সোমবার রাতে (নভেম্বর ২৩,২০২০) ঢাকায় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ওয়েবিনারে ডাক ভবনে বিসিএস পোস্টাল এসোসিয়েশন প্রকাশিত চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন এবং বিসিএস পোস্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি জেসান ইসলাম বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবলমাত্র হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং রাজনীতিবিদ। শেখ মুজিব ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত দুটি রাষ্ট্র গঠনের বিপরীতে একটি ভাষাভিত্তিক আধুনিক জাতিরাষ্ট্র গঠনের দূরদর্শী স্বপ্ন দেখেন। ভাষাভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের ধারণা তখন ইউরোপ, জাপান, কোরিয়া বা চীনের বাইরে প্রসারিত হয়নি। এ অঞ্চলে ভাষা রাষ্ট্র ধারণা ছিলো অকল্পনীয় বরং পাকিস্তান ভারত তৈরি হয় সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জনগণকে সংগঠিত করে জনগণকে সাথে নিয়ে জনযুদ্ধ করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পৃথক রাষ্ট্রগঠনে ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব পাশ কাটিয়ে ১৯৪৭ সালে দুটি রাষ্ট্র গঠন ছিলো সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, সিলেট পূর্ব বাংলা থেকে যাতে খন্ডিত না হয় তা রুখতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গড়তে সিলেট গিয়েছিলেন। ৪৮ সালে তার রাজনৈতিক ধারণা প্রকাশ পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভূ-খণ্ডের গোটা জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব অন্ধের মতো অনুসরণ করেছে। জনাব মোস্তাফা জব্বার, ৬৮‘র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, আগরতলা মামলা দায়ের করার পর তৎকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। লাহোরে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জোরালো আপত্তি জানান এবং প্রতিহত করেন। বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ, তাই বেগম মুজিবের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র নামে খ্যাত মামলা প্রত্যাহার করতেই হবে। বঙ্গবন্ধু যেন শক্ত থাকেন সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছার তথ্যের ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান বেগবান হয়।
প্রবল গণ-অভ্যূত্থানের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্ত হলেন ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯। বঙ্গমাতার দূরদর্শিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ খুলে দিয়েছিল। জনাব মোস্তাফা জব্বার, কাজের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্লের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে ডাক কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। মন্ত্রী ডিজিটাল ডাকঘর বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে ডাকঘরকে ডিজিটাল সেবা প্রতিষ্ঠানে হিসেবে গড়ে তুলতে তার সংকল্প পুণ:ব্যক্ত করেন
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৯৩ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

উদ্ভাবন মেধাসত্বের মাধ্যমে সুরক্ষতি রাখতে হবে, মোস্তাফা জব্বার
ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, উদ্ভাবনের নিরাপওা মেধাসত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইনোভেশন যতই করা হোক না কেন তাকে মেধাসত্বের মাধ্যমে সুরক্ষতি রাখতে হবে। আর মেধাসত্বের শুধু জাতীয় র্পযায়ইে না বরং আন্তর্জাতিক র্পযায়ওে সংরক্ষণ করতে হবে।আমাদের উদ্ভবনগুলো আন্তর্জাতিক পেটেন্টের মাধ্যমে নিরাপদ রাখা দরকার ।
প্যানেলে আলোচনায় দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের