১৪ ঘন্টা আগে
১৪ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল নায়ক এদেশের জনগণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের আন্দোলনের ফলেই আমি বেঁচে আছি। সাধারণ মানুষরাই মূলত রাজপথে নেমে এসে আমাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে।
প্রথমবারের মতো বিটিআরসি-তে অফিস করলেন টেলিকম, আইসিটি ও তথ্য-সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বৈঠকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে বর্ণিত কমিশনের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা। দেশে সামগ্রিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে চায় কর্মকর্তাদের এ নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন উপদেষ্টা।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনারসহ সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন নাহিদ ইসলাম। এসময় দুই দফা বৈঠক করেন তিনি।
সূত্রমতে, প্রথমে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের ফ্লোরে নতুন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী ও কমিশনার মাহমুদ হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় তলায় সম্মেলন কেন্দ্রে সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বক্তব্যে কর্মকর্তাদের দেশ সংস্কারে সরকারের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে সবাই দৃঢ়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল নায়ক এদেশের জনগণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের আন্দোলনের ফলেই আমি বেঁচে আছি। সাধারণ মানুষরাই মূলত রাজপথে নেমে এসে আমাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। আমি আজকে সেই জনগণ এবং আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। আমরা সবাই জানি, গত ১৬ বছর ধরে আমরা এটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় ছিলাম। যার হাত থেকে সমাজের কোন স্তর বা অংশ রেহাই পায়নি। বিটিআরসিতে গত ১৬ বছর নানা সমস্যা ছিল যা সমাধান হয়নি। অনেক দুর্নীতির কথা শোনা যাচ্ছে। বিটিআরসি নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। কারণ গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সে জায়গা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চাই।
উপদেষ্টা বলেন, এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এতে সারা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সবার মধ্যে একটি ধারণা জন্মেছে যে আমরা এখনই পারবো নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমাদের দেশের মূল সমস্যা হচ্ছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো গড়ে ওঠেনি। প্রাতিষ্ঠানিক কোন সিস্টেম ডেভেলপ হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো গড়ে উঠলে কোন ব্যক্তি চাইলেও তার ওপর কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতার চর্চা হয়েছে। এখানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ব্যক্তির ক্ষমতা প্রয়োগের চর্চা করা হয়েছে। এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক এ কাঠামোর নীতি এবং আইন যদি আমরা সংস্কার করতে না পারি তাহলে আমূল পরিবর্তন বলতে আমরা যা বুঝি তা কখনোই আসবে না।
বিটিআরসি সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে গণহত্যা চালানো হয়েছে, গুম করা হয়েছে, যার সঠিক তথ্য আমরা এখনো পাচ্ছি না। আমাকেও গুম করা হয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস আজ আমি সেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা এবং সেখানেই দাঁড়িয়ে কথা বলছি। বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা যাতে পিছনে ফিরে না যাই। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আর পিছনে ফিরবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি তরুণ প্রজন্ম যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায় বা রাষ্ট্রব্যবস্থায় তারা যে পরিবর্তন চায় তা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। তাই মানসিকতা পরিবর্তন করে সবাইকে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করতে আহ্বান জানান উপদেষ্টা। মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে যে কেউ চাইলেই আর সে আকাঙ্ক্ষার বাইরে যেতে পারবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বৈঠকসূত্রে প্রকাশ, অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান, একজন কমিশনার এবং সাধারণ কর্মীদের মধ্যে একজন বক্তব্য দেন।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...