২০ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
ছবি: আইটিইউ
নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। আর কিছুটা কমেছে ইন্টারনেট ব্যবহারের লিঙ্গবৈষম্যের হার।
নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। আর কিছুটা কমেছে ইন্টারনেট ব্যবহারের লিঙ্গবৈষম্যের হার। এমন চিত্র দেখা গেছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সাম্প্রতিক তথ্যে। ২০২৪ সালে নারী ও পুরুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বিশ্লেষণ করে গত ২৪ এপ্রিল আন্তর্জাতিক গার্লস ইন আইসিটি দিবসে ইন্টারনেট ব্যবহারে লিঙ্গবৈষম্যের এই তথ্য উপস্থাপন করেছে আইটিইউ।
আইটিইউর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৭০ শতাংশ পুরুষ এবং ৬৫ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আগের বছরগুলোর তুলনায় সংখ্যাগুলো কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও আঞ্চলিক তথ্য ততটা আশাব্যঞ্জক নয়। আফ্রিকায় যেমন এখনও উল্লেখযোগ্য লিঙ্গবৈষম্য বিদ্যমান। অঞ্চলটিতে কেবল ৪৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আরব দেশগুলোতেও বৈষম্য বেশ, যেখানে ৭৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৪ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। দুই আমেরিকায় সে তুলনায় বৈষম্য কম–৮৬ শতাংশ পুরুষ ও ৮৭ শতাংশ নারী সেখানে অনলাইনে যুক্ত।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এই ব্যবধান মাঝামাঝি, ৬৮% পুরুষ এবং ৬৪% নারী অনলাইনে রয়েছেন। কমনওয়েলথভুক্ত অঞ্চলে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়। সেখানে ৯৩% পুরুষ এবং ৯১% নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ইউরোপেও ব্যবধান কম, যেখানে ৯২% পুরুষ এবং ৯০% নারী অনলাইনে রয়েছেন।
বৈশ্বিক তথ্যে চোখ বোলালে এখনও লিঙ্গবৈষম্যের আঁচ পাওয়া যায়। তবে আমেরিকা ও ইউরোপের মতো অঞ্চলের তথ্য থেকে বোঝা যায় যে বিশ্বের কিছু অংশে পুরুষ ও নারীর ইন্টারনেট ব্যবহারের পার্থক্য ক্রমশ কমছে। এই উন্নতির কারণগুলোর মধ্যে থাকতে পারে প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়া, ইন্টারনেট পরিষেবা সাশ্রয়ী হওয়া এবং নারীদের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার।
তবে কেবল ২০২৪ সালের একক তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ‘দিন দিন’ ইন্টারনেট ব্যবহারে লিঙ্গবৈষম্য কমে আসছে, এমন দাবি করা উচিত হবে না। সেটার জন্য আরও আরও দীর্ঘমেয়াদী গবেষণার প্রয়োজন।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...