১৪ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
আগামীতে কোনো পরিস্থিতিতে যাতে দেশের ইন্টারনেট আর বন্ধ না হয়, সে বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সেসাথে ব্যাখ্যা দিতে হবে, আমরা কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসছি। কতটুকু ব্যাকআপ তৈরি করতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিকল্প ইন্টারনেট জোন বা ব্যাকাপ তৈরি করেছি। বিষয়গুলো বিদেশি ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে।
দেশের আইটি ব্যবসায়ীদের উপর বেদেশি ক্লায়েন্টের হারানো বিশ্বাস ফেরাতে সরকার ও ইন্ডাস্ট্রিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন রেইস আইটি সল্যুশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম রাশেদুল মাজিদ।
তিনি বলেন, সারা দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা চালু রাখতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যদিকে, আইটি ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ব্যবসায়িক কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন সেই অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে আইটি ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে বেসিসকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ফলে ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরের দিন ১৮ জুলাই রাত পৌনে নয়টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ইন্টারনেট-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো দেশই। এতে বিপাকে পড়েন দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির সফটওয়্যার, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ীসহ ফ্রিল্যান্সাররা। টানা পাঁচদিন কোনরকম যোগাযোগ করতে না পারায় বাংলাদেশের আইটি ব্যবসায়ীদের উপর বিশ্বাস হারায় বিদেশি ক্লায়েন্টরা। এতে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বাংলাদেশের আইটি ব্যবসায়ীদের।
এ প্রসঙ্গে রেইস আইটি সল্যুশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম রাশেদুল মাজিদ টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশকে বলেন, আমরা যারা বিদেশি কোম্পানির সাথে আইটি পণ্যের ব্যবসা করি, তাদের পুরো ব্যবসটা নির্ভর করে ইন্টারনেটের উপর। এই ইন্টারনেট সেবার পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে সরকার। তাই, টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে বেদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে আমাদের আইটি ব্যবসায়ীদের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটি ফিরিয়ে আনতে হলে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার প্রয়োজন। সেসাথে আমাদের আইটি ইন্ডাস্ট্রির ট্রেডবডি হিসেবে বেসিসকে সরকারের পক্ষ হতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সহযোগিতা করতে হবে।
রিটস ব্রাউজারের এই উদ্ভাবক বলেন, আগামীতে কোনো পরিস্থিতিতে যাতে দেশের ইন্টারনেট আর বন্ধ না হয়, সে বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সেসাথে ব্যাখ্যা দিতে হবে, আমরা কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসছি। কতটুকু ব্যাকআপ তৈরি করতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিকল্প ইন্টারনেট জোন বা ব্যাকাপ তৈরি করেছি। আর কোনো সময় এভাবে সারা দেশের ইন্টারনেট বন্ধ হবে না। এখন আমরা আগের মতো কোয়ালিটিফুল সার্ভিস দিতে প্রস্তুত। বিষয়গুলো সরকারি ও বেসরকারিভাবে বেসিসের পক্ষ থেকে জায়তীয় মিডিয়াসহ আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন মেলা, সেমিনারের আয়োজন করে প্রচার করতে হবে। যত বেশি করে আমাদের সক্ষমতা ও ইন্টারনেট বন্ধ না হওয়ার নিশ্চয়তার কথা প্রচার করা হবে, বিদেশি ক্লায়েন্টরা তখন ধীরে ধীরে আমাদের উপরে তাদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।
কে এ এম রাশেদুল মাজিদ বলেন, এছাড়াও বেসিসের পক্ষ থেকে শুধু আইটি ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের জন্য একটা আলাদা করে স্বায়ত্তশাসিত ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যাতে দেশের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সারা দেশের ইন্টারনেট বন্ধ হলেও এই ইন্টারনেট লাইন দিয়ে আইটি ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। আর এটা ফলাও করে বিদেশি ক্লায়েন্টদের জানাতে হবে। আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ, আইটি এক্সপো আয়োজন করে সেগুলো বেশি করে মিডিয়াতে প্রচার করতে হবে। যদিও এটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কাজ। তবে চেষ্টা করলে এটা করা সম্ভব। এভাবে বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে ইন্টারনেট বন্ধ না হওয়ার বিষয়টা প্রচার করলে আস্তে আস্তে আমাদের উপর তাদের হারানো বিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করবে। তখন আইটি ইন্ডাস্ট্রি ফিরে পাবে তার হারানো ভাবমূর্তি।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...