সোমবার

ঢাকা, ১৯ মে ২০২৫

সর্বশেষ


টেলিকম

বাংলাদেশে ১০ জন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯ জনই এআই ব্যবহার করেন: টেলিনর এশিয়া

প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, দুপুর ৩:৪৯

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে মোবাইল প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সমৃদ্ধ ডিভাইসের ব্যবহার বাড়ায় বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯ জনই মোবাইল ফোনে এআই টুল ব্যবহার করেন। 

'ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড (বাংলাদেশ)' শীর্ষক টেলিনর এশিয়া প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে মোবাইল প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “ডিজিটাল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষ করে তোলা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত হচ্ছে মোবাইল সংযোগ। মানুষের হাতে সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তারা যেন নিরাপদে ও দায়িত্বশীল হয়ে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, সে দিকটি নিশ্চিত করাটা আমাদের সম্মিলিত অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে রূপান্তর ঘটাতে এবং বিপ্লব আনতে সহায়ক মোবাইল প্রযুক্তি, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশনস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি মনীষা ডোগরা। তিনি বলেন, “টেলিনর এশিয়া, গ্রামীণফোনের সঙ্গে একসঙ্গে, বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করতে পেরে গর্বিত। আমরা আনন্দিত যে, মোবাইল প্রযুক্তি  দেশজুড়ে আরও মানসম্মত ডিজিটাল জীবনধারার বিকাশ ঘটিয়েছে, যেমনটি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতে দেখা যায়।”

প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে

টেলিনর এশিয়ার প্রতিবেদনে তিনটি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রথমত, অনলাইন শিক্ষা, মোবাইল ওয়ালেট এবং গতিবিধি পর্যবেক্ষণের মতো সেবাগুলো গ্রহণ করে আরো স্মার্ট জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ জনে ৬ জন অনলাইন শিক্ষার উপকারিতার কথা বলেছেন। এ হার মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের চেয়ে বেশি। প্রতি ২ জনের মধ্যে ১ জনের কাছে (৫৩%) অনলাইন কোর্স ও লার্নিং অ্যাপের মতো শিক্ষা সামগ্রীগুলো বেশ জনপ্রিয়।

দ্বিতীয়ত, পরিচয় জালিয়াতি ও ডিপফেকের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে আবশ্যক হয়ে উঠেছে অনলাইন সেফটি। বাংলাদেশে ডিজিটাল পরিমণ্ডল পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন ঝুঁকি—পরিচয় জালিয়াতি ও ডিপফেকের আশঙ্কাও বাড়ছে। প্রতি ১০ জনে ৭ জন তাদের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নেটওয়ার্ক অ্যাটাকের উচ্চঝুঁকির মধ্যেও রয়েছে বাংলাদেশ।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন তাদের দৈনন্দিন জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনা ও কার্যকারিতা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষা কার্যক্রমে এআইয়ের প্রভাব সম্পর্কে ১০ জনের মধ্যে ৮ জন ইতিবাচক মত দিয়েছেন।

বাংলাদেশে বিনা মূল্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন টুলের সহজলভ্যতা এবং সহজে ব্যবহারের সুবিধা কর্মক্ষেত্রে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এই সব টুল ব্যবহারে ফুটে উঠেছে জেন্ডার বৈষম্যের দিকটি। যেখানে নারীদের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ (৩৭%) কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেন, সেখানে পুরুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় অর্ধেক (৪৭%)।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১১৯ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর