মঙ্গলবার

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ


খবর

চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো আইসিটি আইন

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ১০:৪৮

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

আইসিটি আইনের কমপক্ষে ২০টি ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সংরক্ষণের প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) বিচার প্রক্রিয়া অডিও ও ভিডিও করার বিধান রেখে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস)(সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’

বৈঠক শেষে বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে।

খসড়া অধ্যাদেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কিছু কিছু অপরাধের স্থল ঠিক করা ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এখন বাংলাদেশের বাইরেও যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আমলযোগ্য কোনো অপরাধ সংগঠিত হয় সেগুলোও নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে বিবেচনায় নেওয়া যাবে।’

‘একটি বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে- পাবলিক হিয়ারিং হবে কিনা। অনেক সময় দেখা যায় কেউ কেউ ছবি নিতে চান, কোর্ট প্রসিডিংয়ের ভিডিও অডিও এগুলো রেকর্ড করতে চান। আমরা মডার্ন হয়েছি, প্রগেসিভ হয়েছি, আলাপ-আলোচনা হয়েছে যে, কোর্টের ডিসকাশনে ছেড়ে দিতে পারি। পরবর্তীকালে রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণের জন্য তারা অডিও ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারে। আইনে সেই প্রভিশনটা রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল এগুলো রেকর্ড করতে পারবে। তবে এগুলো বাইরে সম্প্রচার হবে না। গণমাধ্যমের এটা করার সুযোগ থাকবে না।’

শেখ আব্দুর রশীদ আরও বলেন, ‘একটা মামলার প্রসিডিং চলছে, এটা চলা অবস্থায় কোন একটা পয়েন্টে বা ছোট্ট একটা অর্ডারের বিপক্ষে সংক্ষুব্ধ কেউ আপিল করতে চাইতে পারে যে, এ অর্ডারটা বা অংশটুকু আমরা মানি না। সেই অন্তর্বর্তী আপিল তারা করতে পারবেন, সেই প্রভিশন অধ্যাদেশে যুক্ত হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে সেটা নিষ্পত্তি করতে হবে।’

তিনি বলেন, বিচারকাজ পর্যবেক্ষণে বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষক আনা যাবে। আগের আইনে এটি ছিল না।

রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে কী আছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি ছিল। তবে এ বিষয়ে কী হয়েছে সেটি আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল আপনাদের জানাবেন।

আইসিটি আইনের কমপক্ষে ২০টি ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণহত্যা, মানবতা-বিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩’ প্রণয়ন করা হয়। রোম স্ট্যাটিউট অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিন্যাল কোর্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা আনা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রচলিত বিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এই আইনের বিচারকাজ নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন কর্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন এর অধিক সংশোধন সমীচীন ও আবশ্যক।

এ প্রেক্ষাপটে আইন ও বিচার বিভাগ আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর সংজ্ঞা যুগোপযোগীকরণ, অপরাধের দায় নির্ধারণ, অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে বিচারকাজ ধারণ ও সম্প্রচার, বিদেশি কাউন্সেলরের বিধান, বিচারকালে অভিযুক্তের অধিকার, অন্তর্বর্তীকালীন আপিল, সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা সংক্রান্ত বিধান, তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তল্লাশি ও জব্দ করার বিধান, পর্যবেক্ষক, সাক্ষীর সুরক্ষা, ভিকটিমের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষার বিধান সংযোজন করে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস)(সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।
 

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ২২ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর