২০ ঘন্টা আগে
২১ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার বলেন, করোনার মতো পরিস্থিতিতে সরকারের নানা পদক্ষেপ ও ই-ক্যাবের যারা নেতৃত্বে আছে তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফসল। দেশের সবচেয়ে বড় ডাক-চেইনকে ই-কমার্সের কাজে লাগানোর মাধ্যমে ই-কমার্সের ব্যাপ্তি আরও প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব।
ই-কমার্স দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে বুধবার (৭ এপ্রিল) ই-কমার্স সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ‘ই-কমার্স ফর লিভিং’ শিরোনামে আলোচনা সভার আয়োজন করে। ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক ও ই-ক্যাবের উপদেষ্টা নাহিম রাজ্জাক এমপি।
অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, আমদানি ও রফতানি অনু-বিভাগের প্রধান এএইচএম শফিকুজ্জামান, ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান, মো. ওবায়দুল আজম, ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, বিএফটিআই। ই-কমার্স দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ঘরে থাকাই নিরাপদ, ই-কমার্সই ভবিষ্যৎ’।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার এ প্রসঙ্গে বলেন, আজ ই-ক্যাব অপরিহার্য প্রয়োজন। ই-ক্যাব হচ্ছে দেড় হাজার সদস্যের পরিবার। এত অল্প সময়ে ই-কমার্সের সফল ব্যাপ্তি ও ই-ক্যাবের অগ্রগতি শুধু করোনার কারণে হয়নি। করোনার মতো পরিস্থিতিতে সরকারের নানা পদক্ষেপ ও ই-ক্যাবের যারা নেতৃত্বে আছে তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফসল। দেশের সবচেয়ে বড় ডাক-চেইনকে ই-কমার্সের কাজে লাগানোর মাধ্যমে ই-কমার্সের ব্যাপ্তি আরও প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। ই-কমার্স এবং পোস্টাল সার্ভিস দ্বৈত সক্ষমতা মিলিয়ে গ্রামীণ ই-কমার্সের ব্যাপ্তি বাড়ানো যায়। কারণ ডাক বিভাগের মতো এত বড় বাহিনী ও নেটওয়ার্ক দেশের কোনো বেসরকারি বা পাবলিক সেক্টরের নেই।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক এ প্রসঙ্গে জানালেন, বাংলাদেশের ই-কমার্স এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়। যা প্রবৃদ্ধির একটা উদাহরণ। যা সম্ভব হয়েছে ই-ক্যাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর এ খাতের কর্মীদের একনিষ্ঠ পরিশ্রমের কারণে। ই-ক্যাব একটি নবীন সংগঠন হয়েও তাদের কর্মতৎপরতা এবং আপদকালীন সময়ে সেবা দিয়ে সক্ষমতা ও দক্ষতার পরিচয়ে দিয়ে আইসিটি সেক্টরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হয়ে উঠেছে। বিশ্বের যে তিনটি দেশ করোনা সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ই-ক্যাব সদস্যরা এ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ই-ক্যাবের উপদেষ্টা নাহিম রাজ্জাক (এমপি) বলেন, ই-ক্যাব মাঠ পর্যায়ে এবং সরকারের সাথে পলিসি নিয়ে কাজ করে দেশের ই-কমার্সের উন্নয়নে কাজ করেছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ই-কমার্সের সুব্যাপ্তি ঘটেছে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপ্ন আজ সফল। আজ মুজিব বর্ষে এবং স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে এসে আমরা তার সুফল দেখছি। অতীতে ই-ক্যাবের সব উদ্যোগে সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি এবং বর্তমানেও পাচ্ছি। করোনার ঢেউ যখন দ্বিতীয়বার এসেছে তখন সরকার প্রথমে চলাচল সন্ধ্যা ৬টা অবধি সীমিত করেছে। ই-ক্যাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এবং সরাসরি গিয়ে বর্তমানে এ সময়টা রাত ১২টা অবধি বর্ধিত করেছে। এভাবে আমরা মানুষকে সেবা দিতে অনলাইন উদ্যোক্তাদের নিয়ে সবার পাশেই থাকব।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, অর্থ সচিব আব্দুল হক অনু, যুগ্ম সচিব নাসিমা আক্তার নিশা, পরিচালক জিয়া আশরাফ, পরিচালক সাইদ রহমান, মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ই-ক্যাব পরিচালক আসিফ আহনাফ। সভায় ই-ক্যাবের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা তাদের চলতি বছরের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...