ছবি: সংগৃহীত
কর্মশালায় কল সেন্টার ও বিপিও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সরলীকরণ, লাইসেন্স শর্তাবলী আধুনিকায়ন, নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্তকরণ এবং কল সেন্টার গাইডলাইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দেশের বিপিও শিল্পের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাতটির টেকসই উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের রূপরেখা নির্ধারণে বিশেষ কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)।
সংগঠনের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মাশালাটির তত্ত্বাবধান করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি অডিটোরিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত কর্মশালাটিতে বিপিও শিল্পের সাথে জড়িত ৭০ টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্মশালায় কল সেন্টার ও বিপিও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সরলীকরণ, লাইসেন্স শর্তাবলী আধুনিকায়ন, নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্তকরণ এবং কল সেন্টার গাইডলাইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিপিও ও আইটিইএস শিল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, অংশীদারিত্ব হস্তান্তর ফি এবং কঠোর বিধিনিষেধের কারণে নতুন উদ্যোক্তারা এই খাতে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, যা শিল্পের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই এ বিষয়ে তাঁদের পক্ষ থেকে বিটিআরসির কার্যকর হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মশালার প্রধান অতিথি বিটিআরসির কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইকবাল আহমেদ সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, “বিপিও শিল্পের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। টেলিযোগাযোগ খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
কর্মশালার অংশগ্রহণকারীরা বিটিআরসির সহযোগিতায় বিপিও খাতের অপারেশনাল প্রতিবন্ধকতা দূর করে এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব-এমন ঐক্যমতে পৌঁছেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাক্কোর কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, “বিপিও শিল্পকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সম্প্রসারণ করতে হলে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং, এবং বৈশ্বিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। আইএওপি (IAOP)-এর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ এবং স্থানীয় বাজারে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাতটিকে শক্তিশালী করা সম্ভব।”
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বাক্কোর কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মো. তানজিরুল বাসার, অর্থ সম্পাদক মো. আমিনুল হক, পরিচালক জায়েদ উদ্দীন আহমেদ, মেহেদী হাসান জুলফিকার, সায়মা শওকত এবং বাক্কো সচিবালয়ের নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মো. মাহতাবুল হক এবং বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...