অনুষ্ঠিত হলো এন্টারপ্রাইজ সামিট -২০১৯: ব্যাংকিং সেবায় অটোমেশন প্রযুক্তি দেশকে ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে
প্রকাশঃ ০৫:০৯ মিঃ, জুলাই ২১, ২০১৯
ব্যাংকিং খাতে ক্রেতা সেবায় পুনরাবৃত্তি মুলক কাজে রোবোটিক্র প্রসেস অটোমেশন বা কৃএিম বুদ্বিমত্তা এবং মেশিন লানিংপ্রযুক্তি সংযুক্ত সফটওয়্যারের ব্যাবহার নিশ্চিত করবে সুলভে আধুনিক ক্রেতা সেবা । এন্টারপ্রাইজ বিজনেস খাতে অটোমেশন জনপ্রিয়করনে এবং দেশীয় ব্যাংকি খাতের সেবার মান উন্নয়নে আরপিএ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন এন্টারপ্রাইজ সামিট -২০১৯ আগত বক্তারা। আজ রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্টিত হলো এন্টারপ্রইজ সামিট-২০১৯ । প্রথমবারের মত অনুষ্টিত এই সামিট যৌথভাবে আয়োজন করেছে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এবং ইউআই প্যাথ। সন্ধা ৬ টায় অনুষ্টিত এই সামিটে প্রধান অতিথি হিসাবেউপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন আরা বেগম,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জনসংখ্যা গবেষনা এবং প্রশিক্ষণ ইন্সিটিটিউশনের মহাব্যবস্থাপক জনাব শুশান্ত কুমার সাহা , বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব,টেলি যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোঃ মহসিনুল আলম, এলআইসিটি প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান রিজাউল করিম এবং ইউআই প্যাথের রিজিওনাল ম্যানেজার শুভ্রাংশু মুর্খাজী। অনুষ্টানের সভাপতিত্ব করেন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার।
স্বাগত বক্তব্য তপন কান্তি সরকার বলেন-দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মেধা ও যোগ্যতার উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন সহ আইসিটি শিল্পে উন্নয়নে কাজ করছে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ। ইউপ্যাথ বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিষ্টান যারা মেশিনে লার্নিং এবং কৃএিম বুদ্বিমত্তা সম্পন্ন সফটওয়্যার বা আরপিএ মত ইনোভেটিভ সুল্যশান সেবা নিয়ে কাজ করে । ইনোভেটিভ এই উদ্ভাবন প্রয়োগের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে আটোমেশন অনেকটাই সহজ। ব্যাংকিং খাতে ক্রেতা সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয় যেখানে কর্মকর্তা কর্মচারীরা যথেষ্ঠ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় । এ কাজগুলো সাধারনত পুনরাবৃত্তিমুলক হলেও এই সেবা নিশ্চিত করন ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। এধরনে সেবা বেশীর ভাগ ক্ষেএেই তথ্য প্রদান মূলক তাই এতে ভুল হবার ঝুকিও থাকে। এ সেবা প্রদানেরোবোটিক্স প্রসেস অটোমেশনলার্নিং এবং কৃএিম বুদ্বিমত্তা সম্পন্ন সফটওয়্যার বা আরপিএ ব্যবহারের যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে আমাদের দেশে। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে আমরাবাংলাদেশে আরপিএ প্রযুক্তি সেবার সম্ভাবনার বিষয়গুলো নিয়েই শুনবো এবং জানবো এই সেবার প্রয়েগিক সুফল সর্ম্পকে । এই উন্নত সেবা প্রদানে ইউআই প্যাথ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান , তাই আমরা তাদেরকে আমন্ত্রন জানিয়েছি আমাদের দেশে এন্টার প্রাইজ সল্যুশান হিসাবে এই সেবায় পরিচয় করিয়ে দিতে। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রযুক্তি সেবা অটোমেশনের গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালনের মাধ্যমে দেশকে ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে ।
অনুষ্ঠানে মুল বক্তব্য পেশকরেন ইউআই প্যাথের সিনিয়র সেলস ডিরেক্টর জনাব আনশুমান রায়। বক্তেব্যে তিনি বলেন - ব্যবসায়িক খাতে সেবায় ক্রেতা সন্তুষ্টি গুরুত্বপূর্নতাই ক্রেতাসেবাকে সকল এন্টার প্রাইজ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে । এ খাতে ব্যায়ের পরিমানও তুলনামূলক ভাবে বেশী সেখানে কর্মচারীর সম্পৃক্ততাও বেশী কিন্ত কাজগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক , যা করতে যথেষ্ঠ সময় ব্যয় হয় । এই কাজগুলোকে সহজ এবং সাশ্রয়ী করতেই মেশিন লানিং প্রযুক্তি এবং কৃএিম বুদ্ধিমত্তার সংযুক্তিতে সফটওয়্যার সেবাউদ্ভাবন করছে ইউআইপ্যাথ যা আরপিএ নামে পরিচিত । এই সফটওয়্যারটি মূলত; মেশিন লানিং এবং রোবোট্রিক্স এর মাধ্যমে পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ গুলোকে আরো স্বংক্রিয়,সহজ ও সাশ্রয়ী ভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের ফলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেশিন লানিং কৃএিম বুদ্ধিমত্তা সহ রোবোট্রিক্স প্রযুক্তি, যা এন্টারপ্রাইজ সমূহকে আটোমেশনে উৎসায়িত করছে। অটোমেশন সেবা প্রচলন ব্যয়বহুল মনে হলেও এর প্রচলনে এন্টারপ্রাইজ সমূহের মানসিক আগ্রহই জরুরী। সারা বিশ্ব এখন এই অটোমেশনে আগ্রহী এ ক্ষেএে এর প্রয়োগে সবচেয়ে বেশী কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে ব্যাংকিং সেবায়। ব্যাংকিং সেবায় এর সম্ভাবনার কধা উল্লেখ তিনি বলেন- একই ধরনের কাজ বারবার করতে মানুষের মেধার এবং শক্তির পরিবর্তেআরপিএ দিতে পারবে সহজ এবং অভিনব সমাধান। বক্তব্যেতিনি ব্যাংকিং সেবার বিভিন্নখাতে আরপিএ প্রযুক্তি কিভাবে ভ্যালু সংযোগ করতে পারে তার বর্ণনা দেন।
অনুষ্ঠানে আরপিএ সেবা ব্যবহারকারী হিসাবে অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন এক্সপো গ্রুপের হেড অফ অটোমেশন এবং সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান জনাব ফয়সাল মোহাম্মদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসনে আরা বেগম বলেন- বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল রূপান্তরের পথে যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেবার প্রয়োগ এবং ব্যবহারে আমরা উৎসাহী। এক্ষেএে ব্যাংকিং সেক্টরে কর্মরত প্রযুক্তি কর্মকর্তারা অগ্রগামী ভুমিকা রাখতে পারে কারন প্রতিষ্ঠানিক বা অবকাঠামোগত ভাবে ব্যাংকিংখাত নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে সহজে এগিয়ে আসতে পারে। প্রযুক্তির এ যুগে দেশের বাজারে এ ধরনের প্রযুক্তিকে পরিচয় করে দেয়ার জন্য সিটিও ফোরামের এই আয়োজনকে আমি সাধুবাদ জানাই , এবং বিশ্বাস করি দেশের ব্যাংকিং খাতেএই প্রযুক্তির প্রয়োগের তারা উৎসায়িত হবেন, কেননা এভাবে প্রতিটি শিল্পখাত যদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসায়িত হয় তবে এর সুফল ভোগ করতে দেশের সকল জনগন , এবং শিল্পখাত সমুহের উন্নয়নে বাংলাদেশর এগিয়ে যাবে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় জনসংখ্যা গবেষনা এবং প্রশিক্ষণ ইন্সিটিটিউশনের মহাব্যবস্থাপক জনাব শুশান্ত কুমার সাহা ,বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, এবং ইউআই প্যাথের রিজিওনাল ম্যানেজার শুভ্রাংশু মুর্খাজী ।
সামিটে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে দুই শতাধিক প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি কমকর্তা অংশগ্রহন করেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৩৮৬ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

উদ্ভাবন মেধাসত্বের মাধ্যমে সুরক্ষতি রাখতে হবে, মোস্তাফা জব্বার
ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, উদ্ভাবনের নিরাপওা মেধাসত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইনোভেশন যতই করা হোক না কেন তাকে মেধাসত্বের মাধ্যমে সুরক্ষতি রাখতে হবে। আর মেধাসত্বের শুধু জাতীয় র্পযায়ইে না বরং আন্তর্জাতিক র্পযায়ওে সংরক্ষণ করতে হবে।আমাদের উদ্ভবনগুলো আন্তর্জাতিক পেটেন্টের মাধ্যমে নিরাপদ রাখা দরকার ।
প্যানেলে আলোচনায় দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের