বাংলালিংকের নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন ইওহান বুসে

বাংলালিংকের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন ইওহান বুসে। বাংলালিংকে কৃতিত্বের সাথে ৯ বছর দায়িত্ব পালন করা এরিক অসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ইওহান বুসে। সোমবার (১৭ মার্চ) তার এই নিয়োগের ঘোষণা দেয় বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন।

তিনি এর আগে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান স্টারহাবে কনজিউমার বিজনেস গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেখানে তিনি কৌশলগত রূপান্তর, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

এছাড়া, ইওহান বুসে ওরিদু ওমানের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ডয়েচে টেলিকম ক্রোয়েশিয়া, অ্যাক্সিস ও সিংটেলের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী পদে কাজ করেছেন।

টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইওহান বুসে বাংলালিংকের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে কাজ করবেন।

ভিওন গ্রুপের সিইও কান তেরজিওগ্লো বলেন, ‘প্রথমেই আমি ইওহানকে ভিওন ও বাংলালিংকে স্বাগত জানাচ্ছি। বেশকিছু উদীয়মান বাজারে তার কয়েক দশকের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আমাদের ডিজিটাল সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত করবে। একইসাথে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। গত ৯ বছরের অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য আমি এরিক অসের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁর সময়েই বাংলালিংক পুরো দেশজুড়ে বিস্তার লাভ করেছে। সবার জন্য ফোরজি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করেছে এবং এই খাতে টফি, মাইবিএল ও রাইজের মতো ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে এসেছে।’

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে বাংলালিংকের অনবদ্য এই টিমকে নেতৃত্ব দেয়া, এবং একইসাথে ভিওনের উদ্ভাবনী মূল্যবোধ ‘ফোরজি ফর অল’-এর প্রতি গুরুত্বারোপ করে লাখো বাংলাদেশির জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে পারা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। অত্যন্ত যোগ্য ইওহান বুসের অধীনে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। বাংলাদেশে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বমানের টিমের সহযোগিতায় বাংলালিংককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলে আশাবাদী আমি।’

ইওহান বুসে বলেন, ‘গ্রাহককেন্দ্রিক মূল্যবোধ তৈরির সম্ভাবনাময় এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলালিংকের নেতৃত্ব দেয়ার মতো গৌরব এবং এরিকের কাছ থেকে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি, মানুষকে কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল সেবা দেয়া আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে অনন্য সুযোগ এসেছে, যেখানে ভিওনের ডিজিটাল দক্ষতা ও বাংলালিংকের বিশ্বমানের টিমের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বিভাজন দূর করে উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা এবং লাখো বাংলাদেশির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এমন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। আমাদের টিম ও গ্রাহকদের জন্য এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমি।’