৩ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
প্রথমেই রয়েছে গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট–সেবা বন্ধে সদস্যদের মতামত তোয়াক্কা না করে নির্বাহী কমিটি রাজনৈতিক অনুচরের ভূমিকা পালনের বিষয়।
ইন্টারনেট সংযোগদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) বর্তমান নির্বাহী কমিটির (ইসি) সদস্যদের পদত্যাগ করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন সংগঠনের ‘সংস্কারবাদী’ সদস্যরা।
রবিবার আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের কাছে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের পক্ষে ২৫ সদস্যের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সাতটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট–সেবা বন্ধে সদস্যদের মতামত তোয়াক্কা না করে নির্বাহী কমিটি রাজনৈতিক অনুচরের ভূমিকা পালনের বিষয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সুরে সুর মিলিয়ে গণমাধ্যমে লাগাতার মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে অংশ নিয়ে আইএসপিএবির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার নামে আর্থিক অনিয়ম, থানা ও উপজেলা আইএসপিদের স্বার্থ উপেক্ষা করা, ইজিএম ও ক্রয় কমিটি না করেই তহবিলের ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্যালয়ের জন্য ফ্ল্যাট কেনা এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবুকে দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারদলীয়দের নিয়ে কমিটি গঠন।
এ বিষয়ে সংস্কারবাদীদের পক্ষে আইএসপিএবির সাবেক সহসভাপতি ও এডিএন টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আজ (রবিবার) বিকেলে আইএসপিএবি অফিসে আমরা চিঠি দিয়েছি। সেই হিসেবে আগামী মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চিঠির জবাব দিতে তারা সময় পাবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো সাড়া না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইএসপিএবির বর্তমান কমিটিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারপন্থী কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাধারণ আইএসপি ব্যবসায়ীদের পক্ষে এই চিঠিতে সই করেছেন আইসিসিসি কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, তাকিওনের মাহতাবুর রহমান, রেড ডেটার মঈনুদ্দিন আহমেদ, বিজয় অনলাইনের রিয়াদ মোহাম্মাদ, অ্যাকসেস টেলিকমের রিয়াজুল করিম, জেডএক্স অনলাইনের এস এম জুলফিকার হায়দার, ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশনের রাশেদুর রহমান, বাংলানেট টেকনোলজির জোবায়ের আহমেদ হোসাইন, আইটিবেসের মীর মোশাররফ হোসাইন, নেটক্যাফের কাজী মো. মাহবুব, ঢাকা টেক আইটির আশরাফ উদ্দিন, ওয়াইড কমিউনিকেশনের আনোয়ার আহমেদ, গ্রামীণ সাইবার নেটের দেবব্রত সাহা, স্টারগেট কমিউনিকেশনের রাজেশ বসু, বিসিএল অনলাইন সার্ভিসের এ এম কামাল উদ্দিন আহমেদ, আইপি কমিউনিকেশনের মাজহারুল ইসলাম, ভূঁইয়া টেলিকমের গোলাম কিবরিয়া, প্যাট্রিয়ট টেকনোলজির কাজী জিল্লুর রহমান, সি সেলের শাহ ইকবাল, এসএসটিএন টেকনোলজির কাজী জোহেব, ইন্টারনেট ফ্যাক্টরির নূর হুদা তালুকদার, আইওএলের মো. জাকারিয়া, চিটাগাং ডেটা কমিউনিকেশনের শন গঞ্জালেস, ব্রিক সিস্টেমসের মো. শরিফুল ইসলাম, সার্ভার নেটের মো. নূর নবী, কারসান নেটের মো. সুজানুর রহমান, এওয়ান অনলাইনের মো. খবিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এই চিঠির ব্যাপারে আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৩০০। এখানে ২০ জন এসেছেন। যাঁরা বিভিন্ন সময় আমাদের বর্তমান কমিটির কাছে নির্বাচন করে হেরেছেন। তাঁরাই মূলত এই দাবি করছেন। আমাদের প্রতিটি বিষয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উত্থাপিত হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে সবকিছু চলেছে। এজিএমে কেউ আমাদের পদত্যাগ করতে বলেননি। এখন কেন বলছেন?
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...