শুরু হচ্ছে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০

শুরু হতে যাচ্ছে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর কার্যক্রম। শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে। বেসিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বেসিস এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর আহবায়ক ও বেসিস এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জনাব ফারহানা এ রহমান, ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আরফান আলী, ব্যাংক এশিয়ার আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান জনাব জিয়া আরফিন এবং বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর যুগ্ম আহবায়ক ও বেসিস পরিচালক জনাব রাশাদ কবির। অন্যান্যের মধ্যে বেসিস এর সহ-সভাপতি (প্রশাসন) জনাব শোয়েব আহমেদ মাসুদ ও সহ-সভাপতি (অর্থ) জনাব মুশফিকুর রহমান। 

বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর আহবায়ক ও বেসিস এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জনাব ফারহানা এ রহমান বলেন, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড বেসিস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। নানা কারণে গত কয়েক বছর আমরা এটি আয়োজন করতে পারিনি। আমরা আশা করছি এখন থেকে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড এর বার্ষিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে করা হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ৩টি, ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে ২টিসহ মোট ৫ টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০০টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এবারে একটি নতুন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে সেটি হলো এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। সরকার ঘোষিত ১০% রপ্তানি ভর্তুকির জন্য যারা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নারীদের ঘরে বসে অনলাইন আউটসোর্সিং-এ উৎসাহিত করতে পৃথক নারী ক্যটাগরিতেও তিনটি অ্যওয়ার্ড দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আরফান আলী বলেন, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডের স্পন্সর হিসেবে ব্যাংক এশিয়া বিগত সময়েও বেসিস এর সাথে একাত্ম হয়ে এ কাজে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, তরুণদের অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে উৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের যেসকল তরুণ অনলাইন আউটসোর্সিং করছেন তাদের উপার্জিত অর্থ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সহজ উপায়ে দেশে আনার জন্য ব্যাংক এশিয়া এবং পেওনিয়ার যৌথভাবে কাজ করছে। তিনি এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ করেন, কেবলমাত্র ২০১৯ সালেই অনলাইন আউটসোর্সিং থেকে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যাংক এশিয়াতে জমা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশে আনুমানিক ৫ লক্ষ তরুণ অনলাইন আউটসোর্সিং কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড আয়োজনে বেসিস এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারের ২০২৩ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি আমরা মনে করি, যারা এখন ব্যক্তি পর্যায়ে আউটসোর্সিং কাজে নিয়োজিত তারা যেন নিকট ভবিষ্যতে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কোম্পানি গঠন করে বেসিস এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে পারে। তাছাড়া সরকার এখন রপ্তানি আয়ের উপর ১০% নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে যা কোম্পানিগুলোই কেবল নিতে পারবে। 

উল্লেখ্য, ব্যাংক এশিয়া ও পেওনিয়ার এর সহযোগিতায় ও বেসিস এর উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর কার্যক্রম আগামী এক মাস ধরে চলবে।  রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী কর্তৃক বিভিন্ন ধাপে যাচাই বাছাই করে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১০০টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। আউটসোর্সিং কোম্পানি ক্যটাগরিতে ১৫টি, স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ১০টি, এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স ক্যাটাগরিতে ৮টি,  জেলা পর্যায়ে ৬৪টি এবং ব্যক্তি নারী ক্যাটাগরিতে ৩টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।