বুধবার

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ


ট্রেন্ডিং

ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্ভাব্য অপরাধীদের শনাক্ত করার সফটওয়্যার

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ১২:৩৪

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল ট্রেন্ডসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পটির প্রাথমিক নাম ছিল ‘হোমিসাইড প্রেডিকশন প্রকল্প’। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘ঝুঁকি মূল্যায়ন উন্নয়নে ডেটা শেয়ারিং’। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রণালয় অব জাস্টিস এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত ডেটা, যার মধ্যে প্রবেশন সার্ভিসের তথ্যও রয়েছে।

আমাদের চারপাশে প্রযুক্তি খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আগে যা শুধু সিনেমায় দেখা যেত, এখন তা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে। যেমন, মাইনরিটি রিপোর্ট নামে এক সিনেমায় দেখানো হয়েছিল, এমন এক প্রযুক্তি যা আগে থেকেই বলে দিতে পারে, কে অপরাধ করতে যাচ্ছে।

এখন যুক্তরাজ্যেও এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে। এটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য দেখে বুঝতে পারবে। কেউ ভবিষ্যতে খুন করতে পারে কি না। যদিও এখনো এটি পুরোপুরি চালু হয়নি। তবে সরকার বলছে, এই প্রযুক্তি বড় অপরাধ থামাতে সাহায্য করতে পারে।

ডিজিটাল ট্রেন্ডসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পটির প্রাথমিক নাম ছিল ‘হোমিসাইড প্রেডিকশন প্রকল্প’। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘ঝুঁকি মূল্যায়ন উন্নয়নে ডেটা শেয়ারিং’। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রণালয় অব জাস্টিস এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত ডেটা, যার মধ্যে প্রবেশন সার্ভিসের তথ্যও রয়েছে।

প্রবেশন বলতে বোঝায়, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে শাস্তি স্থগিত রেখে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ প্রদান। এই প্রবেশন প্রক্রিয়ার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমেই সফটওয়্যারটি গুরুতর সহিংসতার সম্ভাবনা নির্ণয় করবে বলে জানানো হয়েছে।

সরকার দাবি করেছে, প্রকল্পটি এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি অপরাধ প্রতিরোধে নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করবে। তবে এর বিরোধিতায় সোচ্চার হয়ে উঠেছে নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা সংগঠন স্টেটওয়াচ।

একটি ফ্রিডম অব ইনফরমেশন (এফওআই) অনুরোধের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কথা জনসমক্ষে আনে সংগঠনটি। তাদের দাবি, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষকে অপরাধী হওয়ার আগেই প্রোফাইলিং করা হবে, যা বিচারব্যবস্থার বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও গভীর করবে।

স্টেটওয়াচের গবেষক সোফিয়া লায়াল বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে, অপরাধ পূর্বাভাসভিত্তিক সিস্টেমগুলোতে অনেক ত্রুটি থাকে। তবুও সরকার এগুলো চালু রাখতে চায়, যা কিছু করার আগেই মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করবে।”

লায়াল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন এই ‘হত্যার পূর্বাভাস’ প্রযুক্তির উন্নয়ন বন্ধ করে।

উল্লেখ্য, লেখক ফিলিপ কে ডিকের ১৯৫৬ সালের উপন্যাস মাইনরিটি রিপোর্ট-এ এই ধরনের ধারণা প্রথম গুরুত্বসহকারে উঠে আসে। এরপর ২০০২ সালে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্রে বিষয়টি জনপ্রিয়তা পায়। সিনেমাটিতে অভিনয় করেন টম ক্রুজ, যেখানে ‘প্রেকগ’ নামের কিছু বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ ভবিষ্যতের অপরাধ সম্পর্কে পূর্বাভাস দেন এবং পুলিশ অপরাধ সংঘটনের আগেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে।

বাস্তব জগতে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পুলিশ বিভাগে ‘প্রেডিকটিভ পুলিশিং’ বা অপরাধের পূর্বাভাসভিত্তিক নজরদারি পদ্ধতি চালু হয়েছে। তবে এতে তথ্যগত ভুল, পক্ষপাত এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ উঠায় তা ক্রমেই আইনি চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনার মুখে পড়ছে। সূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৯০ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর