১৬ ঘন্টা আগে
১৭ ঘন্টা আগে
১৭ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
সৌরশক্তিচালিত ভাসমান এ গবেষণাগারে মোট ২৪ জন নাবিক, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদের দীর্ঘদিন বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি মহাশূন্যে স্পেস স্টেশনের আদলে বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক মহাসাগর স্টেশন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিঅরবিটার’।
বিশ্বের প্রথম মহাসাগরের উপরে সৌরশক্তিচালিত ভাসমান গবেষণাগার গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি একটি পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান প্ল্যাটফর্ম এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত একটি ভাসমান গবেষণাগার।
সৌরশক্তিচালিত ভাসমান এ গবেষণাগারে মোট ২৪ জন নাবিক, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদের দীর্ঘদিন বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি মহাশূন্যে স্পেস স্টেশনের আদলে বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক মহাসাগর স্টেশন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিঅরবিটার’।
২০২৭ সালের শেষের দিকে বা ২০২৮ সালের প্রথম দিকে মহাসমুদ্রে ভেসে বেড়াবে অদ্ভুত আকার ও আকৃতির উল্লম্ব এক জাহাজ। একটু দূর থেকে দেখলে মনে হবে, লম্বা একটি স্তম্ভ পানি ফুঁড়ে আকাশের দিকে মাথা তুলে আছে। লম্বায় ৫৭ মিটার বা ১৮০ ফুট উল্লম্ব নৌযানটির ৩০ মিটার বা প্রায় ১০০ ফুট অংশ থাকবে পানির নিচে। মোট ১২টি তলায় বিভক্ত বিশাল এবং সুচিন্তিত স্থাপনাটির ওজন ৫৫০ টন। ১৫০ কোটি ইউরো বাজেটের এমন বিস্ময়কর নৌযানকে বিজ্ঞানীরা সাধারণ নৌযান বলতে নারাজ।
১৯৯৫ সালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি আবিষ্কারের পরে গত তিন দশকে ৪ হাজার নক্ষত্র পরিবার তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। এসব গ্রহের মধ্যে অনেকগুলো মানুষের বসবাসের উপযোগী বলে অনুমান করা হয়। মানুষ যখন অন্য গ্রহে পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করছে, সে সময় একজন ফরাসি নৌ স্থপতি, জ্যাক রুজেরি (জন্ম-১৯৪৫) মনে করছেন, মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিকানা মহাসমুদ্রে। তিন দশক ধরে সমুদ্রের তলদেশে মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি ঘর, নগরীর নকশা তৈরি করে চলছেন তিনি।
অনেকের মতো তিনি মনে করেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করলেও প্রায় অসীম দূরত্বের কোনো গ্রহে পাড়ি জমানোর মতো প্রযুক্তি খুব শিগগির মানুষের হাতে ধরা দিচ্ছে না। তার ওপর মহাকাশ গবেষণায় অর্থায়নে উন্নত দেশগুলো যতটা উদার, ঠিক ততটাই অনুদার আমাদের চমৎকার নীলগ্রহটিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখার গবেষণায় অর্থ বরাদ্দে। আমরা দূর মহাকাশ সম্পর্কে যতটুকু জানি, তার থেকে অনেক কম জানি পৃথিবী সম্পর্কে। পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১ শতাংশ জুড়ে আছে নীল জলরাশির আস্তরণ। এর বেশির ভাগ সমুদ্র, মহাসমুদ্রের দখলে। অথচ এই বিশাল জলভাগের ৯৫ শতাংশ সম্পর্কে মানুষ আজও অন্ধকারে। জলজ জীবজগৎ বা জীববৈচিত্র্যের ৮৫ শতাংশ আজও মানুষের অজানা।
২০২৭ সালের শেষের দিকে বা ২০২৮ সালের প্রথম দিকে মহাসমুদ্রে ভেসে বেড়াবে অদ্ভুত আকার ও আকৃতির উল্লম্ব এক জাহাজ। একটু দূর থেকে দেখলে মনে হবে, লম্বা একটি স্তম্ভ পানি ফুঁড়ে আকাশের দিকে মাথা তুলে আছে। লম্বায় ৫৭ মিটার বা ১৮০ ফুট উল্লম্ব নৌযানটির ৩০ মিটার বা প্রায় ১০০ ফুট অংশ থাকবে পানির নিচে। মোট ১২টি তলায় বিভক্ত বিশাল এবং সুচিন্তিত স্থাপনাটির ওজন ৫৫০ টন। ১৫০ কোটি ইউরো বাজেটের এমন বিস্ময়কর নৌযানকে বিজ্ঞানীরা সাধারণ নৌযান বলতে নারাজ।
তাঁরা বলেছেন, এটি একটি পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান প্ল্যাটফর্ম এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত একটি ভাসমান গবেষণাগার। সৌরশক্তিচালিত ভাসমান এ গবেষণাগারে মোট ২৪ জন নাবিক, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদের দীর্ঘদিন বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি মহাশূন্যে স্পেস স্টেশনের আদলে বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক মহাসাগর স্টেশন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিঅরবিটার’।
১৯৯৫ সালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি আবিষ্কারের পরে গত তিন দশকে ৪ হাজার নক্ষত্র পরিবার তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। এসব গ্রহের মধ্যে অনেকগুলো মানুষের বসবাসের উপযোগী বলে অনুমান করা হয়। মানুষ যখন অন্য গ্রহে পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করছে, সে সময় একজন ফরাসি নৌ স্থপতি, জ্যাক রুজেরি (জন্ম- ১৯৪৫) মনে করছেন, মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিকানা মহাসমুদ্রে। তিন দশক ধরে সমুদ্রের তলদেশে মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি ঘর, নগরীর নকশা তৈরি করে চলছেন তিনি।
অনেকের মতো তিনি মনে করেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করলেও প্রায় অসীম দূরত্বের কোনো গ্রহে পাড়ি জমানোর মতো প্রযুক্তি খুব শিগগির মানুষের হাতে ধরা দিচ্ছে না। তার ওপর মহাকাশ গবেষণায় অর্থায়নে উন্নত দেশগুলো যতটা উদার, ঠিক ততটাই অনুদার আমাদের চমৎকার নীলগ্রহটিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখার গবেষণায় অর্থ বরাদ্দে। আমরা দূর মহাকাশ সম্পর্কে যতটুকু জানি, তার থেকে অনেক কম জানি পৃথিবী সম্পর্কে। পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১ শতাংশ জুড়ে আছে নীল জলরাশির আস্তরণ। এর বেশির ভাগ সমুদ্র, মহাসমুদ্রের দখলে। অথচ এই বিশাল জলভাগের ৯৫ শতাংশ সম্পর্কে মানুষ আজও অন্ধকারে। জলজ জীবজগৎ বা জীববৈচিত্র্যের ৮৫ শতাংশ আজও মানুষের অজানা।
উদ্বেগের বিষয়, পৃথিবীর আয়ু মেপে জলবায়ু ইতিমধ্যে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। অসুস্থ পৃথিবীকে খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে হলে আমাদের সমুদ্র, মহাসমুদ্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। মানুষসহ পুরো জীবজগৎ এবং সমুদ্রের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই বিশাল জলস্তর আমাদের এই পৃথিবী নামক গ্রহের ফুসফুস; এটি আমাদের অক্সিজেন এবং শক্তির জোগান অব্যাহত রেখেছে। আসলে পৃথিবীর প্রাণভোমরা লুকিয়ে আছে পৃথিবীপৃষ্ঠের এই বিশাল জলীয় অংশে। সে কারণে মহাসমুদ্রে সার্বক্ষণিক গবেষণা, সমুদ্র এবং সমুদ্রের বিশাল জীবজগতের গতি-প্রকৃতি, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর মহাসাগরীয় প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে এবং দূষণমুক্ত রাখার উপায় খুঁজতে এই স্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানীরা তাই ‘সিঅরবিটার’ নামক ভাসমান গবেষণাগারটি নিয়ে খুব আশাবাদী এবং উদ্দীপ্ত।
সমুদ্র মানেই এক বিশালতা। মানুষ এই বিশালতায় কল্পনার জাহাজে ভেসে বেড়াতে পছন্দ করে। ফরাসি লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫) সেই উনিশ শতকে তাঁর রচিত ‘সমুদ্রের তলদেশে বিশ হাজার স্থান’ কল্পকাহিনিতে নটিলাস নামক ডুবোজাহাজে ক্যাপ্টেন নিমোর দুঃসাহসিক সব অভিযানের বর্ণনা দিয়েছিলেন। অচিরেই সিঅরবিটার মহাসমুদ্রের মহারহস্যের জট খুলে আমাদের বহু জিজ্ঞাসার জবাব দেবে এবং বিস্মিত করবে, তা নিশ্চিত।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...