ছবি: সংগৃহীত
বৈঠকে বাংলাদেশের তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের যুবকরা অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং আইটি সম্পর্কিত বিষয়ে আগ্রহী। যথাযথ প্রশিক্ষণ পেলে তারা তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে সক্ষম হবে।
ইন্টারনেট বন্ধ করাকে মানাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর এই কাজের জন্য পতিত সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সুবিধা চালুর ওপর আলোকপাত করেছেন তিনি।
সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে এমন অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং আইসিটি নীতি পরামর্শদাতা ফাইজ আহমেদ তাইয়্যেব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের যুবকরা অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং আইটি সম্পর্কিত বিষয়ে আগ্রহী। যথাযথ প্রশিক্ষণ পেলে তারা তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের তরুণ আইটি প্রতিভাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে জাপানের সহায়তার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা। একইসঙ্গে তরুণদের দক্ষতা বাড়ানো এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতায় জাপানের প্রস্তুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, জাপান-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘকালীন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেও সেই সম্পর্ক অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিউত্তরে ইসলাম জাপানের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নাহিদ।
একপর্যায়ে জুলাই-আগেষ্টে জাপানি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট বন্ধের কারণে সৃষ্ট বিঘ্নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
এ প্রতিক্রিয়ায়, নাহিদ ইসলাম বলেস, ইন্টারনেট বন্ধ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। পূর্ববর্তী সরকার ছাত্র আন্দোলনকে দমন করতে ইন্টারনেট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল এবং এ সুযোগে নির্বিচারে হামলা চালায়। ভবিষ্যতে এমন শাটডাউন প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট স্টারলিংক এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু নিরবিচ্ছন্ন রাখতে সরকার কাজ করছে। এই প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট বাধাহীন থাকবে।
আলাপকালে রাষ্ট্রদূত যখন জাপানি সংস্কৃতির প্রচার, বিশেষ করে সিনেমা, কার্টুন এবং নাটকের উপর আলোকপাক বলেন, তখন উপদেষ্টা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে একটি জাপানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত আপাতত একটি ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাপান অন্তর্বর্তী সরকারের গণমাধ্যম স্বাধীনতার জন্য সহায়তার প্রস্তাব সম্পর্কে অবগত এবং এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য আগ্রহী।
নাহিদ ইসলাম যোগ করেন যে, উচ্ছেদকৃত ফ্যাসিস্ট সরকারের সদস্যরা বিদেশী মিডিয়া এবং সামাজিক নেটওয়ার্কে জুলাই মাসের আন্দোলনের সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি জাপানের সহযোগিতা চান সঠিক তথ্য প্রচার করার জন্য।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...