৪ ঘন্টা আগে
৭ ঘন্টা আগে
২০ ঘন্টা আগে
ছবি: বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। সংগৃহীত
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “প্রথমত, ফ্রিল্যান্সাররা যেন সহজে ইনসেনটিভ পায়, সেটা দেখা হচ্ছে। ইনসেনটিভটা বাড়ানোর ইচ্ছা আছে। দ্বিতীয়ত, দেশে পেপাল নিয়ে কথা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর মধ্যে গুগল পে আর স্ট্রাইপকে বাংলাদেশে আনার কথা চূড়ান্ত হয়েছে। তৃতীয়ত, চাহিদা অনুযায়ী ইন্ডাস্ট্রি উন্নত করা। সেটার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা সংস্কারে সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
শুরু হলো দেশের বিপিও শিল্পের শীর্ষ সম্মেলন ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’। রাজধানীর সেনাপ্রাঙ্গনে আজ শনিবার দুই দিনের এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “বিপিও সেক্টরের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো এটি শহরকেন্দ্রিক নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আমাদের মেধাবী তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের অনেক বড় একটি জায়গা এই সামিট। ক্ষমতায়ণের এই ধারা সমাজ এবং জাতীয় অর্থনীতিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।”
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) আয়োজনে, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে বিপিও সামিট। সামিটের এবারের থিম ‘বিপিও ২.০: রিভোলিউশন টু ইনোভেশন’। ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে সামিটটি।
এবারের বিপিও সামিটে থাকছে নয়টি আন্তর্জাতিকমানের সেমিনার ও কর্মশালা, একটি পূর্ণাঙ্গ চাকরি মেলা, উদ্যোক্তাবিষয়ক বিশেষ অধিবেশন, ফ্রিল্যান্সার প্ল্যাটফর্ম এবং দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি ও বিপিও প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে পণ্য ও সেবা প্রদর্শনী।
একাধিক এক্সপো জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোনে দর্শনার্থীরা নতুন প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। উল্লেখযোগ্য এক্সপেরিয়েন্স জোনগুলোতে রয়েছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা, জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে নির্মিত অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) অভিজ্ঞতা, ড্রোন ও সাবমেরিন টেকনোলজি এবং রোবট প্রদর্শনী।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, “বিপিও সামিট কেবল একটি ইন্ডাস্ট্রি সম্মেলন নয়—এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস, সক্ষমতা ও ভবিষ্যত প্রত্যাশার সম্মিলিত ঘোষণা। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রিসহ বিপিও খাতসংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের আমরা এই সামিটের মাধ্যমে একটি প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছি, যেখানে আলোচনা এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাওয়ার নতুন দিকনির্দেশনা পাবো।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদ। তিনি বলেন, “সরকার সবসময়ই ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করে। আমরা সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আরও সচেতনভাবে ইন্ডাস্ট্রিকে সহায়তা করতে চাই।”
নাগরিক সেবাকেন্দ্রকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে ভাবছেন বলে জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। এ নিয়ে তিনি বলেন, “সারাদেশে এই নাগরিক সেবাকেন্দ্রগুলো ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ করবে। ইতিমধ্যে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে দুটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছি, যেখানে আমরা প্রচুর সাড়া পেয়েছি। এটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টার একটি স্বপ্ন।”
এই ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার চালুর মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল বিভাজন কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন আইসিটি সচিব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বাংলাদেশ থেকে বৈশ্বিক কর্মশক্তি উঠে আসার পেছনে কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও সঠিক দক্ষতার সমন্বয় কাজ করছে বলে তিনি জানান।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার ব্যাপারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “প্রথমত, ফ্রিল্যান্সাররা যেন সহজে ইনসেনটিভ পায়, সেটা দেখা হচ্ছে। ইনসেনটিভটা বাড়ানোর ইচ্ছা আছে। দ্বিতীয়ত, দেশে পেপাল নিয়ে কথা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর মধ্যে গুগল পে আর স্ট্রাইপকে বাংলাদেশে আনার কথা চূড়ান্ত হয়েছে। তৃতীয়ত, চাহিদা অনুযায়ী ইন্ডাস্ট্রি উন্নত করা। সেটার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা সংস্কারে সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আগত সকলের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন বাক্কো সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম। সমাপনি বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা ও তরুণদের দক্ষতা বিকাশে সামিটে আয়োজিত সেমিনার ও পলিসি সংলাপ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেবে।’
অনুষ্ঠানে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) ও টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)।
ক্যানন বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। ক্যামেরা, ইমেজিং ও প্রিন্টিং পণ্যের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বিশ্বজুড়ে। জাপানে...