মঙ্গলবার

ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫

সর্বশেষ


খবর

দেশে গুগল পে ব্যবহার নিয়ে ৫ প্রশ্নের উত্তর

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, দুপুর ১:৩২

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: ভিসা

গুগল পে ব্যবহারে আপাতত বাড়তি কোনো খরচ নেই। তবে খরচের ব্যাপারটি নির্ভর করে যে ব্যাংক কার্ড ইস্যু করেছে, তাদের উপর।

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো গুগলের লেনদেন সেবা ‘গুগল পে’। দেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সিটি ব্যাংক পিএলসি। শুরুতে কেবল সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা সুবিধাটি পেলেও ক্রমে অন্য ব্যাংকগুলোও এতে যুক্ত হবে।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার দেশে গুগল পে চালুর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ও সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও ছিলেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ কামাল, ভিসা বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহম্মেদসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পাঁচ প্রশ্নের উত্তরে জেনে নেওয়া যাক গুগল পে কী, কীভাবে কাজ করে, কাদের জন্য, ইত্যাদি।

গুগল পে কী এবং এটা দিয়ে কী করা যায়? 

গুগল পে হলো এক ধরনের ডিজিটাল ওয়ালেট। এ ধরনের ওয়ালেট অ্যাপে সচরাচর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা এটিএম কার্ড নম্বর যুক্ত করে নিতে হয়। এতে কেনাকাটার পর অর্থ পরিশোধের সময় পজ মেশিনে আর এটিএম কার্ড দিতে হয় না। হাতের স্মার্টফোনটিই তখন ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে কাজ করে। পজ মেশিনে সেটি স্পর্শ করার পর ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করলেই ব্যাংক থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেয়। লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে, গুগল পে কেবল সংযোগ করিয়ে দেবে।

গুগল পে কি সবাই ব্যবহার করতে পারবে?

ওয়ালেট সেবাটি চালুর জন্য গুগলের পাশাপাশি মাস্টারকার্ড ও ভিসা সিটি ব্যাংককে সহায়তা করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কেবল সিটি ব্যাংক থেকে ইস্যু করা মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ড গুগল ওয়ালেটে যুক্ত করা যাবে। পরে অন্য ব্যাংকও যুক্ত হলে সে সুযোগ আরও প্রসারিত হবে। ভবিষ্যতে হয়তো বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল আর্থিক সেবাগুলোও গুগল পেতে যুক্ত করা যাবে।

কীভাবে গুগল পে ব্যবহার করতে হবে?

প্লে স্টোর থেকে ‘গুগল ওয়ালেট’ অ্যাপটি নামিয়ে সিটি ব্যাংকের ভিসা বা মাস্টারকার্ড যুক্ত করে নিতে হবে। অ্যাপ থেকে কার্ডের ছবি তুলেও তা যুক্ত করা যায়। পরিচয় যাচাই করলেই কার্ডটি গুগল ওয়ালেট থেকে ব্যবহারযোগ্য হয়ে যাবে। এরপর লেনদেনের সময় পজ টার্মিনালে ফোনটি ট্যাপ করে মূল্য পরিশোধ করা যাবে।

কোথায় গুগল পে ব্যবহার করা যাবে?

যেসব জায়গায় এটিএম কার্ড দিয়ে অর্থ পরিশোধ করা যায়, এখন সেখানে হাতের স্মার্টফোনটিই যথেষ্ট। এ জন্য অবশ্য স্মার্টফোনে নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) এবং পজ মেশিনে কন্টাক্টলেস লেনদের সুবিধা থাকতে হবে।

গুগল পে ব্যবহারের ফি কত?

গুগল পে ব্যবহারে আপাতত বাড়তি কোনো খরচ নেই। তবে খরচের ব্যাপারটি নির্ভর করে যে ব্যাংক কার্ড ইস্যু করেছে, তাদের উপর।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৬৫ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর