মঙ্গলবার

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ


খবর

বিসিএস’র অন্তবর্তীকালীন আহ্বায়ক হলেন জহিরুল ইসলাম

প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, দুপুর ১১:০৭

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের করমুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তা পাইনি। এমনকি এর জন্য আমরা প্রতিবাদও করতে পারিনি। আমাদের হজম করতে হয়েছে। এখন সময় এসেছে, আমরা সবাই মিলে আপনাদের জন্য কথা বলতে চাই। আমরা চাই আপনারা সবাই সমিতির জন্য সত্যিকার অর্থে কন্ট্রিবিউট করবেন।

নতুন বাংলাদেশে সদস্যদের আপত্তির মুখে গত মাসের ২০ আগস্ট হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্য। এরপর নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে সংগঠনটি।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে (হ্যাপি আর্কেড) অনুষ্ঠিত হলো জরুরি তলবি সভা।

বিসিএস সভাপতি কাউন্সিলের নেতাদের সঙ্গে এই সভায় অংশ নেন সাধারণ সদস্যরা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিসিএস’র প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিসহ অন্তর্বতীকালীন  আহ্বায়ক মনোনীত করা হয় স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম-কে। তিনি ২০২২-২৪ কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়ে পরিচালক মনোনীত হন।

তিনি জানিয়েছেন, বুধবার পুরো কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কর্মপরিকল্পনা জানানো হবে।

জরুরি তলবী সভায় বিসিএস’র সাবেক সভাপতি  ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, শাহিদ উল মুনীর, এস এম ইকবাল, বিগত সময়ের কার্যনির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ছাড়াও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান শাফকাত হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন শতাধিক সাধারণ সদস্যরাও।

আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে বিসিএস নেতৃত্বের দুর্বলতার সমালোচনা করে সবুর খান বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি দেশে আইটি খাতের গোড়াপত্তন করে। বিশ্বের আইটি ব্যবসায়ীদের জোট আইটিইউ’র সদস্য। আইটি পণ্য বিক্রেতা হিসেবে আমাদের ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া হয়েছিলো পরবর্তীতে তা কন্টিনিউ করা হয়নি। আমাদের অনেকেই হাইটেক পার্কে জায়গা নিয়েছে। আমাদের করমুক্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তা পাইনি। এমনকি এর জন্য আমরা প্রতিবাদও করতে পারিনি। আমাদের হজম করতে হয়েছে। এখন সময় এসেছে, আমরা সবাই মিলে আপনাদের জন্য কথা বলতে চাই। আমরা চাই আপনারা সবাই সমিতির জন্য সত্যিকার অর্থে কন্ট্রিবিউট করবেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের দীর্ঘমেয়াদী শাসনামলের অবসান ঘটার পর সরকারি-বেসরকারি বিভন্ন প্রতিষ্ঠানের জরুরি সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে সাধারণ মানুষ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো রাজনীতিকরণমুক্ত করতে আন্দোলন চলছে চারদিকে। সেই সূত্র ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে সক্রিয় করে সেক্রেটারিয়েটকে শক্তিশালী করতে দেশের অন্যান্য ৪টি আইটি সংগঠনের মধ্যে বিসিএস প্রথম এই উদ্যোগ গ্রহণ করলো।  

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৭৫ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর