দায়মুক্ত হয়ে ঘুরে দাাঁড়াতে চান রাসেল

নতুন করে শুরু হওয়ার পর ৪-৮ শতাংশ লাভে চলছে ই-ভ্যালি। এভাবে চললে দুই থেকে তিন বছরে সব দায়মুক্ত হতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইভ্যালি প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী মোহাম্মাদ রাসেল। এরই মধ্যে ‘বিগব্যাং’ নিয়ে ২৯ হাজার ডেলিভারি দিয়ে ৫০ লাখের মতো লাভ করেছে ইভ্যালি। তাই এখানকার সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার দেনা পরিশোধ করতে চান তিনি। বলেছেন, ইভ্যালিকে বিজনেস করতে দিলে প্রতি মাসে ২৯ লাখ ডেলিভারি দিতে প্রস্তুত ইভ্যালি।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এমন আশাবাদের কথা বলেন তিনি। রাসেল বলেছেন, এখন পর্যন্ত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বায়নার ক্রম ও লেনদেনের বিষয় পর্যালোচনা করে সরকারি সহায়তায় মুনাফা থেকে পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করতে শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।  

গ্রাহকের আটকে থাকা ৯ কোটি টাকা গেটওয়ে থেকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্রেতা যে দুর্ভোগে পড়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এই ঘটনাকে ‘অ্যাকসিডেন্ট’ উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, শুরুতেই ভোক্তা অধিকারে জমা পড়া ১৭ হাজার অভিযোগের দেনা দেওয়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করবেন তিনি।

তিনি জানালেন, ওয়্যার হাউজের ৭৫ শতাংশ পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে নতুন অ্যাপেই পুরানো তথ্য পেয়ে যাবে। ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে প্রাথমিক অডিট শুরু করবে ইভ্যালি। পুরাতন দেনা পরিশোধ ইভ্যালির প্রধান লক্ষ্য। পর্যায়ক্রমে দেনা শোধ করবে। লাভ ছাড়া আর ব্যবসা করবে না। গ্রাহক থেকে কখনো অগ্রিম টাকা নেবে না। বিক্রেতারাও যেন এটা না করেন সে জন্য সচেষ্ট থাকবে। মে মাসে যত টাকা লাভ হবে তার পুরোটাই দেনা শোধে পরিশোধ করবে। দেনা শোধের আগে কোনো পরিচালক ব্যবসা থেকে টাকা নেবে না। আর যাদের হাতে চেক আছে তাদের সব টাকাই দেওয়া হবে।

তারপরও সমালোচনা মূলক কোনো সংবাদ করলে যাচাই করে নেওয়ার আহ্বান জানান মোহাম্মাদ রাসেল। বললেন, আমাকে প্রশ্ন করে উত্তর না পেলে অবশ্যই নিউজ করবেন।