ছবি: সংগৃহীত
মোবাইলে প্রচুর কল ড্রপ হয়। অনেক জায়গায় আমরা সংযোগও পাই না। তাই আমরা কোন সেবাটি মোবাইল এবং কোন সেবাটি আইএসপি থেকে পাবো তা স্পষ্ট করা দরকার। আমাদের ইন্টারনেট ছাড়াও অনেক সেবা পাই। তাই অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক একক ফাইবার বা ফাইবার শেয়ারিংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। অপারেটরদের অবশ্যই নতুন নতুন সেবা নিয়ে ভাবতে হবে।
কম বিনিয়োগে বিপুল মুনাফা করছে এনটিটিএন। বিটিআরসির গাইডলাইন লঙ্ঘন করে তারা ওভারহেড ফাইবারও দিচ্ছে। এমনওদের ওয়ান টাইম চার্জ (ওটিসি) ক্যাপেক্স দিয়ে এনটিটিএন ফাইবার রেডি করলেও এর সুপ্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তাই কমন নেটওয়ার্ক সেবাদাতারা যেনো বিটিআরসি’র গাইড লাইন মেনে চলেন এবং অবকাঠামো ও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সেবাদাতারা সীমনার মধ্যে থেকেই সেবা দেন সে বিষয়টি আশা করেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে।
টেলিকম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লাইসেন্সের বাহুল্য এক্ষেত্রে বড় শঙ্কার বিষয়। লাসেন্সের চেয়ে সেবার মানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।
তারা বলেছেন, লাইসেন্সের সীমা বেধে দিয়ে শৃঙ্খলা বিধানের মাধ্যমে তৃণমূলে সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে। মুখোমুখি অবস্থানে না থেকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমানো সম্ভব।
সংগঠনের সভাপতি সমীর কুমার দে’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
রবি আজিয়েটার করপোর্টে অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহদ আলম বলেন, ২০০৯ সালে এনটিটিএন চালু করা হয়। ওই সময় আমরা ৩জি আনতে চাইনি। কিন্তু সরকারের চাপে আনতে হয়। এখন পুরো বিশ্বেই এটি অবসুলেট। আমরা এখন আমরা ৪জি করছি। এখন এনটিটিএন চলছে একভাবে। আমরা চলছি আরেক পথে। ২০১৯-২০২৪ সালে এসে ফাইবার ডেভেলপমেন্টে আমরা ৯৩টি দেশের মধ্যে ৭৭তম।
সামিট কমিউনিকেশনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ফররুখ ইমতিয়াজ বলেন, ফাইবার লেআউটের ডাক বিষয়টি ক্লিয়ার না। আমরা এমএনওদের ওটিসি নিয়ে পুরোপুরি চলি না। তাই রিসোর্স লকইন বিষয়টি যদি দীর্ঘমেয়াদী কাজ করা হয় তবে ইন্টারনেটের মূল্য কমবে। তবে বিনিয়োগ সুরক্ষায় এখানে উইন উইন সিচুয়েশন থাকা দরকার।
বাংলালিংবের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান বলেন, মোবাইল অপারেটরদের জন্য শুধু ফাইভার কাঁচামাল। বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু মাত্র নাইজেরিয়োয় নিষিদ্ধ। ফলে মোবাইল অপারেটররা অনেক সেবাই দিতে পারছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার বলেন, মোবাইলে প্রচুর কল ড্রপ হয়। অনেক জায়গায় আমরা সংযোগও পাই না। তাই আমরা কোন সেবাটি মোবাইল এবং কোন সেবাটি আইএসপি থেকে পাবো তা স্পষ্ট করা দরকার। আমাদের ইন্টারনেট ছাড়াও অনেক সেবা পাই। তাই অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক একক ফাইবার বা ফাইবার শেয়ারিংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। অপারেটরদের অবশ্যই নতুন নতুন সেবা নিয়ে ভাবতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী, টেলিটক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মা’বুদ চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার, ফাইবার অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক সিদ্দিকী, এমটব মহাসচিব মো. জুলফিকার, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি বেসরকারি মিলে সারাদেশে প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছে। আর এ নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট-ভিত্তিক সকল সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...