সোমবার

ঢাকা, ১৯ মে ২০২৫

সর্বশেষ


ই-কমার্স

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ –এর স্পন্সরশিপ পেল উবার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারী ২০২১, রাত ১১:৫১

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম আইকনিক অ্যান্থেম উন্মোচন ও একাত্মতা উৎযাপনে ভক্তদের জন্য সিগনেচার টিউন

বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিগত পরিবহন কোম্পানি উবার আজ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ -এর অফিসিয়াল স্পন্সর হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সাথে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। 

এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রথম কোনো পরিবহন ও খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপ, উবার, পুরুষদের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্পন্সর হয়েছে। পুরুষদের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিশ্বের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ও উপভোগ্য ক্রীড়া আসরগুলোর মধ্যে একটি। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ অনুষ্ঠিতব্য ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলা এই ইভেন্টটির সরাসরি সম্প্রচার বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন দর্শক উপভোগ করবেন।

উবারের ক্যাম্পেইন দিস ওয়ার্ল্ডকাপএভরি ফ্যান উইনস -এর প্রধান উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের নিয়ে একত্রিত হওয়ার একটি সংস্কৃতি তৈরি করা এবং এই উদযাপনের মূল আকর্ষণ হিসেবে এবারের আইসিসি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো রিলিজ করা হয়েছে একটি থিম সং – ওয়ে-ওয়ে-

পাঁচটি অংশগ্রহণকারী দেশের প্রশংসিত শিল্পীরা একসাথে এই গানটি গেয়েছেন এবং গানটি ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশ্বকাপ উদযাপন করতে নিজস্ব সুর দিবে। উবার তার শত শত ড্রাইভার ও কুরিয়ার পার্টনারের পাশাপাশি যাত্রী ও ভোজনরসিকদের সরাসরি বিশ্বকাপ উপভোগ করার সুযোগ করে দিবে এবং টুর্নামেন্টে একাত্মতার মনোভাব গড়ে তোলার জন্য কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করবে। 

উবারের চীফ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অফিসার ব্রুক্স এন্টউইস্টেল বলেন, “ক্রিকেটের মতো আন্তর্জাতিক খেলার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি আরও জোরালো করতে পেরে এবং এই খেলা যারা ভালবাসেন যেমন যাত্রী, খাদ্যরসিক, চালক এবং ডেলিভারি পার্টনারদের একে অপরের কাছাকাছি আনতে পেরে আমরা আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। অংশগ্রহণকারী আটটি দেশে ক্রিকেট খেলা ভক্তদের প্যাশন যেখানে উবার ও উবার ইটস মানুষের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা যখন ভক্তদের যাতায়াত ও খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সহায়তা করবো তখন তাদের ক্রিকেটের প্রতি এই প্যাশন আরও জোরালো হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই প্রথমবারের মতো ভক্তদের কেন্দ্র করে আইসিসি বিশ্বকাপের একটি অ্যান্থেম তৈরি করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উৎসাহী। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই অ্যান্থেমটি সারা বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ ক্রিকেট প্রেমীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে।”

মানু সহেনিইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের সিইওঅংশীদারিত্বের ব্যাপারে বলেন, “আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ -এ উবারের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব চলমান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। তারা ক্রিকেটের ব্যাপারে যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তা গত মহিলা টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এসময় তারা রোডসিমেড প্রচারাভিযানে খেলোয়াড়দের পিছনের অনেক বিস্ময়কর গল্প তুলে ধরেছিলেন। এবারের গ্রীষ্মের বিশ্বকাপ নিয়েও উবার একই রকমের মনোমুগ্ধকর পরিকল্পনা করেছে এবং আমাদের আশানুসারে এটি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উদযাপন হতে যাচ্ছে।”

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডারসাকিব আল হাসান বলেন, “লক্ষ লক্ষ আবেগপ্রবণ বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের উত্তেজনা আমিও উচ্ছ্বসিত এবং তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে এটি তাদের জন্য সর্বকালের অন্যতম একটি স্মরণীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের উদযাপনের কেন্দ্রস্থলে রাখার উদ্যোগের জন্য আমি উবারকে সাধুবাদ জানাই এবং আশাবাদী যে ওয়ে-ও, ওয়ে-ও ক্রিকেটপ্রেমীদের একত্রিত করবে এবং খেলার জন্য তাদের ভালবাসাকে আরও গভীর করে তুলবে।”

বিশ্বব্যাপী নারী ক্ষমতায়নের যে উদ্যোগ তাদের ছিল তার সাথে সঙ্গতি রেখে, গত বছর উবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সমর্থন দিয়েছিলো। অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে, খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেবার জন্য এবং টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সমর্থন আদায়ের জন্য উবার খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের নিয়ে #জার্সিনোজনোজেন্ডার নামে প্রচারাভিযান চালিয়েছিল।

উবার সম্পর্কিত তথ্য

সচলতার মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করাই উবারের লক্ষ্য। আপনি কীভাবে বাটনের এক চাপে যাতায়াতের জন্য একটি গাড়ি পেতে পারেন? এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে আমাদের শুরুটা হয় ২০১০ সালে। ১০বিলিয়নেরও বেশি ট্রিপ সম্পন্ন করার পর, এখন আমরা সেসব সার্ভিস তৈরির প্রচেষ্টায় নিয়োজিত যেগুলো একজন ব্যক্তিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা, খাদ্য এবং জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে উবার সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ সম্পর্কে

  • টুর্নামেন্টটি চলবে ৩০ মে থেকে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত। ৯ ও ১১ই জুলাই –এ অনুষ্ঠিতব্য সেমিফাইনাল ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড এবং বার্মিংহামের এডজব্যাস্টন মাঠে। আর ১৪ই জুলাই –এর ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে লর্ডস –এ।
  • ইংল্যান্ড ও ওয়েলস –এর মোট ১১টি মাঠে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হলো- কার্ডিফের কার্ডিফ ওয়েলস স্টেডিয়াম (৪টি ম্যাচ), 
  • ব্রিস্টলের ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড (৩টি ম্যাচ), ট্যউন্টনের কাউন্টি গ্রাউন্ড ট্যউন্টন (৩টি ম্যাচ), বার্মিংহামের এডজব্যাস্টন (সেমিফাইনাল সহ ৫টি ম্যাচ), সাউথহ্যম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বোওল (৫টি ম্যাচ),লিডস-এর হেডিংলি (৪টি ম্যাচ),লন্ডনের লর্ডস (ফাইনাল সহ ৫টি ম্যাচ),ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড(সেমিফাইনাল সহ ৬টি ম্যাচ),লন্ডনের ওভাল(উদ্বোধনী ম্যাচ সশর্বওটি ম্যাচ),চেষ্টার-লে-স্ট্রিটের দ্যা রিভারসাইড ড্যুরহাম (৩টি ম্যাচ),এবং নটিংহামের টেন্ট ব্রিজ(৫টি ম্যাচ)।
  • ১০টি দল একে অপরের সাথে সিঙ্গেল লিগ ফরমেটে খেলবে। লিগ পর্যায়ের ৪৫টি ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্টপ্রাপ্ত ৪টি দল সেমিফাইনাল খেলতে পারবে।
  • ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এর আগে যৌথভাবে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ পরিচালনা করেছে।
  • বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ তারাই জিতেছেন।
  • প্রথম দুটি বিশ্বকাপ অর্থাৎ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপদুটি জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিস। ভারত জিতেছে ১৯৮৩ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ। 
  • অন্যান্য বিজয়ীরা হলো ১৯৯২ সালে পাকিস্থান ও ১৯৯৬ সালে শ্রীলংকা।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৪০১৮ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর