১৮ ঘন্টা আগে
১৯ ঘন্টা আগে
২২ ঘন্টা আগে
২৩ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
বেসিস সফটএক্সপোর শেষ দিন আজ। ১৫তম বেসিস সফটএক্সপোকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়। ১০টি জোনের বিস্তারিত তুলে ধরা হল:-
সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন: প্রদর্শক ১০৯
বেসিস সফটএক্সপো-এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে "সফটওয়্যার শো-কেসিং জোন" অন্যতম। এ জোনে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি বিভিন্ন পরীক্ষিত সফটওয়্যার যা ব্যাংকিং সল্যুশন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যখাত, উৎপাদন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো স্থান পাবে। আজকের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা দেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে গেছে এক অন্য উচ্চতায়। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন ও কার্যকরী সফটওয়্যার উদ্ভাবনের পাশাপাশি আইটি নির্ভর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সেক্টরে বেড়েছে বিনিয়োগ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা এবং সফটওয়্যার শোকেসিং প্লাটফর্ম-এর সার্বিক অগ্রযাত্রার সাথে থাকতে আপনিও চলে আসুন বেসিস সফটএক্সপো-এ।
ভ্যাট জোন: প্রদর্শক ৮
বছরে ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি টার্নওভারের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বা লেনদেন তথ্য এনবিআর অনুমোদিত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এ বছর থেকেই এনবিআর এ নিয়ম চালু করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব নিয়ম মেনে ১১টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট সফটওয়্যার তৈরি করেছে যার মাধ্যমে কেনা কাঁচামালের ভ্যাট হিসাবও করা যাচ্ছে সহজে। আবার প্রস্তুতকৃত পণ্যের ভ্যাটসহ সঠিক দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করে উপযুক্ত লাভও পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশের প্রচলিত ভ্যাট আইন অনুসারে হিসেবে গড়মিলও থাকছে না। কত টাকা ভ্যাট সরকারে কোষাগারে যাবে সেটাও থেকে যাচ্ছে সফটওয়্যারের হিসাবে। এনবিআর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেড, ইনোভিয়া টেকনোলজিস লি. ধ্রুপদি টেকনো কনসোর্টিয়াম লি., ডিভাইন আইটি লি., সিম্ফনি সফটটেক লি., বেস্ট বিজনেস বন্ড লি., সিএসএল সফটওয়্যার রিসোর্সেস লি., এলাইড ইনফরমেশন টেকনোলজি লি., এবং যুবসফট ইনফরমেশন সিস্টেমস লি.,মিডিয়া সফট, ইউনিসফট সিস্টেমস। এসব অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ভাবে ঝুঁকি এড়িয়ে ভ্যাট প্রদান করা যায়।
বেসিস সফট এক্সপো এর মধ্যেই প্রদর্শনী জোন হিসেবে থাকছে ভ্যাট জোন । এখানেই খুঁজে পাওয়া যাবে তাঁর দরকারের এনবিআর অনুমোদিত সবগুলো ভ্যাট সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা এবং অগ্রযাত্রার সাথে থাকতে আপনিও চলে আসুন বেসিস সফটএক্সপো-এ।
এক্সপেরিয়েন্স জোন: প্রদর্শক ১৮
এক্সিপেরিয়েন্স জোন। এখানে অগমেন্টেন্ড রিয়ালিটি, ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটির অনেক পণ্য থাকবে। যা ছুঁয়ে দেখে পরখ করে বোঝা যাবে। মাথায় হেডসেট পড়ে ভিডিও দেখার ছবি-ভিডিও দেখার কথাতো আমরা জানিই।। এগুলো আসলে অগমেন্টেন্ড রিয়ালিটি, ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটির বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী।
এছাড়াও অত্যাধুনিক উচ্চগতির ফাইভ-জি ইন্টারনেটে এক্সিপেরিয়েন্স জোনও থাকবে এখানে। এখানে উঠে আসবে পুরো দেশের সবশেষ প্রযুক্তি, আছে পরখ করে দেখার, শেখার অনেক কিছু।
ডিজিটাল কমার্স জোন: প্রদর্শক ২৭
বেসিস সফটএক্সপো-এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে "ই-কমার্স জোন" অন্যতম। উন্নত ও অভাবনীয় সব দেশীয় ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে শপিং করা যাচ্ছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে সহজ করে বিভিন্ন ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে এ জোনে।
উইমেন জোন: প্রদর্শক ১৪
বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯-এ প্রথমবারের মতো ৬টি নারীদের দ্বারা পরিচালিত তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সেবা ও পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, বেসিস সফটএক্সপোতে উইমেন জোনের অংশিজন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার এবং কমনওয়েলথের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত 'শি-ট্রেডস' প্রকল্প আরো ৮টি নারীদের দ্বারা পরিচালিত তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে সেবা ও পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা এবং অগ্রযাত্রার সাথে থাকতে আপনিও চলে আসুন বেসিস সফটএক্সপো-এ।
ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন: প্রদর্শক ১৪
দেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব পড়েছে অথচ তা আমরা অনেকেই জানি না বা অনুধাবন করছি না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনমানকে উন্নত করবে। বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ -এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে একটি ইন্ডাস্ট্রি ৪.০। থাকবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, আইওটিসহ অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সেবা ও পণ্যসামগ্রী যেসব স্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করছে তাদের অংশগ্রহণ। এটি সারাবিশ্বের ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের সূচনা স¤পর্কে ধারণা দেবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতাকে সবার সামনে তুলে ধরবে।
উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন: প্রদর্শক ২০
বেসিস সফটএক্সপো-এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে "মোবাইল ইভোভেশন জোন" অন্যতম। বাংলাদেশ অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। বিভিন্ন অ্যাপস এখন নিয়ন্ত্রণ করছে জীবন। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপস এবং উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা স্থান পাবে এ জোনে। এখানে দর্শনার্থীরা এসে বিশ্বের স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির সাথে তাল মিলিয়ে মোবাইলের জন্য তৈরি অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এবং অ্যাপগুলো স¤পর্কে দেখতে ও জানতে পারবেন। এই সকল অসাধারণ এক্সপেরিয়েন্স নিতে এবং সার্বিক প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রার সাথে থাকতে আপনিও চলে আসুন মোবাইল ইভোভেশন জোন-এ।
ডিজিটাল এডুকেশন জোন: প্রদর্শক ৭
তথ্যপ্রযুক্তির যে জয়গান চলছে তাঁর সবকিছুতেই ভাঁটা পড়বে যদি না তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাগুলো শিক্ষাখাতে এসে না পৌঁছায়। দেশের ধীরে ধীরে প্রজেক্টর দিয়ে ক্লাসে পড়ানোর অভ্যাস শুরু হয়েছে। ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত ক্লাসরুম তৈরির কাজও চলছে। কিন্তু এগুলো শিক্ষাব্যবস্থার গুটিকয়েক অংশ মাত্র। সারাশরীরে ব্যথা থাকলে শুধু মাথায় মলম লাগালে ব্যথা প্রশমনের প্রশ্নই ওঠেনা। ঠিক তেমনি শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালাইজড করতে হলে শুরু করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে।
পাশ্ববর্তী অনেক দেশেই পুরোপুরি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফাইল ব্যবস্থাপনা, হিসাবরক্ষণ, শিক্ষকদের বেতন ব্যবস্থাপনা সবকিছুই একটা সফটওয়্যার দিয়ে হচ্ছে। এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রশাসনিক অনেক কাজ করে দিচ্ছে একেবারেই সহজ। বাংলাদেশের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ইউরোপ, আমেরিকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কথা মাথায় রেখে বানানো সফটওয়্যার বাড়াবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মদক্ষতা, শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের পুরোটা সময় ব্যয় পারবেন শিক্ষকেরা।
বেসিস সফটএক্সপোতে একছাদের নিচে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কথা মাথায় রেখে বানানো সব এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী- বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯। ১৯-২১ মার্চ, বসুন্ধরার আইসিসিবিতে বাংলাদেশের সব নামী-দামি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে এডুকেশন জোনে।
ফিনটেক জোন: প্রদর্শক ৪
বেসিস সফটএক্সপো-এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে "ডিজিটাল পেম্যান্ট অ্যান্ড ফিনটেক" অন্যতম। প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হচ্ছে ডিজিটাল পেমেন্ট ও ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি। পাশাপাশি আইটি নির্ভর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সেক্টরে বেড়েছে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ। ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ও ফিনটেক প্লাটফর্ম-এর সার্বিক অগ্রযাত্রার চিত্র ফুটে উঠবে এ জোনে।
আইটিইএস ও বিপিও জোন: প্রদর্শক ২৯
বেসিস সফটএক্সপো-এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে "আইটিইএস অ্যান্ড বিপিও" অন্যতম। কি অসাধারণ দ্রুততার সাথেই না এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি। সম্ভাবনাময় এ খাত দিনকে দিন বড় হচ্ছে। আর সম্ভাবনায় এক ঝাঁক তরুণ তরুণীর কথা মাথায় রেখে এই সেক্টরে বেড়েছে বিনিয়োগ। আইটিইএস অ্যান্ড বিপিও-এর সাফল্যের গল্প তুলে ধরবে বেসিস সফটএক্সপো।
উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন: প্রদর্শক ২০
বেসিস সফটএক্সপো-এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে "মোবাইল ইভোভেশন জোন" অন্যতম। এখানে দর্শনার্থীরা এসে বিশ্বের স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির সাথে তাল মিলিয়ে মোবাইলের জন্য তৈরি অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এবং অ্যাপগুলো স¤পর্কে দেখতে ও জানতে পারবেন। উপলব্ধি করতে পারবেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা।এই সকল অসাধারণ এক্সপেরিয়েন্স নিতে এবং সার্বিক প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রার সাথে থাকতে আপনিও চলে আসুন মোবাইল ইভোভেশন জোন-এ।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আইএসপিএবি'র সাবেক...