ছবি: সংগৃহীত
মেলায় বিশেষ কর্নার থাকবে রপ্তানি পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের জন্য। অনলাইন প্রক্রিয়ায় একটি ফরম পূরণ করে একাধিক স্পেস বরাদ্দের জন্য আবেদন করা যাবে। সফটওয়্যারটি পছন্দের ক্রম ও উদ্ধৃত দরের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে। ফলে সময়, অর্থ ও শ্রম অনেকাংশে কমে যাবে পাশাপাশি শুদ্ধাচার চর্চা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল বরাদ্দ হচ্ছে অনলাইন আবেদনে। মেলা আয়োজক সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ বিষয়ে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে বলে মনে করে ইপিবি।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী অনুষ্ঠেয় ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) বিভিন্ন ধরনের স্টল, প্যাভিলিয়ন ও রেস্তোরাঁ বরাদ্দ এবার অনলাইনে হবে। পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে ২৯তম ডিআইটিএফ।
ইপিবি জানায়, সফটওয়্যারটি চালু হওয়ার ফলে মেলায় অংশগ্রহণ প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ওয়েব লিংক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অসুবিধা দেখা দিলে হেল্পলাইনে (০১৯৬৬২৪৯২২৫, ০১৬৮৬১৭৭৮২৮, ০১৭১১৩৭৮১৮১) ফোন করে সাহায্য নেয়া যাবে। আগে সনাতন প্রক্রিয়ায় মেলার একের অধিক স্পেস বরাদ্দের জন্য স্বতন্ত্র আবেদন দাখিল করতে হতো।
ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, “মেলায় বিশেষ কর্নার থাকবে রপ্তানি পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের জন্য। অনলাইন প্রক্রিয়ায় একটি ফরম পূরণ করে একাধিক স্পেস বরাদ্দের জন্য আবেদন করা যাবে। সফটওয়্যারটি পছন্দের ক্রম ও উদ্ধৃত দরের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে। ফলে সময়, অর্থ ও শ্রম অনেকাংশে কমে যাবে পাশাপাশি শুদ্ধাচার চর্চা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।”
সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে মেলায় অংশগ্রহণে আগ্রহী স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্পেস বরাদ্দের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেলার স্পেস বরাদ্দ গ্রহণের জন্য উদ্ধৃত দর, মূল্য, মাশুল ইত্যাদি সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জমা করতে হবে।
উল্লেখ্য, পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ২৯তম ডিআইটিএফ। দেশি-বিদেশি উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩৫০টি বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে। দেশীয় পণ্যের প্রচার-প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা দেয়া সহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ১৯৯৫ সাল থেকে ডিআইটিএফ আয়োজন করে আসছে ইপিবি।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...