১৫ ঘন্টা আগে
১৫ ঘন্টা আগে
১৬ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টিসহ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত সকল আইসিটি কর্মকর্তাদেরকে প্রস্তাবিত আইসিটি ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
টেকনিশিয়ান নয় বরং একজন প্রযুক্তিবিদ হিসাবে মর্যাদা নিয়ে সুষ্ঠুভাবে দায়-দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম। এই ক্যাডার গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো তহবিল তছরুপ কিংবা আইসিটি’র বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি ও অযোগ্যাতা দূর করে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনা হবে বলে মনে করে সংগঠনটি। তারা মনে করেন, দেশে প্রতিবছর যে বিপুল সংখ্যক সিএসই গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে, তাদের যথাযথ মেধাবীদের মূল্যায়ন সম্ভব হবে এই ক্যাডারের মাধ্যমে।
তাই, আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টিসহ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত সকল আইসিটি কর্মকর্তাদেরকে প্রস্তাবিত আইসিটি ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিটিএমসি ভবনের রুফটপে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানান সংগঠনটির নেতারা।
প্রযুক্তিনির্ভর স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারির প্রস্তাবিত আইসিটি ক্যাডার সৃজনের কাজ সম্পন্ন করার দাবিতে আজ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামে প্রায় ২ হাজার সরকারি ১ম শ্রেণির গেজেটেড আইসিটি অফিসার রয়েছেন।
বীর ছাত্রদের আত্মাহুতি ও ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রাপ্ত বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আইসিটি ক্যাডার সময়ের দাবি বলে বক্তব্যে তুলে ধরা হয়।
গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের সভাপতি মো. তমিজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটি মহাসচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বিভাগের সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আহসান হাবীব সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি আইসিটি ক্যাডার সৃজনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হলেও কতিপয় আমলার ব্যক্তিগত রোষানল ও দুর্নীতিগ্রস্ততার জন্য প্রস্তাবিত আইসিটি ক্যাডারের কার্যক্রম দীর্ঘ চার বছরেও বাস্তবায়ন না করে সময়ের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা হয়েছে। সেসাথে বিগত সরকার সরকারি আইসিটি পেশাজীবীদের সাথে দ্বিচারিতা করেছে। আইসিটি ক্যাডার সৃজনের কাজ সময়মতো সম্পন্ন না হওয়ায় সরকারি আইসিটি পেশাজীবীরা গত ৩৯ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। তাই, বিগত সরকারের কুটকৌশল ও বৈষম্যমূলক আচরণ দিয়ে যুগের চাহিদা আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়ন কেউ যেনো বাধাগ্রস্ত না করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিগত সরকারের আমলে কতিপয় আমলা ও কুচক্রী একটি গোষ্ঠির ন্যায় এবারও যদি আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নের কাজ পরিকল্পিতভাবে বিঘ্নিত করা হয় দেশের ছাত্র-জনতা সেটা আর মেনে নিবে না। ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগের সচিব মহোদয় কর্তৃক গত ১৫ আগস্ট আইসিটি ক্যাডার সৃজনের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের স্বাক্ষরপূর্বক প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠিয়ে ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্খার প্রতি সম্মান দেখাবে।
কুচক্রী মহলের প্রতি হুশিয়ারি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগে বাক স্বাধীনতা ছিলো না। কিন্তু বীর ছাত্রদের আত্মাহুতি ও ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত এই দেশে এখন বাক স্বাধীনতা আছে। ফলে জাতির কাছে আইসিটি ক্যাডার-সৃজনে পরিকল্পিত বাধাদানকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, আইসিটি সেক্টরে কাঠামোগত সংস্কার না হওয়ার ফলে একদিকে দেশের মেধাবীরা বিদেশমুখী হচ্ছে, ফলে মেধার পাচার হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে বিদেশি পরামর্শক ও বিদেশনির্ভর প্রযুক্তির প্রচলন বাড়ছে। আইসিটি সেক্টর থেকে দেশের জন্য যারা কাজ করছে তাদেরও চাকরিতে প্রত্যাশিত পদোন্নতিসহ ক্যারিয়ার পাথ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বদলী না থাকায়, তারাও দিনে দিনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে এবং তাদের কর্ম দক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে। মেধা পাচার রোধ, মেধাবীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি দেশের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দিতে, নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও দেশীয় প্রযুক্তির প্রচলন, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, সাইবার স্পেস সুরক্ষা ইত্যাদি কারণে আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টি সময়ের দাবি বলেন উল্লেখ করেন বক্তারা।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সরকার যে বিভিন্ন সেক্টরের কাঠামোগত সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে আইসিটি ক্যাডার সৃষ্টি ২০২৪ সালের রাষ্ট্রীয় সংস্কারের অন্যতম ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে উল্লেখ করে আইসিটি ক্যাডার সৃজনসহ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত সকল আইসিটি কর্মকর্তাদেরকে প্রস্তাবিত আইসিটি ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণের কাজ অতিসত্ত্বর শেষ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের সহ সভাপতি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম এনালিস্ট মো. আবু রায়হান, যুগ্মসচিব ও ডাক অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার, মো. মনিরুজ্জামান এবং কোষাধ্যক্ষ ও যৌথ মূলধন কোম্পানী ও ফার্ম সমূহের পরিদপ্তরের প্রোগ্রামার জিকরা আমিনসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যবৃদন্দ।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...