৫৮ মিনিট আগে
ছবি: সংগৃহীত
এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য হুমকি হতে পারে। এছাড়া, বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপসিকের প্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএস জানিয়েছে, চীনা এআই অ্যাপ ডিপসিক ব্যবহারকারীদের গোপনীয় তথ্য গোপনে সংগ্রহ করছে।
সংস্থাটি বলছে, অ্যাপটি কেবল চ্যাট বা প্রশ্নোত্তরের জন্য ব্যবহৃত নয়, বরং ব্যবহারকারীদের ইনপুট করা সব তথ্য নিজেদের এআই প্রশিক্ষণের জন্য সংরক্ষণ করছে।
এনআইএসের মতে, এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য হুমকি হতে পারে। এছাড়া, বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপসিকের প্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএস জানিয়েছে, তারা গত সপ্তাহে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ডিপসিক নামের চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যাপ ব্যবহারে সতর্ক থাকতে বলেছে এবং এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠিয়েছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে এনআইএস জানায়, অন্যান্য এআই পরিষেবার তুলনায় ডিপসিক ব্যবহারকারীদের চ্যাট রেকর্ড অন্য কোথাও পাঠাতে পারে। কারণ, এতে এমন একটি ফাংশন রয়েছে যা কিবোর্ড ইনপুট প্যাটার্ন সংগ্রহ করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করার পাশাপাশি ‘ভলসিয়েপলগ ডটকম’ নামের চীনা কোম্পানির সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগের সক্ষমতাও রাখে।
নিরাপত্তার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ইতোমধ্যে সরকারি ডিভাইসগুলোতে ডিপসিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া ও তাইওয়ানও এ অ্যাপের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
এনআইএস আরও অভিযোগ করেছে যে, ডিপসিক ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সার্ভারে সংরক্ষণ করছে এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের তাদের ডেটায় অবাধ প্রবেশাধিকার দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, চীনের আইন অনুযায়ী সরকার চাইলে সহজেই এসব ডেটা সংগ্রহ করতে পারে।
এছাড়া, সংস্থাটি জানিয়েছে, ডিপসিক বিভিন্ন ভাষায় সংবেদনশীল প্রশ্নের ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দিচ্ছে। যেমন, কোরিয়ান ভাষায় কিমচির উৎপত্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে অ্যাপটি জানায়, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার খাবার।
কিন্তু চীনা ভাষায় একই প্রশ্ন করলে অ্যাপটি জানায়, কিমচির উৎপত্তি চীনে। এনআইএসের মতে, এটি ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করতে পারে।
এছাড়া, ১৯৮৯ সালে চীনে ঘটে যাওয়া তিয়েনআনমেন স্কয়ার বিক্ষোভের মতো রাজনৈতিক বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডিপসিক সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলে, ‘আসুন অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলি।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও ডিপসিক রয়টার্সের ইমেইলের কোনো জবাব দেয়নি।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সংস্থাগুলোতে ডিপসিক নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘চীন কখনও কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তিকে আইন লঙ্ঘন করে তথ্য সংগ্রহ করতে বলে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) স্টার্টআপ কোম্পানি ডিপসিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে চ্যাটবটটি কর্মীদের সাময়িকভাবে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ারশিল্প মন্ত্রণালয়।
একজন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সরকার চীনা জেনারেটিভ এআই চ্যাটবট নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে। সূত্র: রয়টার্স
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...