ছবি: সংগৃহীত
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এবং রিটেইলাররা এখন বাজেট স্মার্টফোনের বদলে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকেছেন। সস্তার ফোন ধীরে ধীরে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইএমআই এবং অন্যান্য আর্থিক বিকল্প থাকায় এন্ট্রি লেভেল স্মার্টফোনের চাহিদাও একধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে।
অনেকেই সস্তায় বা সাশ্রয়ী দামে স্মার্টফোন খোঁজেন। তাদের জন্য দুঃসংবাদ। বাজারে আর মিলবে না এন্ট্রি লেভেলের স্মার্টফোন। আমাদের সমাজে একটা ধারণা তৈরি করার চেষ্টা চলছে যে, দামী স্মার্টফোন ব্যবহার করলে বেশি ‘ভ্যালু’ পাওয়া যায়। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ।
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এবং রিটেইলাররা এখন বাজেট স্মার্টফোনের বদলে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকেছেন। সস্তার ফোন ধীরে ধীরে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইএমআই এবং অন্যান্য আর্থিক বিকল্প থাকায় এন্ট্রি লেভেল স্মার্টফোনের চাহিদাও একধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে কী সস্তা স্মার্টফোনের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে? বাজেট স্মার্টফোনের দিন ফুরোতে চলেছে? না কি কোম্পানিগুলো সস্তা ফোন আর প্রোমোট করতে আগ্রহী নয়। সাধারণত ৭-৮ হাজার টাকা দামের ফোনকে সস্তা বলে ধরা হয়। ১০ হাজার টাকার কমে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্মার্টফোনই বাজেট ক্যাটেগরিতে আসে।
সাইবার মিডিয়া রিসার্চের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব স্মার্টফোনের দাম ৭ হাজার টাকার কম, সেগুলোর চাহিদা ২৬ শতাংশ হারে কমেছে। উল্টোদিকে ৫জি স্মার্টফোনের শিপমেন্ট বেড়েছে। বিশেষ করে ১০ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকার মধ্যে থাকা স্মার্টফোনের চাহিদা বেড়েছে ২০০ শতাংশের বেশি। ভাবা যায়!
সাইবার মিডিয়া রিসার্চের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে যে সব স্মার্টফোনের দাম ৭ হাজার টাকার কম, সেগুলোর চাহিদা ২৬ শতাংশ হারে কমেছে। উল্টোদিকে ৫জি স্মার্টফোনের বাজার বেড়েছে।
স্মার্টফোনের চাহিদা কমার কারণ
কোভিডের সময় লকডাউন এবং চিপের ঘাটতির কারণে উৎপাদন থমকে যায়। এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দামে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলও ধাক্কা খেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর সামনে দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। ফলে সস্তা স্মার্টফোনের চাহিদা কমেছে, বাজারে মিলছেও কম।
দামি জিনিস মানেই ভালো জিনিস, এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে। সস্তা স্মার্টফোন বললে তাই অনেকেই তাই ভাবেন, জিনিসটা খুব ভালো হবে না। এটা সবচেয়ে বড় সমস্যা।
২০১০ সালের শুরুর দিকের কথা। স্মার্টফোনের বাজার তখনও ভাল করে গড়ে ওঠেনি। ব্র্যান্ডগুলো সবে ভারতে পা রাখছে, সেই সময় সস্তা ফোনের চাহিদা ছিল। এখন দামি স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ায় সস্তা স্মার্টফোনের পরিসর ক্রমশ কমছে। তাছাড়া এতে লাভও কম। ফলে প্রিমিয়াম ফোনের দিকেই এখন কোম্পানিগুলোর মনোযোগ বেশি।
আইফোনের অনেক দাম। কিন্তু ব্র্যান্ড আর ইমেজের জোরে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য কোম্পানিগুলোও এখন এই স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে। কিন্তু এই সেগমেন্টটিকে তো বিলুপ্ত হতে দেওয়া যায় না। সস্তা স্মার্টফোন তাই নতুন আঙ্গিকে বাজারজাত করা উচিত। বিষয়টা অন্তত ভেবে দেখুক কোম্পানিগুলো।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...