৪ ঘন্টা আগে
৪ ঘন্টা আগে
৪ ঘন্টা আগে
৫ ঘন্টা আগে
৬ ঘন্টা আগে
ছবি: টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ
দেশের যে অঞ্চলে রবির টাওয়ার আছে, বাংলালিংকের টাওয়ার নেই, সে অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরগুলো শেয়ার করে টাওয়ার বিজনেস করতে পারছে। বিটিআরসির পক্ষ থেকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে দেশের সব এনটিটিএন এবং আইএসপিকে তাদের সকল রিসোর্স অন্যের সাথে ভাড়ার বিনিময়ে শেয়ার করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তাহলে রিসোর্সের ম্যাক্সিমাম ইউটিলাইজেশন হবে। খরচ কমে আসবে। গ্রাহক কম খরচে অনেক বেশি সুবিধা পাবে।
এ কে এম জাহাঙ্গীর। আইটি ও সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবসার শুরু থেকে টেকনিক্যাল সেকশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিডিকম অনলাইন যোগদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার কর্মজীবন। এরপর যোগ দেন বিজয় অনলাইনে। বর্তমানে ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশন লিমিটেডে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের সাথে কথা বলেন ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশন লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ কে এম জাহাঙ্গীর। আলাপে উঠে এসেছে ইন্টারনেট সেক্টরের বর্তমান অবস্থা, ইন্টারনেটের টেকনিক্যাল দিক, সুবিধা-অসুবিধা, সেক্টর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ নানান বিষয়। আলাপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: ইন্টারনেট সেক্টরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাই।
এ কে এম জাহাঙ্গীর: ২০০০ সালে একজন হোম ইউজার টেলিফোন লাইনের সাহায্যে ডায়ালাপ করে ২০ কেবিপিএস স্পিড পেতো। মাসে এক থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হতো। প্রতি মিনিট দুই টাকা ইন্টারনেট বিল প্লাস টেলিফোন বিল পার মিনিট। বর্তমানে একজন হোম ইউজার ১০০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ৫০ এমবিপিএস ইউটিউব ৫০ এমবিপিএস ফেসবুক ১০০ এমবিপিএস বিডিআইএক্স পেয়ে থাকে। বলব না আমরা স্বর্গে আছি, তবে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: আপনার দৃষ্টিতে এ সেক্টর এগিয়ে যাওয়ার পেছনে কোন বাধা রয়েছে কী?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: যেকোনো সেক্টর এগিয়ে যায় দক্ষ মানবসম্পদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে। কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাই সেক্টর এগিয়ে যাওয়ার প্রধান হাতিয়ার। সেদিক থেকে মূল্যায়ন করলে আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, দেশে শিক্ষাব্যস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষার কার্যক্রম অনেক দূরে এগিয়ে গেছে। তবে দুঃখজনক বিষয় আমাদের দেশের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির যে সিলেবাস রয়েছে সেটি যথেষ্ট সমৃদ্ধ না। ডিপ্লোমা কিংবা গ্রাজুয়েশন লেভেলে কারিকুলামকে আরও উন্নত করতে হবে। পাঠ্যসূচির দুর্বলতা রয়েছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাকটিক্যাল কাজ শেখার সুযোগ নাই বললেই চলে। সময় উপযোগী সিলেবাস নাই। ল্যাবগুলোতে প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি নাই। শিক্ষকদের প্রাকটিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা নাই। যারা ভাল রেজাল্টসহ পাস করে আসতেছে তারা প্রাকটিক্যাল কোন কাজ পারছে না। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আইটিতে পড়াশোনা করে ইন্টার্নি করার সুযোগ পান না। শিক্ষার্থীদের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টার্নি করার জন্য যেতে হয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আইটি সেক্টরে কাজ পান। আবার কারো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ডিগ্রি থাকার পরও শুধু প্র্যাক্টিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে চাকরি হয় না। তখন অন্য সেক্টরে চলে যান।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: এসব বাধা অতিক্রম করতে আপনার পরামর্শ কী?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার কারিকুলামটা সময়োপযোগী করতে হবে। আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে কি ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে, এ সময়ে দেশের মানুষের কী ধরনের সেবা দরকার, কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো দরকার, বিষয়গুলো বিবেচনা করে ক্যারিয়ার-ভিত্তিক কর্মমুখী বিষয়গুলো সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যারা ইন্ডাস্ট্রিতে প্র্যাকটিকাল কাজে যুক্ত আছেন, তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেস্ট লেকচারার হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতি শিক্ষা বছরে নির্দিষ্ট কিছু সময় আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে হবে। এছাড়াও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা গ্রহণের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিক্যাল করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় গতি কম বলে গ্রাহকরা প্রায়ই অভিযোগ করে থাকেন। কেনো এমনটা হয়ে থাকে?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: অভিযোগ অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সব সময় কমে না। মাসে এক বা দুইদিন হতে পারে। বিভিন্ন টেকনিক্যাল কারণে গতি কমে যেতে পারে। যেমন, ঝড়-বৃষ্টির সময় ফাইবার অপটিকেল ক্যাবল বা ট্রান্সমিটার ক্যাবল কাটা পড়লে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা যেহেতু বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত, তাই সার্ভার ডাউন হয়ে পড়ে। এসব কারণে সাময়িক সমস্যা হতে পারে বা গতি কমে যেতে পারে।
এছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো, আইএসপি কোম্পানিগুলো যখন বেশি টাকা লাভের আশায় তাদের সক্ষমতার চেয়ে ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো অনেক বেশি বিক্রি করে থাকে, তখন গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবায় গতি কম পেয়ে থাকে। তবে এটা একমাত্র কারণ নয়। সবচেয়ে ছোট শেয়ার্ড প্যাকেজ কিনে বাসায় আবার নিজেরা অনেকগুলি ডিভাইস থেকে শেয়ার করে, ওয়াইফাই রাউটারের ব্র্যান্ড বা মডেল, ক্রয়মূল্য এগুলোর উপরে রাউটারের মান নির্ভর করে। রাউটার অনেক বছরের পুরনো হলে প্রায়ই হ্যাং করে।
ওয়ারলেস ফ্রিকোয়েন্সি ২.৪ গিগাহার্জ অনেক সিগনাল কনজাস্টেড হয়ে ইন্টারফেয়ার করে। বেশি ইউজার এক রাউটার ব্যবহার করলে স্পীড ফুল হয়ে যায়, যে কারণে গতি কমে যায়। নিম্নমানের রাউটারে ৫-৭ জনের বেশি ইউজার ব্যবহার করলে রাউটার হাং করে। রাস্তার ট্রাফিকের যেমন পিক আওয়ার আছে, তখন অতিরিক্ত জ্যাম থাকে, ইন্টারনেটেরও তেমনি পিক আওয়ার আছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত পিক আওয়ার। দক্ষ জনবলের অভাব, সঠিক সমস্যা খুঁজে বের করতে পারে না, সমাধান করতে পারে না। এই অভিযোগগুলো বেশি হয়ে থাকে অবৈধ আইএসপিগুলোর বিরুদ্ধে। আবার অনেক সময় রাউটারের কারণেও গ্রাহক গতি কম পান। তিনি যে ফ্ল্যাটে বা বাড়িতে থাকেন তার যে আয়তন তার চেয়ে কম আয়তন কাভার করে এমন রাউটার ব্যবহার করলে কম গতি পাওয়া যাবে।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: এসব সমস্যা সমাধানের কোন উপায় আছে কী?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো, আপনারা আয়তন অনুযায়ী বা তার চেয়ে বেশি সক্ষমতার রাউটার ব্যবহার করুন। তাতেও যদি গতি বেশি না পাওয়া যায়, তাহলে এলাকার সংশ্লিষ্ট আইএসপির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমার বিশ্বাস, যেকোন একটা সমাধান পাওয়া যাবে।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: ইন্টারনেট সেক্টরকে এগিয়ে নিতে আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: ইন্টারনেট সেক্টরকে এগিয়ে নিতে বেসরকারিভাবে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সরকারের পক্ষ থেকেও আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। আমি মনে করি, এ সেক্টর উন্নয়নে সরকারের আরও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। যেমন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মতো প্রতিটি বাসায় কম খরচে ফাইবার কানেকশন পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। এখন দেশের যে অঞ্চলে রবির টাওয়ার আছে, বাংলালিংকের টাওয়ার নেই, সে অঞ্চলে মোবাইল অপারেটরগুলো শেয়ার করে টাওয়ার বিজনেস করতে পারছে। বিটিআরসির পক্ষ থেকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে দেশের সব এনটিটিএন এবং আইএসপিকে তাদের সকল রিসোর্স অন্যের সাথে ভাড়ার বিনিময়ে শেয়ার করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তাহলে রিসোর্সের ম্যাক্সিমাম ইউটিলাইজেশন হবে। খরচ কমে আসবে। গ্রাহক কম খরচে অনেক বেশি সুবিধা পাবে। এর ফলে পথে তারের বিশৃঙ্খলা কমে আসবে। রাজধানীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রাহকরা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তাই ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধিতে আইএসপিদের জন্য রিসোর্স শেয়ারের নীতিমালা করা এখন সময়ের দাবি।
এছাড়াও আরও কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। যেমন, ইন্টরনেট সেক্টরকে এগিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেটের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সেমিনার, কর্মশালা, ওয়ার্কশপ করা যেতে পারে। ইন্টারনেট ব্যাবসায়ী, সাধারণ গ্রাহক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেটের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন দিক, যেমন, সেবার মান, সুবিধা-অসুবিধা এসব বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এসব আলোচনা থেকে নানা সমস্যা বেরিয়ে আসবে, সাথে সাথে সমাধানও করার পথ খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। আমি মনে করি, এভাবে ধীরে ধীরে সেক্টরটা দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ। ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশন লিমিটেড কী ধরনের সেবা দিয়ে থাকে? আপনাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাই।
এ কে এম জাহাঙ্গীর: ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন গুণগতমানসম্পন্ন হাই স্পিড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশন লিমিটেড। এছাড়াও কর্পোরেট ইন্টারনেট, ভিটিএস (জিপিএস ট্রেকারের সাহায্যে কার মনিটরিং সিস্টেম), ম্যাজিক আইপি (ইন্টারনেট/পাবলিক আইপি অটো রিডানডেন্সি সলিউশন) ইত্যাদি সেবার ক্ষেত্রে ওয়ান স্কাই আইএসপি হিসেবে এখন পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সেবার মানে কোন ধরনের কম্পোমাইজ করা হয় না। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেরা মানের সেবা নিশ্চিতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। গ্রাহকদের গুণগতমানসম্পন্ন সেবা দেওয়াই আমাদের প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান ও মূল লক্ষ্য।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল ডাটা সার্ভার, নেটওয়ার্ক ও কম্পিউটার পিসিগুলো কতটুকু সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত বলে মনে করেন?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: আমরা আইএসপি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার আইআইজি থেকে ব্যান্ডউইথ গ্রাহকের অফিস অথবা বাসায় পৌঁছে দিয়ে থাকি। ব্যাংক বা কর্পোরেট অফিসের মতো আমাদের খুব বেশি ইম্পরট্যান্ট ডাটা সার্ভার নেই। রাউটার ওএলটি সুইচ এগুলো সিকিউরড আছে। আইএসপি’র জন্য ডিডস অ্যাটাক সবচেয়ে বড় থ্রেট। এই ডিডস অ্যাটাক অটো ডিটেক্ট এবং মিটিগেট করার জন্য আমাদের ‘ফাস্টনেটমন’ নামক উন্নত মানের ব্যবস্থা নেওয়া আছে।
সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সারা বিশ্বের টেকনোলজি বদলায়, সেসাথে বদলায় হ্যাকারদের সাইবার আক্রমণের ধরন। সঙ্গত কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল ডাটা সার্ভার, নেটওয়ার্ক ও কম্পিউটার পিসিগুলো আমরা ২৪ ঘন্টা মনিটরিং করছি। আমরা সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে সচেতন।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: সাইবার আক্রমণের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানের সব ডাটা সার্ভার, নেটওয়ার্ক ও কম্পিউটার পিসিগুলো নিরাপদ রাখার উপায় কী বলে মনে করেন?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: বিষয়টা খুবই উদ্বেগের। তাই সবাইকে সতর্ক হতে হবে। আর সেসাথে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সার্ভারগুলোতে পাবলিক আইপি ব্যবহার না করে, প্রাইভেট আইপি ব্যবহার করা, রাউটার থেকে নির্দিষ্ট একটি পোর্টফরওয়ার্ড করে সার্ভারে পৌঁছে দিতে হবে। তাহলে এতে সার্ভার অনেক বেশি নিরাপদ থাকবে। নিয়মিত সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের দিয়ে সার্ভার এবং নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এটাক লগ/ হিস্ট্রি নিয়মিত মনিটরিং করা প্রয়োজন। যেসব সমস্যা পাওয়া যায়, সেগুলো সমাধান করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় শুধু প্রয়োজনীয় সার্ভিস পোর্টগুলো ওপেন রেখে বাকি সব পোর্ট বন্ধ রাখা। ক্র্যাক বা ডেমো সফটওয়্যার ব্যবহার না করা। আমাদের দেশে এখনো এ বিষয়ে সচেতনতা একদম তৈরি হয়নি বললেই চলে।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ: একজন আইটি এক্সপার্ট হিসেবে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?
এ কে এম জাহাঙ্গীর: ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্বপ্ন না। এখন বাস্তব। স্বপ্নের পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী নদীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এখন দৃশ্যমান। সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নযাত্রায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিশেষ অবদান রেখে আসছে। ভবিষ্যতেও রাখবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন একটা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, গ্রামে বসে কৃষক, মাঝিসহ সকলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাঙালি জাতি অত্যন্ত ট্যালেন্টটেড জাতি। খুব সহজে ও দ্রুত জটিল সব ভেজাল জিনিস আবিষ্কার করতে পারে। জিনজিরা এলাকায় প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই জাতি যেসব পার্টস বানাতে পারে, সেই জাতিকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারলে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি বিপ্লব কেন্দ্র হয়ে উঠবে আমার সোনার বাংলাদেশ বলে আমার বিশ্বাস।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...