ছবি: সংগৃহীত
হুমকির মাত্রা যত বড় হবে, আমাদের প্রতিরোধও তত শক্তিশালী হতে হবে, যাতে আমরা আমাদের নাগরিক ও সিস্টেমগুলো রক্ষা করতে পারি। ৭৫ বছর পর, এটা স্পষ্ট যে, বর্তমানে ন্যাটোকে আগের চেয়ে আমাদের অনেক বেশি প্রয়োজন।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বড় সামরিক জোট এবং উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা ন্যাটো ও ব্রিটেনকে এআই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হবে। আজ সোমবার লন্ডনে ন্যাটোর সাইবার প্রতিরক্ষা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার আগে গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে এই সব কথা বলেন ব্রিটিশ মন্ত্রী প্যাট ম্যাকফ্যাডেন।
রাশিয়ার সাইবার অপরাধীরা ইউক্রেনের সমর্থক দেশগুলোকে বেশি করে আক্রমণ করছে বলে বক্তব্যে দেশবাসীকে সতর্ক করেন তিনি। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সম্মেলনে প্যাট ম্যাকফ্যাডেন জানাবেন, ব্রিটেন এআই নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন ল্যাব চালু করবে। এই ল্যাব সাইবার নিরাপত্তা জোরদার ও আক্রমণের তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করবে।
বক্তব্যে ইউক্রেনের সমর্থক দেশগুলোর ওপর মস্কোর সাইবার আক্রমণ বাড়ার বিষয়ে সতর্ক করে ম্যাকফ্যাডেন বলেন, ‘নিজেদের সুরক্ষায় ডিজিটাল জগতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’’ রাশিয়াকে আরও আক্রমণাত্মক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
‘‘সাইবার যুদ্ধ এখন আমাদের দৈনন্দিন বাস্তবতা। এখানে প্রতিদিন আমাদের প্রতিরক্ষা পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’, - যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই হুমকির মাত্রা যত বড় হবে, আমাদের প্রতিরোধও তত শক্তিশালী হতে হবে, যাতে আমরা আমাদের নাগরিক ও সিস্টেমগুলো রক্ষা করতে পারি। ৭৫ বছর পর, এটা স্পষ্ট যে, বর্তমানে ন্যাটোকে আগের চেয়ে আমাদের অনেক বেশি প্রয়োজন।’’
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, এর আগে মস্কো সাইবার আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং কর্মকর্তারা এসব অভিযোগকে রাশিয়াবিরোধী ভাবনা সৃষ্টি করার চেষ্টাও বলেছে।
ম্যাকফ্যাডেন বলেন, ২০২২ সালে রাশিয়া পূর্ণ আক্রমণ শুরুর পর, ইউক্রেনকে সমর্থনকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে এআই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে, যা তিনি ব্রিটেন এবং তার বন্ধুদের ওপর সাইবার যুদ্ধের দৈনন্দিন হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
‘‘এআই ইতিমধ্যে জীবনের অনেক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তায় বড় পরিবর্তন এনে দিচ্ছে। কিন্তু যখন আমরা এই প্রযুক্তি উন্নত করছি, তখন একটি বিপদ রয়েছে যে এটি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে, কারণ আমাদের শত্রুরা এআইকে শারীরিক এবং সাইবার যুদ্ধে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা খুঁজছে।’’ বললেন তিনি।
ম্যাকফ্যাডেন, ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টারের চ্যান্সেলর হিসেবে, ব্রিটেনের জাতীয় এবং সাইবার নিরাপত্তা দেখাশোনা করেন। নতুন এই ল্যাব, যা প্রাথমিকভাবে ৮.২২ মিলিয়ন পাউন্ড (১০.৩ মিলিয়ন ডলার) সরকারি সহায়তা পেয়েছে। একাডেমিক এবং সরকারি বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করবে, যাতে তারা এআই-এর জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব বুঝতে পারে এবং রাশিয়া এটি কীভাবে ব্যবহার করছে তা জানাতে পারে।
ম্যাকফ্যাডেন আরও বলেন, ‘‘একটি বিষয় স্পষ্ট, যুক্তরাজ্য এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্যরা রাশিয়াকে নজরদারি করছে। আমরা জানি তারা কী করছে এবং আমরা তাদের আক্রমণ মোকাবিলা করছি, খোলামেলা এবং গোপনে। এই কারণেই আমরা ইউক্রেনকে তার ভবিষ্যত নির্ধারণের যুদ্ধে সহায়তা করছি।’’ সূত্র: রয়টার্স
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...